অনলাইন ডেস্ক: যাত্রীবাহী ট্রেনে নারীদের জন্য পৃথক কামরা বরাদ্দের নির্দেশনা কেন দেয়া হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে হাইকোর্ট। একইসঙ্গে শিশু, বয়স্ক ও প্রতিবন্ধীদের নিরাপদ ভ্রমণে পৃথক আসন বরাদ্দের নির্দেশনা কেন দেয়া হবে না, রুলে তাও জানতে চাওয়া হয়েছে। বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি এস এম মনিরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ বুধবার এ আদেশ প্রদান করেছেন। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে রেল সচিব, রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক ও রেলওয়ে পরিদর্শকসহ সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন এ্যাডভোকেট আজমল হোসেন ও মোমতাজ মৌ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি এ্যাটর্নি জেনারেল সমরেন্দ্র নাথ বিশ্বাস।
এর আগে ১৩ জানুয়ারি ট্রেনে নারীদের নিরাপদে ভ্রমণের জন্য পৃথক কামরা বরাদ্দের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়। আইনজীবী মোঃ আজমল হোসেন খোকন এ রিট দায়ের করেন। ওইদিন আইনজীবী আজমল হোসেন খোকন বলেছিলেন, বাংলাদেশ রেলওয়ের আইন অনুযায়ী নারীদের জন্য আলাদা কামরা বরাদ্দ থাকলেও তা কার্যকর না। এ কারণে আইনটি বাস্তবায়নের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, ট্রেনে ভ্রমণ অত্যন্ত আরামদায়ক। কিন্তু কোন নারী যদি একা ট্রেনে যাতায়াত করতে চায়, তাকে অনেক ভিড় ঠেলে উঠতে হয়। এছাড়াও যেসব নারীরা দুধের শিশু নিয়ে ট্রেনে ওঠেন, তাদেরও একটি বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে হয়। প্রতিটি ট্রেনে নারীদের জন্য পৃথক একটি কামরার কথা বলা থাকলেও সেটি কোন ট্রেনে বাস্তবায়ন হয়নি। এর আগেও ২০২০ সালের ১৩ অক্টোবর নারীদের জন্য আলাদা কামরা বরাদ্দ চেয়ে একটি আইনী নোটিস পাঠিয়েছিলাম। তাতেও কোন কাজ না হওয়ায় রিট দায়ের করি। বাংলাদেশ রেলওয়ে আইন, ১৮৯০ এর ৬৪ ধারায় নারীদের জন্য একটি কামরা বরাদ্দ রাখার বিধান রয়েছে।