অমর একুশে বইমেলার ১৫তম দিন আজ। মেলা শুরু হয়েছে বিকেল ৩টায়। বরাবরের মতোই আজও মেলায় প্রকাশিত হয়েছে ৯৭টি নতুন বই।
বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) রাতে বাংলা একাডেমির জনসংযোগ, তথ্যপ্রযুক্তি ও প্রশিক্ষণ বিভাগ থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
একই সঙ্গে বইমেলায় বিকেল ৪টায় বইমেলার মূল মঞ্চে অনুষ্ঠিত হয়েছে স্মরণ : আবদুল হালিম বয়াতি শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জোবায়ের আবদুল্লাহ।
প্রাবন্ধিক বলেন, বাংলাদেশের লোকসংগীতাঙ্গনে যেসব সাধক-ব্যক্তিত্ব নতুন ধারা প্রবর্তনে প্রবর্তকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন মরমি সংগীতসাধক আবদুল হালিম বয়াতি তাঁদের অগ্রগণ্য। সংগীতসৃষ্টি, সুরারোপ এবং পরিবেশনার মাধ্যমে তিনি এদেশের শহর ও গ্রামাঞ্চলে সমান জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষায় তাঁর বিচরণ অতি সামান্য হলেও সংগীতসাধনায় তিনি ছিলেন নিরলস ও উদ্যোগী। প্রকৃতিদত্ত প্রতিভা এবং বৈচিত্র্যময় গ্রন্থপাঠের মাধ্যমে অর্জিত জ্ঞানালোকে তিনি নিজেকে যেমন সমৃদ্ধ করেছেন, তেমনি অর্জিত অভিজ্ঞতা ও অভিজ্ঞানকে গীত-গানের মাধ্যমে শৈল্পিক সাবলীলতায় উপস্থাপন করে অর্জন করেছেন জননন্দিত শিল্পীর স্বীকৃতি।
এ সময় আলোচনায় অংশ নেন মো. নিশানে হালিম। তিনি বলেন, বাংলাদেশের সংগীত জগতের কিংবদন্তি শিল্পী আবদুল হালিম বয়াতি ছিলেন একাধারে দার্শনিক, কবি, লোকসংগীতের প্রবাদপুরুষ, বিচারগানের প্রবর্তক এবং মুক্তিযোদ্ধা। অপরিসীম মেধা ও প্রতিভার অধিকারী আবদুল হালিম শৈশবে পিতার কাছ থেকে মারফতি ও মুর্শিদি গানের পাঠ গ্রহণ করেন। ধূমকেতুর মতো বাংলা গানের ভুবনে আবির্ভূত হয়ে ধ্রুবতারার মতো স্থায়ী আসন করে নেন তিনি। কঠোর পরিশ্রম ও সাধন-ভজনের মাধ্যমে তিনি নিজেই একটি প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছিলেন। তাঁর রচিত গানের মধ্যে ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক গান বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সাইদুর রহমান বয়াতি। তিনি বলেন, আবদুল হালিম বয়াতির মতো প্রতিভাবান সাধককবি এদেশে বিরল। বাংলার লোকসংগীতের ইতিহাসে তাঁর নাম স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। তাঁর সৃষ্টি ও সংগীতের মধ্য দিয়ে আবদুল হালিম ভক্তশ্রোতাদের অন্তরে চিরকাল বেঁচে থাকবেন।
আজ লেখক বলছি অনুষ্ঠানে নিজেদের নতুন বই নিয়ে আলোচনা করেন কথাসাহিত্যিক মাসুদুল হক, কবি ও সম্পাদক এজাজ ইউসুফী এবং গবেষক কাজী সামিও শীশ এবং শিশুসাহিত্যিক রুনা তাসমিনা ।
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে কবিতা পাঠ করেন কবি গোলাম কিবরিয়া পিনু, মিহির মুসাকী, শফিক সেলিম, খোকন মাহমুদ এবং ইমরুল ইউসুফ। আবৃত্তি পরিবেশন করেন আবৃত্তিশিল্পী এ বি এম রাশেদুল হাসান, শিরিন জাহান এবং তালুকদার মো. যোবায়ের আহম্মেদ টিপু।
আগামীকালের বইমেলার সময়সূচি
আগামীকাল ১৬ ফেব্রুয়ারি (শুক্রবার) অমর একুশে বইমেলার ১৬তম দিন। মেলা শুরু হবে সকাল ১১টায় এবং চলবে রাত ৯টা পর্যন্ত। সকাল ১১টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত মেলায় থাকবে শিশুপ্রহর। সকাল ১০টায় বইমেলার মূল মঞ্চে অমর একুশে শিশু-কিশোর আবৃত্তি প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্ব অনুষ্ঠিত হবে। বিকেল ৪টায় বইমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হবে স্মরণ : ব্রিগেডিয়ার (অব.) আব্দুল মালিক শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। এতে প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন হারিসুল হক। আলোচনায় অংশগ্রহণ করবেন ফজিলাতুন নেছা মালিক এবং এস এম মোস্তফা জামান। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন অধ্যাপক এ বি এম আবদুল্লাহ।
অচ / বি