রমজান মাসে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের পাশাপাশি বাড়তি চাপ তৈরি হয় ফলের বাজারে। সারাদিন রোজা শেষে ইফতারের আয়োজনে নানারকম ফল স্থান পায়। তবে এবার রমজানে সেই ফলের বাজারেও স্বস্তি নেই। তরমুজ থেকে আপেল সবকিছুতেই যেন ‘আগুন’।
শুক্রবার (২২ মার্চ) রাজধানীর বাসাবো মাদারটেক ও টেম্পু স্ট্যান্ড ফল বাজার ঘুরে এবং সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে এমন চিত্র দেখা গেছে।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি আপেল মানভেদে ২৫০ থেকে ৩৫০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। বাজারে প্রতি কেজি নাশপাতি ২৭০ টাকায় ও ছোট কমলা ২৫০ কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া বড় কমলা কেজিপ্রতি ২২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া প্রতি কেজি ডালিম ৩৫০ টাকা, আঙুর ২৮০ থেকে ৩০০ টাকা, কালো আঙুর ৪০০ টাকা, মাল্টা ২৮০ থেকে ৩০০ টাকা, পেয়ারা ৬০ টাকা, প্রতি হালি কলা ২০ থেকে ৮০ টাকা এবং প্রতি পিস মাঝারি সাইজের তরমুজ ৩০০ থেকে ৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
ফল কিনতে আসা আব্দুল আলিম মিয়া বলেন, বৃদ্ধ মা রোজা রাখেন। মা প্রতিদিন একটু আপেল খান ইফতারে। বাচ্চারাও আপেল পছন্দ করে। কিন্তু ফলের যে দাম তাতে আর কিনে খাবার উপায় নেই। আনার, নাশপাতি, আঙুর যা কিছুই কিনতে যাই অনেক দাম।
ফল কিনতে আসা সজীব হাসান বলেন, প্রতিটি জিনিসেরই দাম অনেক বেশি। রমজানে দাম কমানোর বদলে বেড়ে যায়। সবকিছুর দামে যেন আগুন। মানুষের আর কিছুই কিনে খাবার উপায় নেই।
ফল বিক্রেতা হাফিজুর রহমান বলেন, ফলের দাম আসলেই অনেক। অনেকে ফল দেখে দু’একটা নেন। বেশিরভাগ মানুষ এক কেজি নিতে সাহস পান না। রমজানে ফলের দাম একটু কমলেই ভালো। আমরা যেমন দামে কিনি তেমন দামেই বিক্রি করি।
আরেক বিক্রেতা গাউসুল আজম বলেন, সবকিছু আসলে আড়ৎদারদের হাতে। তারাই দাম কমায় কিংবা বাড়ায়। এখানে আমাদের হাত নেই। আমরা ছোট ব্যবসায়ী, আমাদের বলে লাভ নেই।