অনলাইন ডেস্ক: বান্দরবানে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের হুমকিতে ভয়ে আওয়ামী লীগসহ সহযোগী সংগঠনের ৬ নেতাকর্মী স্বেচ্ছায় সংগঠন থেকে পদত্যাগ করেছেন।
আজ রবিবার (১৪ মার্চ) সন্ধ্যা পর্যন্ত পদত্যাগকারীদের বেশিরভাগই সদর উপজেলার জামছড়ি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের। এছাড়া পার্শ্ববর্তী রোয়াংছড়ি উপজেলার তারাছা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীও রয়েছেন বলে জানা গেছে।
পদত্যাগকারীরা হলেন জামছড়ি ইউনিট শাখা যুবলীগের উখ্যাইঅং মারমা (৪০), মংউপ্রু মারমা (৩২), শৈপ্রু মারমা (৩৪), উথোয়াইসে মারমা (৩৬), উমংসিং মারমা (৪১)।
আর গত ১০ মার্চ পদত্যাগ করেন তারাছা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য তংপ্রু, পাড়ার স্থানীয় বাসিন্দা উশৈমং (৪৩)।
সংগঠন সূত্রে জানা গেছে, মাত্র এক সপ্তাহের ব্যবধানে সন্ত্রাসীদের অধ্যুষিত দু’টি ইউনিয়নের ৬ নেতাকর্মী পদত্যাগ করায় অন্যান্য সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের মধ্যেও এক ধরনের আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
আওয়ামী লীগের বেশ ক’জন নেতার ওপর সন্ত্রাসী হামলা ও হুমকিতে আতঙ্কিত হয়ে এখন স্বেচ্ছায় দল ছাড়ছেন সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
নাম প্রকাশে অনিশ্চুক জেলা আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী কয়েকজন নেতা বলেন, “পাহাড়ের সশস্ত্র সংগঠন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (জেএসএস) হুমকি, ভয়ভীতিতে আতঙ্কিত হয়ে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা পদত্যাগ করছেন।”
তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছে আঞ্চলিক রাজনৈতিক দল জনসংহতি সমিতি নেতারা।
বিষয়টি নিশ্চিত করে জেলা যুবলীগের সভাপতি কেলুমং বলেন, “পদত্যাগকারী ব্যক্তিরা যুবলীগের কমিটিতে নেই। সন্ত্রাসী হামলায় জামছড়ি যুবলীগ নেতা মংসঊ মারমা নিহত হওয়ার পর জামছড়িতে কোনো কমিটি গঠন করা হয়নি।”
প্রসঙ্গত, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের হামলায় এ পর্যন্ত বান্দরবানের রোয়াংছড়ি ও সদর উপজেলায় ১৫ জনের মতো নেতাকর্মী নিহত হয়েছেন।