মাশরুম চাষে ব্যাপক সফলতা পাবার পাশাপাশি সফল হয়েছেন দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলার মধ্যবাসুদেবপুর গ্রামের গৃহিণী শাপলা আক্তার। স্থানীয় বাজারসহ রাজধানীতে মাশরুমের ভাল চাহিদা ও দাম থাকায় লাভবান হচ্ছেন মাশরুম চাষিরা। শাপলার এমন এলাকার ৩০ জন উদ্যোক্তা শাপলা চাষে যুক্ত হয়েছেন।
জানা যায়, ২০২২ মাত্র ১২০০ টাকা দিয়ে শুরু করেন মাশরুম চাষ। স্বল্প পরিসরে শুরু করলেও ধীরে ধীরে বাড়িয়েছেন স্পনের সংখ্যা। প্রথমদিকে স্পন কিনে আনলেও পরবর্তীত নিজেই বানানো শুরু করেন। এতে করে স্বল্প খরচে বেশি পরিমাণ মাশরুম চাষ করতে পারেন। বর্তমানে প্রতিদিন ৫ থেকে ৭ কেজি মাশরুম তুলেন শাপলা।
এ প্রসঙ্গে শাপলা বলেন, ইউটিউব দেখে মূলত মাশরুম চাষ করার ইচ্ছে জাগে। পরবর্তীতে স্বল্প পরিসরে চাষ শুরু করি। আমার দেখাদেখি এলাকার এখন অনেকেই মাশরুম চাষ শুরু করেছে। আমার ঘরে বর্তমানে ৭০০ টি স্পন আছে। মাশরুম উৎপাদনে তেমন একটা খরচ হয়না। ব্যায়ের তুলনায় আয় বেশি থাকে।
তিনি আরও বলেন, প্রতিদিনই অনেকেই আমার কাছে মাশরুম চাষ বিষয়ে জানতে চায়। আমিও আমার অভিজ্ঞতা থেকে তাদের বিভিন্ন প্রয়োজনীয় পরামর্শ প্রদান করি। মাশরুম খুবই পুষ্টিমান সমৃদ্ধ। এটি কাচার পাশাপাশি শুকিয়েও বাজারজাত করা যায়। বর্তমানে প্রতিকেজি মাশরুম আকার ও কোয়ালিটি অনুসারে ৪০০-৬০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
হাকিমপুর (হিলি) উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা আরজেনা বেগম বলেন, বর্তমান সময়ে রাজধানীসহ সারাদেশে মাশরুমের ব্যাপক চাহিদা সৃষ্টি হয়েছে। কেননা মাশরুমের অনেক পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ একটি মুখরোচক খাবার। এছাড়াও নিয়মিত মাশরুম খেলে অনেক রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। মাশরুমের স্যুপ রোগীদের দারুণ পথ্য হিসাবেও ব্যবহার করা যায়। নতুন নতুন উদ্যোক্তাদের মাশরুম চাষ বিষয়ে কৃষি বিভাগের পক্ষে বিভিন্ন পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে।