ঢাকাবৃহস্পতিবার , ১৮ মার্চ ২০২১
  • অন্যান্য
আজকের সর্বশেষ সবখবর

বাংলাদেশ এখন আর ভিক্ষার ঝুলি নিয়ে ঘুরে বেড়াবার নয়

Paris
  • মার্চ ১৮, ২০২১, ৭:২০ অপরাহ্ণ

*অমর একুশে গ্রন্থমেলা উদ্বোধনীতে প্রধানমন্ত্রী
অনলাইন ডেস্ক:  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত উন্নত-সমৃদ্ধ সোনার বাংলা বিনির্মাণে তার সরকারের দৃঢ় অঙ্গীকারের কথা পুনর্ব্যক্ত করে বলেছেন, বাংলাদেশ এখন আর ভিক্ষার ঝুলি নিয়ে ঘুরে বেড়াবার দেশ না। এখন আর কেউ বাংলাদেশকে অবহেলা করতে পারবে না। বাংলাদেশকে আর পেছনে টানতে পারবে না। বাংলাদেশ কারও মুখাপেক্ষী হবে না। নিজের পায়ে দাঁড়াবে। বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, আরও এগিয়ে যাবে। কাজেই সেভাবে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে হবে। প্রজন্মের পর প্রজন্ম যেন এই দেশের মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় এবং স্বাধীনতার এই সুফল বাংলাদেশের মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছে দেয়- সেটাই আমরা কামনা করি।

নতুন প্রজন্মকে বই পড়ার অভ্যাস বাড়ানোর পরামর্শ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আসুন সবাই মিলে আমরা বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলি, আগামী প্রজন্মকেও যেন উৎসাহিত করি। বাংলাদেশকে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ হিসেবে শিক্ষা, দীক্ষায়, অর্থনৈতিক উন্নয়নে, সাংস্কৃতিক উন্নয়নে সর্বক্ষেত্রে সামাজিক ন্যায়বোধে আমরা দেশকে অসাম্প্রদায়িক চেতনায় ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত, উন্নত, সমৃদ্ধ সোনার বাংলা গড়ে তুলি।

তিনি বলেন, পাঠকরা যেন বই পড়ার আনন্দ এবং মেলায় ঘুরে ঘুরে বই দেখার আনন্দ থেকে বঞ্চিত না হোন, সেই চিন্তা থেকেই এ মহামারীর মধ্যেও বইমেলার আয়োজন করা হয়েছে। তবে যারা এখানে আসবেন, অবশ্যই স্বাস্থ্য সুরক্ষাটা মেনে চলবেন। আর ছোটদের বইয়ের প্রতি ঝোঁক বাড়ানো দরকার। আমাদের সময় বাচ্চাদের বই পড়ে শোনানো হতো। এখনও আমরা তা করি। সব সময় ঘরে একটা ছোট লাইব্রেরি করে রাখি। বইয়ের প্রতি শিশুদের ঝোঁক বাড়াতে হবে। পাঠাভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। আর আমাদের (রাজনীতিবিদ) বক্তৃতা বিবৃতিতে মানুষের কাছে যত দ্রুত পৌঁছা যায়, সাহিত্যে আরও আগে মানুষের হৃদয়ে পৌঁছে যায়। কারণ সাহিত্যের মাধ্যমে একটি দেশের ইতিহাস, ভাষা-সংস্কৃতিও জানা যায়। নিজের ভাষা জানার পাশাপাশি অন্যের ভাষা জানতে হবে, অন্য দেশের ইতিহাস, সংস্কৃতি, ভাষা জানতে অনুবাদের ওপর জোর দিতেও প্রকাশকদের অনুরোধ জানান প্রধানমন্ত্রী।

বৃহস্পতিবার গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বাংলা একাডেমি প্রান্তে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে মাসব্যাপী বাঙালীর ভাষা-চেতনার দীপ্ত প্রকাশ অমর একুশে গ্রন্থমেলা-২০২১-এর শুভ উদ্বোধন ঘোষণাকালে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। চলমান মুজিববর্ষ এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীকে সামনে রেখে মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের স্মৃতির উদ্দেশ্যে এবারের বই মেলা উৎসর্গ করা হয়েছে।

