★★গ্রীষ্ম শীতে হর্ণ বাজিয়ে ট্রেন চলে,
বুকের ভেতর দুমড়ে মুচড়ে একাকার,
ট্রেনের চালক কেমন মানুষ কে জানে,
তাঁদের হাতে হয়তো থাকে প্রভুর হাত !
মান্ধাত্বার সব কোচ, ইঞ্জিন আর রেললাইন,
এখনও আছে সেই পুরাতন সিগনালিং !
স্লিপার ব্যালাস্ট প্যান্ড্রোল ক্লিপ স্বল্পতায়,
কুয়াশা ঘোরে দুর্বৃত্তদের রমরমা !
অন্ধকারে লাইন কাটে কুলাঙ্গার,
হিংসা লোভে আগুন জ্বালায় অমানুষ,
মানুষ মেরে ওরাই নাকি ধন্য সব !
কুজ্ঝটিকায় ট্রেনের সামনে সমুদ্র,
সাগরতলায় যায় যেন তার রেলগাড়ী,
ঘোর কুয়াশায় ধোঁয়াশাতে সব ঢাকা !
তারপরও তার চলা ছাড়া উপায় নাই,
চলতে চলতে কখনও যদি জড়তায়,
অনিচ্ছায়ও দুর্বলতা ঘিরে নেয়,
ওরাই হবে বলির পাঁঠায় গন্য !
পেটের দায়ে জীবন তাঁদের ঝুঁকিতে,
ছুটিছাটা নাই নাকি ঐ কপালে,
পাইলটিংএ মানুষরূপি রোবট সব,
একলা বসে আঁধার কেটে ট্রেন টানে,
বুকে তাঁদের বিশাল পাষাণ শূন্যতা !
ভুল চালকদের অভিধানে লেখা নাই,
চুন থেকে পান খসলে তাঁদের চাকরি যায়,
পানিশমেন্টে সার্ভিস বুক রক্তলাল !
দিনে দিনে দায় বাড়ানো যন্ত্রণা,
দিনশেষে যাঁর বিশ্রামেরও বালাই নাই,
তাঁদের হাতেই জানমাল চাই নিরাপদ,
হোকনা ওরা লক্ষ জ্বালায় অতিষ্ঠ !
যাত্রী আমরা থাকবো নানান ছন্দে,
দ্বন্দ্ব দিধা ট্রেন চালকদের গলার হার,
আমরা কেনো পীড়া-প্যারার ধারবো ধার,
ট্রেন চলবে বকুল বেলীর গন্ধে !
উপেক্ষিত বঞ্চিত সব ট্রেনচালক,
শব্দে শব্দে শুনায় কত সুখের সুর,
যেসব সুরে নিত্য নতুন বিনোদন,
যার আবেদন নেই চালকদের সংসারে!
পদ্মাসেতু মংলা বন্দর কক্সবাজার,
রেলগাড়ীতে আনন্দের দিন বাড়ছে !
স্বস্তি শান্তি সুখে থাকা বিনোদন,
একে একে ট্রেনচালকদের ছাড়ছে !
হারছে দেখি নিয়মনীতির ঐকতান,
হারাচ্ছে সব আপন বিবেক হারামখোর,
আরাম আয়েশ স্বপ্ন হারায় ট্রেন চালক,
কখন যে হায় আসবে তাদের নতুন ভোর !