রবিবার, মার্চ ১৬, ২০২৫
Logo
Thoughts on International Women's Day, March 8
৮ মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবস-এর ভাবনা

গোদাগাড়ীর রামদাসপাড়ার নারীদের এগিয়ে চলার কথা বাবুল চন্দ্র সূত্রধর

Bijoy Bangla

বাবুল চন্দ্র সূত্রধর

প্রকাশের সময়: ০৮ মার্চ, ২০২৫, ১১:৪৭এএম

গোদাগাড়ীর রামদাসপাড়ার নারীদের এগিয়ে চলার কথা  বাবুল চন্দ্র সূত্রধর
গোদাগাড়ীর রামদাসপাড়ার নারীদের এগিয়ে চলার কথা বাবুল চন্দ্র সূত্রধর

নারীরা আজ কোনদিকে পিছিয়ে নেই। স্থানীয়, জাতীয় বা আন্তর্জাতিক- যেকোন পরিমণ্ডলেই কথাটি সত্য। একদা অবলা বলে পিছিয়ে রাখা নারীরা তাদের মেধা ও যোগ্যতার প্রমাণ রেখে নানা পেশায় আজ সম্মানের সাথে আসীন রয়েছেন। শুধু কি তাই? গ্রাম ও শহরের অশিক্ষিত বা অর্ধশিক্ষিত নারীরাও এখন বসে নেই; তারা পরিবারের অগ্রগতির লক্ষ্যে নিজ নিজ সাধ্যমত চেষ্টা করে চলছেন। সেলাই, সূচিশিল্প, হাঁস মুরগী কবুতর পালন, বাড়ীর আঙ্গিনায় বা আশেপাশে সবজি চাষ এমনকি মাঠে গিয়ে সম্মিলিতভাবে চাষাবাদও গ্রামীণ নারীরা করছেন। উন্মেচিত হচ্ছে নারীর স্বািনর্ভরতা অর্জনের নবদিগন্ত।

রামদাসপাড়া। রাজশাহী জেলার গোদাগাড়ী উপজেলার ৪নং ঋষিকুল ইউনিয়নের অন্তর্গত ৪নং ওয়ার্ডের মাণ্ডইল গ্রামের একটি পাড়া। রামদাস জনগোষ্ঠীর নাম অনুসারেই পাড়াটির নামকরণ। ৪৫টি পরিবারে তিন শতাধিক মানুষের বসবাস এই পাড়ায়। গোদাগাড়ী উপজেলার কাকনহাট পৌরসভা থেকে গ্রামটি ৪ কিলোমিটার উত্তরে অবস্থিত।

আর্থিকভাবে এই জনগোষ্ঠীর লোকজন খুব অসচ্ছল- দিন এনে দিন খাওয়ার মত পরিস্থিতি। অধিকাংশের পেশা দিনমজুরী, কৃষিশ্রমিক, ভ্যানচালক কিংবা বেতের কাজ। নারীরাও দিনমজুরী করেন, ২/৩ জন দর্জির কাজও করেন। আয়ের সীমাবদ্ধতার কারণে তারা পরিবার বা সমাজকে নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার কথা মাথায়ই আনতে পারতেন না। ২০২২ সনের কোন এক সময়ে একটি সামাজিক গবেষণামূলক সেবা সংস্থা এই গ্রামে এসে কাজ করার প্রস্তাব করলে পাড়ার তরুণ ও মুরুব্বীরা সংস্থাটির কাজের ধরন, লক্ষ্য, উদ্দেশ্য প্রভৃতি জানতে চান। কয়েক দফা যোগাযোগ ও আলোচনার পর তাদের সম্মতি নিয়ে সংস্থাটি কাজ শুরু করে। তিনটি দল (১৫ সদস্যবিশিষ্ট নারী দল ২টি ও পুরুষ দল ১টি) গঠন করার পর আলোচনার প্রথমেই আসে পাড়া বা জনগোষ্ঠীতে বিরাজমান সমস্যাবলী চিহ্নিত করার পালা। সংস্থার অভিজ্ঞ কর্মীরা চিহ্নিত সমস্যাগুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে এগুলোর উৎপত্তি, ব্যাপ্তি ও প্রকোপ এবং সম্ভাব্য সমাধানের উপায় অনুসন্ধানে সদস্যদেরকে উজ্জীবনা দান করেন। সুযোগমত মাঝে মাঝে নিজেদের মতামতও বিবেচনার জন্য উপস্থাপন করেন। ফলে শুরু হয় নিজেদের মধ্যে বুঝাপড়া তথা আত্মজিজ্ঞাসার মত অতীব মূল্যবান ও কার্যকর উপাদান। সকলের মতামত নিয়ে সমস্যাগুলোকে দু’টি ভাগে বিভক্ত করা হয়। যথা-