বাংলা একাডেমির সভাপতি শামসুজ্জামান খানের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ বদরুল আরেফীন এবং জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতির সভাপতি ফরিদ আহমেদ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন, বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক হাবীবুল্লাহ সিরাজী। সম্মেলক কণ্ঠে জাতীয় সঙ্গীত ও সূচনা সঙ্গীতের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়। এরপর ভাষা-আন্দোলনের অমর শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। অনুষ্ঠানে ১৯৫২ সালে চীনে শান্তি সম্মেলনে যোগ দিয়ে এসে বঙ্গবন্ধুর লেখা ‘আমার দেখা নয়াচীন’-এর ইংরেজী ভার্সন ‘নিউ চায়না ১৯৫১ ঃ শেখ মুজিবুর রহমান’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

অমর একুশে বইমেলা-২০২১-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে দশ কীর্তিমান লেখকের হাতে ২০২০ সালের বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার তুলে দেয়া হয়। প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে পুরস্কারপ্রাপ্তদের হাতে তিন লাখ টাকার চেক, সনদ ও সন্মাননা মেডেল তুলে দেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। পুরস্কারপ্রাপ্ত দশ কীর্তিমান লেখক হলেন- আত্মজীবনী শাখায় বরেণ্য অভিনেত্রী ফেরদৌসী মজুমদার, কবিতায় কবি অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, কথাসাহিত্যে ইমতিয়ার শামীম, অনুবাদ বিভাগে সুরেশ রঞ্জন বসাক, নাটকে রবিউল আলম, শিশুসাহিত্যে আনজীর লিটন, মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক গবেষণায় সাহিদা বেগম, বিজ্ঞানে অপরেশ বন্দোপাধ্যায় এবং ফোকলোর বিভাগে মুহাম্মদ হাবিবুল্লা পাঠান।

মাতৃভাষার আন্দোলন থেকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদান মুছে ফেলার অপচেষ্টা প্রসঙ্গে তুলে ধরে তার কন্যা শেখ হাসিনা বলেন, মাতৃভাষার আন্দোলনে বঙ্গবন্ধুর অবদানের ইতিহাস মুছে ফেলার চেষ্টা করা হয়। অনেক জ্ঞানী-গুণী আছেন তারা বলার চেষ্টা করেন- ‘উনি (বঙ্গবন্ধু) তো জেলে ছিলেন, আন্দোলন করলেন কীভাবে ?’ আমার কথা হল- আসলে বঙ্গবন্ধু জেলে গেলেন কেন ? ওই বন্দীদশা থেকেই বঙ্গবন্ধু ছাত্রনেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে আন্দোলনের দিক-নির্দেশনা দিতেন। ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ তো তাঁরই পরামর্শে হয়েছে। আর সেই আন্দোলন শুরু হলেই তো তিনি গ্রেফতার হন।

এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী ১৯৪৮ সাল থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা এসবি’র গোপন রিপোর্ট নিয়ে ‘সিক্রেট ডকুমেন্টস এগেইনিস্ট ফাদার অব দ্য নেশন শেখ মুজিবুর রহমান’ নামে গ্রন্থ প্রকাশ করার কথা তুলে ধরেন অনুষ্ঠানে। তিনি বলেন, এগুলো পড়লেই বোঝা যাবে বঙ্গবন্ধু কীভাবে ভাষার আন্দোলনের জন্য ছাত্রনেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছেন, আন্দোলনের সমন্বয় করেছেন।

তিনি বলেন, বিশ্বের কোন নেতার বিরুদ্ধে গোয়েন্দা রিপোর্ট বা সিক্রেট ডকুমেন্টস বই আকারে প্রকাশের ইতিহাস পৃথিবীতে নেই। আমরা ২০ বছর ধরে পরিশ্রম করে সেই রিপোর্টগুলো নিয়ে বই আকারে প্রকাশের উদ্যোগ নিয়েছি। বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে ১৯৪৮ সাল থেকে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ পর্যন্ত যত গোয়েন্দা রিপোর্ট ও ডকুমেন্টস রয়েছে সেগুলো নিয়ে ইতোমধ্যে আমরা সাত খ- বই আকারে প্রকাশ করেছি। ৯ ও ১০ খ-ও প্রায় প্রস্তুত। সত্য ইতিহাস জানতে এবং গবেষকদের কাছে এটি একটি অমূল্য দলিল।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এসব রিপোর্ট বঙ্গবন্ধুর পক্ষে নয়, পাকিস্তানী গোয়েন্দা সংস্থার বিরুদ্ধে লেখা রিপোর্ট। এসব রিপোর্ট নিয়ে লেখা বইগুলো পড়লেই অনেক সত্য ইতিহাস প্রকাশ হবে। এই লেখাগুলোর ভেতর থেকে কিন্তু বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাসটাও বেরিয়ে এসেছে। অনেক সত্য তথ্য বেরিয়ে এসেছে। আমি আশা করি, পূর্বে যারা বঙ্গবন্ধুকে ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস থেকে মুছে ফেলার চেষ্টা করেছিলেন, তারা বোধহয় নিজেদের শুধরে নিতে একটা সুযোগ পাবেন।

প্রধানমন্ত্রী সবদিক থেকে বাংলাদেশ এগিয়ে যাওয়ার চিত্র অনুষ্ঠানে তুলে ধরে বলেন, বাংলাদেশ এখন আর ভিক্ষার ঝুলি নিয়ে ঘুরে বেড়াবার দেশ না। অন্তত এটুকু দাবি করতে পারি, আওয়ামী লীগ যখন থেকে সরকারে এসেছে, তখন থেকেই বাংলাদেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নের দিকে বিশেষভাবে দৃষ্টি দিয়েছে। দেশ সেবার সুযোগ দেয়ার জন্য দেশবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের মানুষ যখন আমাদের ভোট দিয়ে নির্বাচিত করে তখন থেকেই আমরা দেশের উন্নয়নে ব্যাপক কর্মসূচী জাতির পিতার আদর্শ অনুসরণ করেই বাস্তবায়ন শুরু করি। দ্বিতীয়বার যখন আমরা সরকারে আসি তখন থেকে আমাদের এই প্রচেষ্টাই ছিল, বাংলাদেশ আত্মমর্যাদা নিয়ে চলবে। বিশ্বে মাথা উঁচু করে চলবে। যে দেশটি এত রক্ত দিয়ে, এত সংগ্রাম করে স্বাধীন হয়েছে- সেই স্বাধীনতা কখনও ব্যর্থ হতে পারে না। সেই স্বাধীনতাকে সফল করতে হবে। বাংলাদেশ কারও মুখাপেক্ষী হবে না। নিজের পায়ে দাঁড়াবে। আমরা এই সময়ে যখন জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী উদ্যাপন করছি, যখন আমরা স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করছি- ঠিক সেই সময় বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে উন্নীত হবার মর্যাদা পেয়েছি। তাই বাংলাদেশকে আর কেউ অবহেলার চোখে দেখতে পারবে না।

নতুন প্রজন্মকে বই পড়ার অভ্যাস বাড়ানোর তাগিদ দিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, এখন তো মোবাইল ডিভাইসেও বই পড়ার সুযোগ আছে। তবে বই হাতে নিয়ে বইয়ের পাতা উল্টে পড়ার আনন্দই আলাদা। বইয়ের আবেদন কখনও মুছে যাবে না। সেজন্য প্রকাশকদের ধন্যবাদ, মহামারীর সময়েও অনেক কষ্ট করেছেন। তিনি বলেন, সরকারে থাকি আর বিরোধী দলে থাকি একদিনের জন্য হলেও বইমেলায় যাই। এখন করোনার কারণে যেতে পারছি না। কারণ আমি গেলে এক হাজার লোকের সম্পৃক্ততা হয়। তাদেরও সবার সংক্রমণের কথা চিন্তা করে আমি যাচ্ছি না। তবে আমার মনটা পড়ে আছে সেখানে।

মার্চ মাস বাঙালী জাতির জীবনে খুবই গুরুত্বপূর্ণ মাস উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, এই ৭ মার্চেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশকে স্বাধীন করতে ঐতিহাসিক ভাষণ দিয়েছিলেন। আর ১৭ মার্চ জাতির পিতার জন্মদিন, ২৬ মার্চ আমাদের স্বাধীনতা দিবস। ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে স্বাধীনতা পর্যন্ত প্রতিটি আন্দোলনেই নেতৃত্ব দিয়েছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, মায়ের ভাষা কথা বলব, মাকে মা বলে ডাকব- এই মাতৃভাষার অধিকার আদায়ের জন্য আমাদের রক্ত দিতে হয়েছে, সংগ্রাম করতে হয়েছে। বাঙালীরা কখনও ক্ষমতায় আসুক বা থাকুক- তা কখনোই পাকিস্তানী শাসকরা চায়নি। ১৯৫৬ সালে যখন আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে পাকিস্তানের শাসনতন্ত্র রচনা করে সেখানে প্রথম মাতৃভাষা বাংলাকে রাষ্ট্রীয় ভাষা, ২১ ফেব্রুয়ারিকে শহীদ দিবসের মর্যাদার স্বীকৃতি দেয়। মাতৃভাষা থেকে স্বাধীনতা- বহু রক্ত ও সংগ্রামের মাধ্যমে আমাদের অর্জিত করতে হয়েছে। যত ভাষাই শিক্ষা নেই না কেন, আমাদের মাতৃভাষা বাংলা ভাষাকে শক্তিশালী ও ভালভাবে আত্মস্থ করতে হবে।

