ঢাকারবিবার , ১৪ মার্চ ২০২১
  • অন্যান্য

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারী পার্কে বাঘের হামলায় কর্মচারী আহত

  • মার্চ ১৪, ২০২১, ৬:৪২ অপরাহ্ণ

অনলাইন ডেস্ক:   গাজীপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারী পার্কে বেষ্টনী থেকে বেরিয়ে পড়া একটি বাঘের হামলায় এক কর্মচারী রবিবার আহত হয়েছেন। তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। আহত ওই কর্মচারীর নাম মজুন মিয়া (৩৫)। শ্রীপুর উপজেলার বেলতলি গ্রামের শামসুল হকের ছেলে মজনু মিয়া আউটসোর্সিং কর্মচারী হিসেবে সাফারী পার্কের কোয়ারেন্টাইনে কাজ করেন বলে জানিয়েছেন পার্ক কর্তৃপক্ষ। সাফারী পার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সহকারী বন সংরক্ষক তবিবুর রহমান জানান, শ্রীপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারী পার্কের কোর সাফারী অংশে বাঘের বিচরণ থাকে। সেখানে বড় বেষ্টনী, মিনি বেষ্টনী ও খাবারের বেষ্টনী এই তিন ধরনের বেষ্টনীতে রয়েছে ১০টি রয়েল বেঙ্গল টাইগার। এ বেষ্টনীগুলোর পাশেই বাঘের জন্য নির্মাণ করা হচ্ছে একটি মেটারনিটি হাউজ ও আরও একটি মিনি বেষ্টনী। এর মধ্যে চিকিৎসা ও দেখভালের জন্য দুটি বাঘকে মিনি বেষ্টনীতে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়। রবিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ওই মিনি বেষ্টনী থেকে একটি স্ত্রী বাঘ ১০ ফুট উঁচু নিরাপত্তা দেয়াল টপকে পার্শ্ববর্তী নির্মাণাধীন মেটারনিটি হাউজ এলাকায় ঢুকে পড়ে। বাঘের উপস্থিতি দেখে সেখানে কর্মরতরা নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নেয়। পরে বাঘটি গ্রিল দিয়ে ঘেরা করিডর দিয়ে এগোতে থাকে। বাঘটি এনক্লোজার সংলগ্ন হাসপাতালের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা মজনু মিয়াকে মুখোমুখি পেয়ে তার ওপর হামলা চালায়। এ সময় পার্কের অন্য কর্মচারীরা বাঘটিকে সরিয়ে মজনু মিয়াকে উদ্ধার করে। পরে বাঘটি নিজ বেষ্টনীতে (বড়) ঢুকে পড়ে। দর্শণার্থীদের জন্য এ বড় বেষ্টনীতে বাঘকে রাখা হয়। পার্ক কর্তৃপক্ষ আহত মজনু মিয়াকে প্রথমে স্থানীয় আল-হেরা হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে সেখান থেকে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আল-হেরা হাসপাতালের চিকিৎসক গোলাম মেহেদী হাসান বলেন, আহত মজনু মিয়াকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকায় রেফার্ড করা হয়েছে। বাঘের কামড়ে ও থাবায় মজনু মিয়ার বাম হাতের মাংস পেশীতে (ডেল্টয়েড মাসল) ৩/৪টি এবং বগলের নিচে (এক্সিলারি রিজিওন) দুটি গভীর ক্ষত তৈরি হয়েছে। এছাড়াও তার বাম হাতের শোল্ডার স্থানচ্যুত হয়েছে। বগলের নিচের ক্ষত থেকে রক্ত অবিরত বের হচ্ছে। এ ক্ষতের ভিতরে বাঘের দাঁত বা নখ আটকে রয়েছে ধারণা করা হচ্ছে। তবে এক্স-রে ও পরীক্ষার পর তা নিশ্চিত হওয়া যাবে।