ক. সেসব সমস্যা যেগুলো একমাত্র নিজেদের উদ্যোগেই সমাধান করতে পারা যায়; যেমন শিশুদের শিক্ষা, বাল্যবিবাহ রোধ প্রভৃতি।

খ. সেসব সমস্যা যেগুলো নিকটস্থ দায়িত্ত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানের ন্যায্য সহযোগিতায় সমাধান হতে পারে যেমন, সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় প্রাপ্তব্য সেবাসমূহের সাথে যুক্ত হওয়া।

চিহ্নিত সমস্যাগুলো নিয়ে শুরু হয় বিশ্লেষণমূলক আলোচনা, তৈরী করা হয় একটি অগ্রাধিকার তালিকা। তালিকায় প্রথমেই আসে পানীয় জলের বিষয়টি। গোটা বরেন্দ্র অঞ্চল বিশুদ্ধ পানির সমস্যায় জর্জরিত, এটি সকলেরই জানা। পানির স্বল্পতার প্রত্যক্ষ শিকার নারীরা একবাক্যে পানির সমস্যাকে এক নম্বর সমস্যা হিসেবে তুলে ধরেন। পুরুষরাও সমর্থন দেন। করণীয় স্থির করতে বসে নারী-পুরুষের যৌথ বৈঠক। যার যার চিন্তা ব্যক্ত করতে থাকেন। সকলের আলোচনায় স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদে আবেদন করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। আবেদনের মাসখানিক পর জানা যায় যে, পানির জন্য মর্টার স্থাপনের ফি বাবদ ৭,১০০.০০ টাকা ব্যাঙ্কে জমা দিলে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। পাড়ার সকল পরিবার থেকে চাঁদা তুলে টাকা জমা দেওয়ার কয়েকদিনের মধ্যে মর্টার চলে আসে। যথামসয়ে এটি স্থাপিত হয়। বহু প্রতীক্ষিত মর্টার স্থাপিত হওয়ায় রামদাসপাড়ার লোকজনের শুভ উদ্যোগের প্রথম সফলতার দৃষ্টান্ত সৃষ্টি হয়। । 