তার সরকারের প্রচেষ্টায় করোনা সঙ্কট মোকাবেলার কথা উল্লেখ করে সরকারপ্রধান শেখ হাসিনা সবাই স্বাস্থ্য সুরক্ষাবিধি মেনে চলার অনুরোধ পুনর্ব্যক্ত করে বলেন, করোনাভাইরাস অনেক ক্ষতি করেছে। জীবনযাত্রা স্থবির হয়ে গিয়েছিল। এটি কাটিয়ে উঠতে আমরা নানা পদক্ষেপ নিয়েছি। প্রণোদনা ঘোষণা করেছি, প্রধানমন্ত্রীর তহবিল থেকেও সহযোগিতা করেছি।

তিনি বলেন, সারা বাংলাদেশে ৭ হাজার ৫০০ শিল্পীকে আর্থিক সহায়তা দিয়েছি। তাছাড়া অন্যান্য শ্রেণী-পেশার লোকদেরও সহযোগিতা করেছি, কেউ বাদ যায়নি। এমনকি যে শিল্পী রিক্সার পেছনে ছবি পেইন্টিং করে তাদেরও খুঁজে বের করে সহযোগিতা দিয়েছি। আর এসব অসহায় মানুষের কথা অনেকে চিন্তাও করেনি, কিন্তু আমার ছোট বোন শেখ রেহানা খুঁজে খুঁজে বের করে আমাদের বলেছে, আমরা সাধ্যমতো তাদের পাশে দাঁড়িয়েছি, প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দিয়েছি।

করোনা ভ্যাকসিন প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, করোনা থেকে সুরক্ষার জন্য আমরা টিকা এনে তা দিয়ে যাচ্ছি। ইতোমধ্যে ৪৫ লক্ষাধিক মানুষ করোনার টিকা গ্রহণ করেছে। কিন্তু টিকা নিলেও সবাইকে স্বাস্থ্য সুরক্ষাবিধি মেনে চলতে হবে। মুখে মাস্ক পরা, ঘন ঘন হাত ধোঁয়া, সামাজিক দূরত্ব মেনে চলা- ইত্যাদি স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। কারণ আপনারা নিজেদের সুরক্ষিত রাখলেই অন্যকে সুরক্ষিত রাখতে পারবেন। এখন কোথাও কোথাও দ্বিতীয় বা তৃতীয় ওয়েবও শুরু হয়েছে। তাই সবাইকে সতর্ক ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য অনুরোধ করছি।

আমার দেখা নয়া চীন, সিক্রেট ডকুমেন্টস, বঙ্গবন্ধুর আত্মজীবনী, কারাগারের রোজনামচা প্রকাশিত এসব বই সবাইকে পড়ার অনুরোধ জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, এসব বই পড়লে অনেক কিছু জানতে পারবেন, ইতিহাসের অনেক সত্য ঘটনা জানতে পারবেন। অনেক কিছু জানার সুযোগ আছে। শুধু তাই না, বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের মানুষকে নিয়ে কী ভাবতেন, নারীর ক্ষমতায়ন নিয়ে কী ভাবেন বা আমাদের ধর্মীয় অনুশাসন নিয়ে কী ভাবেন, সবকিছুই কিন্তু আমার দেখা নয়াচীনে চমৎকারভাবে এত অল্প সময়ে সেটা লেখা আছে। এছাড়া বঙ্গবন্ধুর নিজের লেখা ‘স্মৃতি কথা’-সেটাও ভবিষ্যতে প্রকাশ করব। সিক্রেটস ডকুমেন্টগুলো প্রকাশ করছি। সিক্রেটস ডকুমেন্টগুলো যদি আপনারা পড়েন, বাংলাদেশে ইতিহাস ও গবেষণার জন্য এটা একটা অমূল্য দলিল হিসেবে আসবে। ইংল্যান্ড থেকেও একটা কোম্পানি এটা প্রকাশ করছে বলেও অনুষ্ঠানে জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সূত্র: জনকণ্ঠ