রাজশাহীর বাঘায় বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে অনশনরত প্রেমিকার নিরাপত্তায় দুইজন চকিদার নিয়োগ করা হয়েছে। উপজেলার পাকুড়িয়া ইউনিয়নের গৌরাঙ্গপুর গ্রামের ওই প্রেমিকের বাড়িতে বৃহস্পতিবার (১১ মার্চ) দুপুরে ইউপি চেয়ারম্যান মেরাজুল ইসলাম এই চৌকিদার নিয়োগ করে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে চেয়ারম্যান বলেন, অনশন করা ওই কলেজ ছাত্রীকে পাহারায় দুজন চৌকিদার নিয়োগ করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, ছেলে ও তার পরিবারে সাথে যোগাযোগ করা হচ্ছে।
জানা গেছে, রাজশাহীর বাঘায় বুধবার বিকাল ৪টার দিকে প্রেমিকের বাড়িতে বিয়ের দাবিতে অনশন শুরু করেন ওই কলেজ ছাত্রী। এ বিষয়ে মেয়ের বাবা বাদি হয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ করলেও এখনো কোন ব্যবস্থা নেয়নি পুলিশ। অনশনের পর প্রেমিক আবদুল্লার বাড়ির সকল ঘরের দরজা এমনকি বাধরুমও তালাবন্ধ পরিবারের সদস্যদের নিয়ে অন্যত্র চলে গেছে বলে অভিযোগ ওই কলেজছাত্রীর।
অনশনরত কলেজ ছাত্রী জানান, বিয়ে না করা পর্যন্ত এই বাড়ি থেকে যাবো না, প্রয়োজনে আত্মহত্যা করবে। তিনি আরো জানান, ৬ মাস আগে গৌরাঙ্গপুর গ্রামের সাজদার রহমানের ছেলে সেনা সদস্য আবদুল্লার সাথে প্রেমের সম্পর্ক হয় তার। এই সম্পর্কের কারণে তার সাথে বেশ কয়েকবার দেখা-সাক্ষাত হয়েছে। কিন্তু আবদুল্লাহ আমাকে কিছু না জানিয়ে শুক্রবার (১২ মার্চ) অন্যত্র বিয়ে করার জন্য দিনক্ষণ ঠিক করেছে। এই বিয়ের দিন ঠিক হওয়ার খবর জানতে পেরে আবদুল্লার বাড়িতে এসে অনশন শুরু করেছি। এ সময় প্রেমিকা তার হাতে ব্লেড দিয়ে কেটে আবদুল্লার নাম লেখা দেখান।
এ বিষয়ে বাঘা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম জানান, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।