রাজশাহীর পবায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এর আয়োজনে বারি মসুর-৮ সংরক্ষণে হার্মেটিক সাইলো ব্যবহার শীর্ষক সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (৪ মার্চ) বিকেলে পাকুড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠ প্রাঙ্গণে এষড়নধষ অষষরধহপব ভড়ৎ ওসঢ়ৎড়াবফ ঘঁঃৎরঃরড়হ (এঅওঘ) এর অর্থায়নে সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর খামারবাড়ি পরিচালক সরেজমিন উইং মো. ওবায়দুর রহমান মন্ডল।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর রাজশাহী অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক ড. মো. আজিজুর রহমান এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বিশেষ অতিথি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর খামারবাড়ি সরেজমিন উইং উপপরিচালক মনিটরিং মো: আবু জাফর আল মনসুর, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর রাজশাহীর উপপরিচালক কৃষিবিদ উম্মে ছালমা, গেইন বাংলাদেশ কনসালটেন্ট ড. মো. মনির উদ্দিন, মসুর চাষী মফিজ উদ্দিন ও রশিদা বেগম। অতিরিক্ত কৃষি অফিসার তন্ময় কুমার সরকার এর সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন পবা উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ ফারজানা তাসনিম।
এসময় উপস্থিত ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার কৃষিবিদ রায়হান উদ্দিন, উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা জালাল উদ্দীন দেওয়ান, মুকবুল হোসেন, অনিকা খাতুন সহ বিভিন্ন ব্লকের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা ও নওহাটা পৌরসভার পাকুড়িয়া অঞ্চলের কৃষক ও কৃষাণী সহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
অতিথিরা তাদের বক্তব্যে বলেন, বারী মসুর-৮ উচ্চ ফলনশীল এবং বায়োফর্টিফাইড জিংক, আয়রণ ও সেলেনিয়াম সমৃদ্ধ মসুর ডালের একটি জাত। বারী মসুর-৮ আবাদে রোগবালাই ও পোকামাকড়ের আক্রমণ কম হয় এবং দেরীতে বপন করা যায়। এতে জিংক, আয়রন ও সেলিনিয়াম আছে প্রচুর পরিমানে ফলে মসুর ডাল পুষ্টিতে ভরপুর একটি খাবার। এই উন্নত জাতটি মসুর ডালের উৎপাদন বৃদ্ধির মাধ্যমে পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিতে খুবই গুরুত্বপুর্ন। জমি যেহেতু দিনদিন কমে যাচ্ছে সেইজন্য আমাদের উৎপাদন বাড়াতে। তাই যেসব আবাদ বেশি হবে এরকম আবাদ করতে হবে। এসময় অতিথিরা উৎপাদিত বারি মসুর-৮ বীজ হার্মেটিক সাইলো পদ্ধতিতে সংরক্ষণ করার জন্য কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করেন এবং এর বীজ এলাকার চাষীদের মাঝে ছড়িয়ে দেওয়ার আহ্বান জানান।