রবিবার, মার্চ ১৬, ২০২৫
Logo
Shamsul Alam

রাজশাহী কলেজের শিক্ষার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা শামসুল আলম কে কুকুর শিয়াল দিয়ে হত্যা করা হয়।

Bijoy Bangla

ওয়ালিউর বহমান বাবু

প্রকাশের সময়: ১২ নভেম্বর, ২০২৪, ০৫:১৭পিএম

রাজশাহী কলেজের শিক্ষার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা শামসুল আলম কে কুকুর শিয়াল দিয়ে হত্যা করা হয়।

বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদ শামসুল আলম রাজশাহী কলেজের ডিগ্রির শিক্ষার্থী ছিলেন। স্বাধীনতার সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন। তিনি রাজশাহী জেলা সদরের হড়গ্রাম মুন্সি পাড়ায় রাবেয়া খাতুন ও রহুল আমিন সরকারের বড় ছেলে ।  ১৯৭১ সালের ১৩ নভেম্বর দিবাগত রাতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে বন্দি অবস্থায় হত্যা করা হয়। 

জানা যায় ১১ নভেম্বর ২১ রমজান বৃহস্পতিবার তার সঙ্গি বীর মুক্তিযোদ্ধা হেলেন রায়পাড়ায়ধরা পড়েছে এ খবরে তিনি তার সঙ্গি  রাজশাহী মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা সানাউল্লাহর সাথে হড়গ্রাম বাজারে কথা বলে  নিরাপদ স্থানে সরে জাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন । সানাউল্লাহর বাড়ি ফিরে দেখেন বাাব নেই তাবলিগে গেছেন । মাঝরাতে পড়া শেষে ঘুমাতে যাওয়ার সময় পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর সমর্থকরা ধরাপরা হেলেনকে সাথে নিয়ে সানাউল্লাহর বাড়ির পাশের একজন কে দিয়ে সানাউল্লাহ ডাকিয়ে দরজা খুলার পর লুটাপাট করে সানাউল্লাহ ও হেলেনকে ধরে বীর মুক্তিযোদ্ধা শামসুল আলম কে ধরার জন্য শামসুল আলমের বাড়ির সামনে গয়ে তাদের গান পয়েন্টে বসিয়ে রাখে।  বীর মুক্তিযোদ্ধা শামসুল আলম, বীর মুক্তিযোদ্ধা হেলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা সানাউল্লাহ, বীর মুক্তিযোদ্ধা তালেব, বীর মুক্তিযোদ্ধা সুরুজ, বীর মুক্তিযোদ্ধা ছাইদুর রহমান একই গ্রুপের। তারা শামসুল আলম কে না পেয়ে , বীর মুক্তিযোদ্ধা সুরুজ কে ধরতে গিয়ে দুই জনকেই ধরে ফেলে। শামসুল আলম চিনতে না পেরে ছেড়ে দিলে একজন তাকে ধরিয়ে দেয় । তাদের রাজশাহী জেলা সদরের কোটর্ স্টেশনের কােেছ ফাল্গুনী নামে বাড়িতে করা নির্যাতন ক্যাম্পে নির্যাতন করতে থাকে । পরের দিন ১২ নভেম্বর ভোরে পাকিস্তানি সৈন্যরা তাদের সেখান থেকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের জোহা হল ক্যাম্পে নিয়ে নির্যাতন করতে থাকে এরপর সানাউল্লাহ ও শামসুল আলম কে হলের একটি ঘরে বন্দি রাখা হয়। বিকেলে সংকট জনক অবস্থায় বীর মুক্তিযোদ্ধা হেলেন ও বীর মুক্তিযোদ্ধা তালেব ধরে এনে বন্দি রাখে।১৩ নভেম্বর মধ্যরাতে তাদের জোহা হল ক্যাম্পের তিন তলায় লাইন কারিয়ে বেধে নিচে নামানোর সময় এক সিন্ধি অফিসার সানাউল্লাহকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে রক্ষা করেন। (সানাউল্লাহ  ঐ অফিসারের ভাইয়ের মত দেখতে মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী)। বীর মুক্তিযোদ্ধা শামসুল আলম ও অনান্য দের নিচে নামানোর কিছু ক্ষন পর গোঙ্গানির শব্দ শোনা যায়। এর পর বদ্ধ ভূমিতে থাকা পাগলা একপাল কুকুর  শিয়ালের চিৎকার। ধারনা সে সময় পাকিস্তানি সৈন্যরা অস্ত্র সংকটে তাদের হত্যার কৌশল পাল্টিয়ে ফেলে। সম্ভবত বীর মুক্তিযোদ্ধা শামসুল আলম ও অনান্য দের কুকুর শিয়াল দিয়ে হত্যা করানো হয়।

তথ্য সুত্র ঃ বীর মুক্তিযোদ্ধা ডাঃ সানাউল্লাহ। লেখক ওতথ্য সংগ্রাহকঃ সমাজ ও সংস্কৃতিক কর্মী, রাজশাহী।