 মর্টার স্থাপিত হওয়ার পর দেখা দিল আর এক সমস্যা। রাস্তার একেবারে লাগোয়া মর্টারটির পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় পুরো রাস্তা জলমগ্ন হয়ে যেতে লাগল। পাড়ার সকল দলের সদস্যরা আবার একত্রিত হলেন। কেউ বললেন, সবাই আবার ইউনিয়ন অফিসে গিয়ে বলি। সংস্থার কর্মীরা প্রশ্ন ছুড়লেন, ধরুন, আবার গিয়েও কাজ হল না, তখন কি করবেন? কেউ কেউ উত্তর দেন, উপজেলা, জেলা, পল্লী উন্নয়ন, .. ..  ইত্যাদি। যদি ওখানেও না হয়, তাহলে কি করবেন? তরুণ ছাত্র অপু রামদাস জানতে চান, এখানে কত টাকা লাগতে পারে? সবার সক্রিয় আলোচনায় স্থির হয় যে, ১০-১২ হাজার টাকায় কাজটি হয়ে যেতে পারে। শুনে সুমা রাণী বললেন, মুঠি (মুষ্টিচাল) তুলে এ টাকা তো আমরাই জোগাড় করতে পারি। সকলের মতামতের ভিত্তিতে ঠিক হয় যে, প্রতিদিন প্রতি পরিবার মুষ্টিচাল সংগ্রহ করবে, এতে মাসে প্রায় ৫০ কেজির মত চাল উঠবে যার মূল্য সাড়ে তিন হাজার টাকার মত হবে; এতে করে তিন/ চার মাসে এই টাকার সংস্থান হয়ে যাবে। পুরুষরাও বসে থাকেননি। তারা ব্যক্তিগত ও পারিবারিকভাবে চাঁদা সংগ্রহ করতে থাকেন। এক পর্যায়ে পাড়ার নারী-পুরুষ যোগাযোগ করেন এলাকার বিশিষ্ট সমাজসেবী অবসরপ্রাপ্ত কাস্টমস কর্মকর্তা সুনন্দন দাস রতনের সাথে। তাঁর সক্রিয় সহযোগিতা ও পাড়ার সকলের আন্তরিক প্রচেষ্টায় প্রায় দু’মাসের মাথায় পাইপ কিনে নিজেরাই পানি চলাচলের যথাযথ ব্যবস্থা করে ফেলেন। 

মুষ্টিচালের সঞ্চয় থেকে রামদাসপাড়ার নারীদের মনে আগ্রহ জাগে উপার্জনের আরোও কোন উপায় বের করা যায় কিনা। একজন দু’জন করে এই চিন্তাটি চলে আসে মাসিক বৈঠকে। বৈঠকের আলোচনার সূত্র ধরে একজন নারী কেনেন চারটি রাজহাঁসের ছানা। ক্রমশ তা ছড়িয়ে পড়ে অনেকের মাঝে। এখন রামদাসপাড়ার নারীদের রাজহাঁসের বিচরণে পার্শ্ববর্তী মাঠ শ্বেতবর্ণে শোভিত হয়ে উঠেছে; আর ‘প্যাক প্যাক’ শব্দে যেন মুখরিত থাকে পুরো মাঠ। গ্রামের গৃহবধু মণিবালা আনন্দের সাথে বললেন, ‘আমরা নারীরা পরিবারের আর্থিক কর্মকাণ্ডের অংশ. তা আমাদের জানাই ছিল না। সংস্থার সাথে মাসিক বৈঠক ও প্রশিক্ষণে যোগ দিয়ে আমাদের মাথায় এটি এসেছে। আমার ১৫টি হাঁস আছে; একটি বিক্রী করলেই মেয়ের পরীক্ষার ফরম পূরণের ব্যবস্থা হয়ে যাবে, কারো কাছে হাত পাততে হবে না; পরিবারের কর্তাও নিজেকে অনেকটা ভারমুক্ত মনে করেন’। 

একই চেতনা থেকে তাদের পাড়ার মন্দিরের কাজ প্রায় সম্পন্ন হতে চলেছে, যেখানে এ পর্যন্ত চার লাখ টাকার মত খরচ হয়েছে, স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ থেকে পাওয়া গেছে মাত্র ৫০,০০০.০০ টাকা। নারীদের মুষ্টিচাল সংগ্রহের পাশাপাশি  পুরুষদের আন্তরিক তৎপরতা বিশাল অঙ্কের এই টাকার যোগান দিয়ে চলেছে। শুধু তাই নয়, নারীদের প্রস্তাবন্ াও নারী-পুরুষ সকলের নিরলস শ্রমে রামদাসপাড়ায় গত বছর অনুষ্ঠিত হয়ে গেল নামযজ্ঞের মত মহতী উৎসব; তারা বলেছেন, এই উৎসব প্রতি বছরেই হবে। এভাবে আরোও বেশ কিছু উন্নয়নকাজে হাত দিয়েছেন রামদাসপাড়ার নারীরা। সাথে পুরুষদের রয়েছে সক্রিয় সমর্থন ও সহযোগিতা। স্থানীয় শক্তিশালী ভূমিগ্রাসী চক্রের কবল থেকে তাদের শ্মশানের মাটি রক্ষার আন্দোলনও তারা একইসাথে চালিয়ে যাচ্ছেন। 

