নীলফামারী সংবাদদাতা: তিস্তাসহ ৫৪টি অভিন্ন আন্তর্জাতিক নদীর পানির ন্যায্য হিস্যার দাবিতে বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) ঢাকা টু তিস্তা ব্যারেজ অভিমুখী রোডমার্চ আজ রবিবার (২১ মার্চ) সন্ধ্যায় নীলফামারীর ডালিয়া তিস্তা নদী হয়ে ডিমলা উপজেলায় মিছিল-সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়েছে।
রংপুর বিভাগের বাসদের সমন্বয়ক কমরেড আব্দুল কুদ্দুসের সভাপতিতে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য বজলুর রশীদ ফিরোজ, রাজেকুজ্জামান রতন, কেন্দ্রীয় পাঠচক্রের সদস্য নিখিল দাস, জয়নাল আবেদীন মুকুল, নব কুমার কর্মকার, আলফাজ হোসেন যুবরাজ, রংপুর জেলা বাসদের সদস্য মাসুদ পারভেজ প্রমুখ।
১৯ মার্চ ঢাকা থেকে রোডমার্চটি নীলফামারীর তিস্তা ডালিয়া অভিমুখে রওনা দেয়। পথে রোডমার্চটি বগুড়া,রংপুর,পাগলাপীর, জলঢাকা জিরো পয়েন্ট হয়ে তিস্তা ব্যারাজ ডালিয়ায় পৌছায়। সেখান থেকে মিছিল নিয়ে নীলফামারীর ডিমলা উপজেলা স্মৃতি অম্লান জিরো পয়েন্টে সমাপনী সমাবেশ করে।
সমাপনী সমাবেশে বজলুর রশীদ ফিরোজ বলেন, আন্তর্জাতিক সমস্ত আইন ও নীতি লঙ্ঘন করে ভারত ৫৪টি নদীর উজানে বাঁধ দিয়ে একতরফা পানি প্রত্যাহার করে নেওয়ার পানির প্রবাহ কমে গিয়েছে। এর সাথে যুক্ত হয়েছে দেশের অভ্যন্তরে নদী দখল ও দূষণ। এক সময় দেশে ১ হাজার ২০০টি নদী ছিল। সরকারসমূহের ভ্রান্তনীতি ও দখল-দূষণের কারণে নদী মরে গিয়ে এখন ২৩০-এ নেমে এসেছে। খরা মৌসুমে বেশিরভাগ নদীতেই পানি থাকে না। তিনি বলেন, দেশের চতুর্থ বৃহত্তম আন্তর্জাতিক নদী তিস্তা। ভূগর্ভস্থ ও ভূ-উপরিস্থিত জলপ্রবাহ নিয়ে এর অববাহিকার পরিমাণ প্রায় ৩০ হাজার বর্গ কি.মি.। যার মধ্যে বাংলাদেশে ২০ হাজার বর্গ কি.মি. আর ভারতে ১০ হাজার বর্গ কি.মি.। বাংলাদেশের সীমান্ত থেকে প্রায় ৭০ কি.মি. উজানে গজলডোবায় বাঁধ দেয়ার কারণে শুস্ক মৌসুমে ২০১১ এর পর থেকে পানি পাচ্ছে না বাংলাদেশ। খরা মৌসুমে আসতে না আসতেই পানি প্রবাহ আশঙ্কাজনকভাবে কমে কখনো ৫০০ কিউসেক এর নিচে নেমে যায়। অথচ ঐতিহাসিক গড় (১৯৭৩-১৯৮৫) অনুযায়ী পানির প্রবাহ থাকার কথা কমপক্ষে ১০ হাজার কিউসেক।