রবিবার, মার্চ ১৬, ২০২৫
Logo
10 mosques

ঢেকে দেওয়া হলো ভারতের ১০টি মসজিদ

Bijoy Bangla

অনলাইন ডেস্ক :

প্রকাশের সময়: ১৩ মার্চ, ২০২৫, ০৫:০৪পিএম

ঢেকে দেওয়া হলো ভারতের ১০টি মসজিদ
.....সংগৃহীত ছবি

ভারতে হোলি উৎসবে অশান্তি এড়াতে ১০টি মসজিদ ঢেকে ফেলার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। আগামীকাল শুক্রবার (১৪ মার্চ) ভারতে হোলি উৎসব। আর এই উৎসবকে কেন্দ্র করে যাতে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় থাকে, সেজন্যও সতর্ক রয়েছে প্রশাসন। বুধবার (১২ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

সংবাদমাধ্যমটি বলছে, শুক্রবার হোলি উদযাপনের সময় সম্ভলের দশটি মসজিদকে ঢেকে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে উত্তর প্রদেশ প্রশাসন। গত ৬০ বছরের মধ্যে এবারই প্রথমবারের মতো হোলি উৎসব এবং রমজানের শুক্রবার তথা “জুমার নামাজের দিন” একইদিনে পড়েছে।

এ বিষয়ে উত্তর প্রদেশ প্রশাসনের প্রস্তুতি সম্পর্কে গণমাধ্যমকে ব্রিফিংয়ে সম্ভলের এসপি শ্রীশ চন্দ্র বলেন, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখতে এবং দুই সম্প্রদায়ের উৎসব পূর্ণ আনন্দ ও উল্লাসের সাথে উদযাপন করতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘চৌপাই’ শোভাযাত্রার প্রস্তাবিত রুটে মোট দশটি মসজিদ চিহ্নিত করা হয়েছে। দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে কোনও ধরনের ঝামেলা বা উত্তেজনা রোধ করার জন্য সেগুলোর সবকটিই ঢেকে দেওয়া হবে।

তিনি বলেন, ‘চৌপাই’ শোভাযাত্রা (হোলির সময় একটি প্রথাগত অনুশীলন) যে মসজিদগুলোর সামনে দিয়ে অতিক্রম করবে, সেগুলো ঢেকে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এটি বছরের পর বছর ধরে চলে আসছে বলেও জানান তিনি।

সম্ভলের এসপি শ্রীশ চন্দ্র বলেন, “হোলির সময় ‘চৌপাই’ শোভাযাত্রার প্রচলিত রুট চিহ্নিত করা হয়েছে এবং রুটের মধ্যে পড়া দশটি মসজিদ ঢেকে দেওয়া হবে।”

প্রতিবেদন অনুসারে, শুক্রবারের জুমার নামাজ এবং ‘চৌপাই’ শোভাযাত্রার সময় পরিবর্তন করার জন্য একটি চুক্তিও করা হয়েছে, যাতে এই দুটি আনুষ্ঠানিকতা একই সময়ে অনুষ্ঠিত না হয়। শুক্রবারের নামাজ হোলির শোভাযাত্রার আগে বা পরে অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়াও বহিরাগতদের মসজিদ প্রাঙ্গণে প্রবেশের অনুমতি থাকবে না।

স্থানীয় কর্তৃপক্ষ এবং উত্তরপ্রদেশ পুলিশ কর্মকর্তাদের কঠোর নজরদারি বজায় রাখার এবং উৎসবের দিন যেকোনও অপ্রীতিকর ঘটনা রোধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এনডিটিভি বলছে, হোলি উদযাপনের সময় সম্ভলে যে দশটি মসজিদ ত্রিপল দিয়ে ঢেকে রাখা হবে, তার মধ্যে শাহী জামে মসজিদ, লাদানিয়া ওয়ালি মসজিদ, থানে ওয়ালি মসজিদ, একরাত মসজিদ, গুরুদুয়ারা রোড মসজিদ, গোল মসজিদ, খাজুর ওয়ালি মসজিদ, আনার ওয়ালি মসজিদ এবং গোল দুকান ওয়ালি মসজিদও রয়েছে।

এদিকে এই বিষয়ে সম্ভল থানায় একটি শান্তি সভাও আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে দুই সম্প্রদায়ের ধর্মীয় প্রধানরা হোলি উদযাপন এবং শুক্রবারের জুমার নামাজের সময় সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষের কোনও ঘটনা রোধ করার উপায় নিয়ে আলোচনা করেন।