শুক্রবার, ডিসেম্বর ৬, ২০২৪
Logo

নতুন বইয়ের সঙ্গে দুপুরের খাবার বাড়তি আনন্দ যুগিয়েছে আলোর পাঠশালার শিক্ষার্থীদের

Bijoy Bangla

নিজস্ব প্রতিবেদক :

প্রকাশের সময়: ০১ জানুয়ারি, ২০২৪, ০৬:২১এএম

নতুন বইয়ের সঙ্গে দুপুরের খাবার বাড়তি আনন্দ যুগিয়েছে আলোর পাঠশালার শিক্ষার্থীদের

বছরের প্রথম দিনটা শিক্ষার্থীদের জন্য আনন্দের দিন। এ দিনে তারা নতুন বই হাতে নিয়ে আনন্দে মেতে ওঠে। তবে রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার বাবুডাইং আলোর পাঠশালার শিক্ষার্থীদের নতুন বইয়ের সঙ্গে বাড়তি আনন্দ যুগিয়েছে দুপুরের খাবার।



প্রথম আলো ট্রাস্ট পরিচালিত এ বিদ্যালয়ে বেলা ১১টায় জাতীয় সংগীতের মধ্য দিয়ে বই উৎসব শুরু হয়। বিদ্যালয়ের প্রাক-প্রাথমিক থেকে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের দেয়া হয় নতুন বই। বই হাতে পেয়েই উচ্ছসিত শিক্ষার্থীরা বাড়ি না গিয়ে দলবেধে ছড়িয়ে ছিটিয়ে বসে পড়ে বিদ্যালয়ের মাঠ, বসার বেঞ্চ, বিদ্যালয়ের প্রাঙ্গণসহ বাইরে জমির আলপথ, উঁচু পতিত জমির ঘাসে বসে নতুন বইয়ের ঘ্রাণ নিতে থাকে।


পাতা উল্টিয়ে দেখতে ও পড়তে থাকা নতুন পড়া। বইয়ের ছড়া বলতে শোনা যায় অনেককেও। এগুলো চলতে থাকে দুপুর পর্যন্ত। এরপর সকলে নানান সবজি দিয়ে তৈরি খিচুরির সঙ্গে ডিম নিয়ে খেতে বসে। এ বিদ্যালয়ে পাঠাগার নির্মাণে সহায়তা দেয়া অধ্যাপক তরিকুল ইসলাম স্মৃতি পরিষদের পক্ষ থেকে রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক এ খাদ্য সহায়তা দেন।



বই বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাবুডাইং আদিবাসী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা প্রধান শিক্ষক কানাই চন্দ্র দাস, বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি জহিরুল ইসলাম, গ্রাম্য মোড়ল কার্তিক কোল টুডু, মাধব কোল সরেন, চানু হাসদা, লগেন সাইচুরি, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আলী উজ্জামান নূর, চাঁপাইনবাবগঞ্জে প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক আনোয়ার হোসেন প্রমূখ।



বই বিতরণে আসা অভিভাবক, গ্রামের মোড়ল ও বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতিসহ অন্যান্য সদস্যরা মিলে সিদ্ধান্ত নেন, এরপর থেকে সাধ্যমত শিক্ষার্থীদের দুপুরের খাবার সরবরাহ করার। এজন্য নতুন বছর থেকে শিক্ষার্থীদের বাড়ি বাড়ি সাপ্তাহিক মুষ্টির চাল তোলা হবে। এছাড়া শুভানুধ্যায়ীদের কাছ থেকেও নেয়া হবে আর্থিক সহযোগিতা।



শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে গ্রাম্য মোড়ল ও বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সহসভাপতি কার্তিক কোল টুডু বলেন, আজকের দিনটি বড়ই আনন্দের দিন। শিক্ষার্থীদের সঙ্গেও আমরা আনন্দ পেলাম। নতুন বই পেয়ে ও  দুপুরের খাবার খেতে পাওয়ায় তোমাদের আনন্দ দেখে আমরাও খুশি।

শিক্ষার্থীদের একজন অভিভাবক লগেন সাইচুরি বলেন, এবার লতুন বচ্ছরের লতুন দিনট্যাতে গিদরো-পিদরো আর গাঁয়ের মানুষসহ সবাই মিল্যা যুতমতনই আনন্দটা করল। এমন আনন্দ এরআগে আর হয়নি।