এই কাজগুলোতে সফলতা আসায় পুরো পাড়ায় আত্মবিশ্বাসের এক তৃপ্তির সঞ্চার ঘটে। আত্মবিশ্বাসের পথ ধরে উন্মুক্ত হয় আত্মশক্তির দ্বার। আত্মশক্তিকে কেন্দ্র করে স্বনির্ভর হওয়ার অভিযাত্রায় আত্মমর্যাদার রাজপথের সন্ধানে দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছেন পাড়ার লোকজন। নারী-পুরুষ তো বটেই, শিশুরাও যেন ‘কারো দয়া-দাক্ষিণ্যের অপেক্ষায় থাকতে হবে না’ এমন এক দীক্ষা পেয়ে গেছে। বর্তমানে রামদাসপাড়ার প্রায় ১৫ জন ছাত্র-ছাত্রী কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে পড়াশোনা করছে। এরা প্রতিষ্ঠা পেয়ে গেলে পাড়ার চিত্র পুরো পাল্টে যাবে। ছোটরাও তাদেরকে অনুসরণ করছে। জনসংখ্যায় অতি ক্ষুদ্র হলেও আত্ম উন্নয়নের কর্মতৎপরতায় তাদের উদ্যোগগুলো প্রশংসা কুড়িয়েছে সারা অঞ্চলে। 

এ প্রসঙ্গে একটি বিষয় তুলে ধরা প্রয়োজন। অনেকের নিকট এই অর্জনগুলোকেকে নিতান্ত তুচ্ছ মনে হতে পারে। কিন্তু যারা এই অর্জনগুলো নিজেদের উদ্যোগে সম্ভব করে তুল্েেছন, শুধু তারাই জানেন এর পেছনে কত কাঠখড়ি পোড়াতে হয়েছে। নির্বাচনের পর নির্বাচিতরা যাদেরকে চিনতে পারে না, দারিদ্র্যের কষাঘাতে যারা ডান-বাম তাকানোর ইচ্ছা ও শক্তি হারিয়েছেন, বিভিন্ন সেবাদানকারী সংস্থার দপ্তরে যাদের প্রবেশাধিকার অবারিত ছিল না, রাষ্ট্রের অন্যান্য নাগরিকের মত সমান অধিকার ও মর্যাদা নিয়ে বসবাসের তথ্য যাদের অজানা ছিল, সকলের চিন্তা ও কর্ম একত্রিত করতে পারার ফলাফল সম্পর্কে যাদের কোন ধারণা ছিল না, তাদের নিকট এগুলো ক্ষুদ্র নয়, বৃহৎ! আরোও বৃহৎ এই অর্জনগুলো থেকে উৎসারিত অমূল্য মানসিক চেতনা তথা আত্মশক্তি। 

যে সংস্থাটি রামদাসপাড়ার নারীদেরকে এহেন কর্মকাণ্ডে ব্রতী করে তুলেছে, উন্নয়নের কাজে সকল নারী-পুরুষকে একমুখী করে তুলেছে, তার নাম রিসার্চ ইনিশিয়েটিভস বাংলাদেশ (রিইব)। অংশগ্রহণমূলক কর্ম গবেষণা বা  গণগবেষণা নামক পদ্ধতি অবলম্বনে সংস্থাটি দেশের বিভিন্ন জেলায় সবচেয়ে পিছিয়ে থাকা লোকজনকে নিয়ে সামাজিক উন্নয়নের কাজ করে থাকে। ২০০২ইং সন থেকে রিইব একই কাজ করে চলেছে।

