নীলফামারী সংবাদদাতা: নীলফামারী ১৭ ২৫ ও ২৬ মার্চের গুরুত্বপূর্ণ দিবন পালনের প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে নীলফামারীতে। আজ বুধবার(১০ মার্চ) বিকাল ৪টায় জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে এই প্রস্তুতিসভা অনুষ্ঠিত হয়। সভার সভাপতি নীলফামারী জেলা প্রশাসক হাফিজুর রহমান চৌধুরী বলেন, জাতীয় পর্যায়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ১৭ মার্চ জাতির জনক বঙ্গবন্ধ শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী ও শিশু দিবস, ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস ও ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবসের ৫০ বছরপূর্তি পালন করা হবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে এ দিবসগুলো যথাযথ মর্যাদায় পালন করা হবে।
জেলা প্রশাসক আরো বলেন, এ বছরটি আমাদের সবার জন্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ বছর। ২৫ মার্চ ছাড়া বাকি দিবসগুলো আমরা জাঁকজমক ভাবে উদযাপন করবো। প্রতিটি সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে আলোকসজ্জা করা হবে। ১৭ মার্চ জাতির পিতাকে সম্মান জানানোর মধ্য দিয়ে জেলা ও উপজেলাসহ ওইদিন জন্ম নেয়া শিশুকে প্রতিকী উপহার প্রদান করা হবে। আমরা চাই যথাযোগ্য মর্যাদায় সকলে মিলে-মিশে জাতীয় দিবসের কর্মসূচিগুলো উদযাপন করবো। মনে রাখতে হবে এ কর্মসূচিগুলো কারো একার নয়।
জেলা প্রশাসক ১৭, ২৫ ও ২৬ মার্চের কর্মসূচির নির্দেশনা দিয়ে আরো বলেন, জাতীয় পতাকাগুলো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নভাবে উত্তোলন করতে হবে এবং জাতীয় পতাকার যেনো কোনো রকম অবমাননা না হয়। পুষ্পস্তবকের সময় মাস্ক পরিহিত অবস্থায় প্রতিটি সংগঠনগুলো থেকে ৫জন এবং ব্যক্তি পর্যায়ে ২জন থাকতে পারবে। ২৫ মার্চ রাতে ব্লাকআউট কর্মসুচি পালনে রাত ৯টায় ১ মিনিট বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখা হবে। সেই ১মিনিটে যেন কোনরূপ অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, তার জন্যে প্রস্তুত থাকতে হবে।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আহজারুল ইসলাম সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) আবুল বাশার মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, সিভিল সার্জেন ডা. জাহাঙ্গীর কবির, প্রবীন রাজনীতিবিদ মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক এাডঃ জোনাব আলী, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহিদ মাহমুদ, বীরমুক্তিযোদ্ধা আমিনুল ইসলাম, বীরমুক্তিযোদ্ধা সহীদ গোলাম কিবরিয়া, বীর মুক্তিযোদ্ধা কান্তিভুষন কুন্ডু, সাংবাদিক তাহমিন হক ববী প্রমুখ।