সোমবার, মার্চ ১৭, ২০২৫
Logo
More than fifty students and parents are sick

পিকনিকের খাবার খেয়ে শিক্ষার্থী ও অভিভাবক অসুস্থ অর্ধশতাধিক

Bijoy Bangla

অনলাইন ডেস্ক :

প্রকাশের সময়: ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ০৫:০৬পিএম

পিকনিকের খাবার খেয়ে  শিক্ষার্থী ও অভিভাবক অসুস্থ অর্ধশতাধিক
.......সংগৃহীত ছবি

রাজশাহীতে পিকনিকের খাবার খেয়ে একটি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবক মিলিয়ে প্রায় অর্ধশতাধিক মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। সোমবার দুপুর থেকে মঙ্গলবার দুপুর ২টা পর্যন্ত ৪৫ জন চারঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছেন। চিকিৎসকরা বলছেন, ফুড পয়জনিংয়ের কারণে তারা অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।

জানা গেছে, জেলার চারঘাট উপজেলা সদরের বেসরকারি প্রতিষ্ঠান থানাপাড়া সোয়ালোজ প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে গত রোববার শিক্ষার্থী ও অভিভাবকসহ ১৮০ জন গোদাগাড়ী উপজেলার সাফিনা পার্কে পিকনিকে যান। এর মধ্যে ৪৭ জন ছিল ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও বাকিরা অভিভাবক এবং তাদের আত্নীয়।

পিকনিকের জন্য বিদ্যালয়েই খাবার রান্না করা হয়। তারপর প্যাকেট করে খাবার নিয়ে যাওয়া হয়। সাফিনা পার্কে পৌঁছানোর পর দুপুর ২টার দিকে দুপুরের খাবার পরিবেশন করা হয়। এরপর সন্ধার দিকে পিকনিক থেকে বাড়ি ফেরার পর থেকে অনেকের ডায়রিয়া ও বমি শুরু হয়।

সোমবার দুপুর থেকে আরো বেশি অসুস্থ হয়ে গেলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হওয়া শুরু করেন তারা। এভাবে পর্যায়ক্রমে মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত ৪৫ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তবে যাদের শারিরিক অবস্থা কিছুটা ভাল তারা বাড়িতেই ডায়রিয়ার চিকিৎসা নিচ্ছেন।

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে আসা রপালী খাতুন বলেন, পিকনিকের খাবার খাওয়ার পর রাত থেকেই আমার দুই মেয়ের ডায়রিয়া শুরু হয়েছে। সোমবার থেকে অবস্থা আরো বেশি খারাপ। এখন দুই মেয়েকে নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছি। স্যালাইন চলছে, তবে ভীষণ দুশ্চিন্তায় আছি।

থানাপাড়া সোয়ালোজ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অমিতাভ নেওয়াজ বলেন, খাবার রান্না করে সুন্দরভাবে পরিবেশন করা হয়েছে। কিন্তু কি কারণে ফুড পয়জনিং হয়েছে বুঝতে পারছি না। আমার মেয়েও অসুস্থ হয়ে ভর্তি আছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. তৌফিক রেজা বলেন, ফুড পয়জনিংয়ের কারণে তারা অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। শিশু বিশেষজ্ঞসহ চিকিৎসকরা সার্বক্ষণিক খোঁজখবর রাখছেন। রোগীদের অবস্থা এখন অনেকটা ভাল। কোনো রোগীর অবস্থা খারাপ হলে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে পাঠানো হবে।