পাড়ার মুরুব্বী ঝড়ু রামদাস (৮৫) বলেন, ‘গণগবেষণার মাধ্যমে আমরা যা পেয়েছি, তা হয়ত চোখে দেখা যায় না, কিন্তু অনুভব করা যায়। সংস্থার বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আমরা জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ অনেক বড় বড় কর্মকর্তার সাথে কথা বলেছি সরাসরি, আমাদের কষ্টের কথাগুলো মন খুলে বলতে পেরেছি, এতে আর যাই হোক আমাদের সৎসাহস বেড়েছে, দেশের নাগরিক হিসেবে মর্যাদাবোধ সৃষ্টি হয়েছে। পাড়ার ছেলেমেয়েসহ সবাই যে মানসিক শক্তি অর্জন করেছে, তা কখনো বিলীন হওয়ার নয়। আমরা এই সংস্থার কাজকে সম্মান করি’। নার্সিং কলেজে অধ্যয়নরত ঝর্ণা রাণী বলেন, ‘সকলে মিলে কাজ করার কী যে আনন্দ, তা ভেবে মন আপ্লুত হয়ে যায়, মনে হয় আমরা এক পরিবারের মানুষ; ব্যক্তিগত আড্ডায়ও কেন যেন গণগবেষণার কথা, পাড়ার উন্নয়নের কথা চলে আসে’।

ইতোমধ্যে রামদাসপাড়ার তিনজন সমাজকর্মী (সুমা, সুবর্ণা ও অপু) যশোর সদর উপজেলার ১২নং ফতেপুর ইউনিয়নের ফতেপুর গ্রাম পরিদর্শন করে এসেছেন। প্রায় ৩৫০টি কায়পুত্র (কাওড়া) পরিবার অধ্যূষিত গ্রামটি যশোর জেলা প্রশাসন কর্তৃক ‘আদর্শ গ্রাম’ –এর স্বীকৃতি পেয়েছে। গ্রামবাসীর সম্মিলিত প্রয়াস, সামাজিক অগ্রগতির জন্য নিরন্তর প্রচেষ্টা, শিক্ষায় অংশগ্রহণ, সামাজিক অনাচার (বাল্যবিবাহ, যৌতুক, নেশা প্রভৃতি) প্রতিরোধ, একতাবদ্ধতা প্রভৃতিতে ব্যাপক কাজ হয়েছে ও হচ্ছে জেনে জেলা প্রশাসক মহোদয় এহেন ঘোষণা প্রদান করেন এবং স্থানীয়ভাবে কর্মরত সেবা প্রদানকারী সকল সংস্থাকে এই গ্রামে নিজ নিজ অবদান রাখার নির্দেশনা দিয়েছেন। গ্রামটি সরেজমিনে প্রত্যক্ষ করে রামদাসপাড়ার কর্মীরা খুব উজ্জীবিত হয়েছেন। তারা তাদের কর্মতৎপরতার মাধ্যমে তাদের পাড়াকেও ‘আদর্শ’ রূপে প্রতিষ্ঠা করার ব্রতে আরোও সুসংহত হয়েছেন। 

তাদের এই মহতী উদ্যোগ সফল হোক। দেশের প্রতিটি মানুষ, প্রতিটি পরিবার, প্রতিটি পাড়া স্বকীয় পদ্ধতির উন্নয়নের এই অভিযাত্রায় অংশগ্রহণ করুক। দেশের প্রতিটি গৃহকোণ শান্তিতে আনন্দে ভরে উঠুৃক। 

লেখক ও  পরিচিতি :  বাবুল চন্দ্র সূত্রধর, মানবাধিকারকর্মী ও গবেষক