ঢাকামঙ্গলবার , ২৩ মার্চ ২০২১
আজকের সর্বশেষ সবখবর

নিরাপত্তা ও সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবিতে ইসিকে পত্র দিলেন কাউন্সিলর

Paris
  • মার্চ ২৩, ২০২১, ৬:১৮ অপরাহ্ণ

শিবগঞ্জ  প্রতিনিধি: স্থগিত হওয়া চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থীর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৩১ মার্চ। নির্বাচনে কাউন্সিলর প্রার্থী, তাদের পরিবার, সমর্থক, ভোটার ও গ্রামবাসীর জান-মালের নিরাপত্তা চেয়ে নির্বাচন কমিশন বরাবর পত্র দিয়েছেন কাউন্সিলর প্রার্থী ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর মো. খাইরুল আলম জেম।

সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের দাবি জানিয়ে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা বরাবর পত্র দিয়েছেন তিনি। এছাড়াও জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও অফিসার-ইন-চার্জ (ওসি) বরাবর পত্রের অনুলিপি দেয়া হয়েছে।

এতে কাউন্সিলর খাইরুল আলম জেম আগামী ৩১ মার্চ অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনে শিবগঞ্জ পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের দুটি ভোট কেন্দ্র ঝুকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করার দাবি জানিয়েছেন।

কাউন্সিলর খাইরুল আলম জেম উল্লেখ করেন, মর্দনা ও এর আশেপাশের গ্রামে হিন্দুদের ট্রাস্টের দেবত্তর সম্পত্তির ভোগদখল নিয়ে মামলা-হামলার জেরে ৫টি হত্যাকাণ্ড হয়েছে। এছাড়াও গত ৭ মাসে ৯ নম্বর ওয়ার্ডে কাউন্সিলর নির্বাচনকে ঘিরে কয়েকশ লোক নিজ গ্রাম ছেড়ে পাশের কয়েকটি গ্রামে আশ্রয় নিয়েছে। হামলা, মামলার আতঙ্ক হতে প্রায় প্রতিদিনই ঘটে চলেছে হামলা, হুমকি, কৃষি ফসল ও ঘরবাড়ি লুটপাটের ঘটনা ঘটছে। বিষয়গুলো তাৎক্ষণিক স্থানীয় প্রশাসনকে অবহিত করা হয়েছে।

শিবগঞ্জ পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ কাউন্সিলর নির্বাচন ছাড়া মেয়র ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর নির্বাচন বিচ্ছিন্ন ঘটনা, গুলিসহ ১৪ ফেব্রুয়ারি সম্পন্ন হয়েছে উল্লেখ করে পত্রে কাউন্সিলর জেম আরও বলেন, ৩১ মার্চ নির্বাচনের দিন যতই ঘণিয়ে আসছে তত আনেসুর রহমান (সোনা মিয়া), আব্দুল, মাওলানা মতিন, মজু, টুটুল, গাজী, আলম কাপড়ার নেতৃত্বে ৩০/৪০ জনের চিহ্নিত অসংখ্য সন্ত্রাসী ঘটনা ঘটিয়ে চলেছে।

আমার ওপর ২১ ফেব্রুয়ারি একটি মিথ্যে মামলা করা হয়েছে। আমার পরিবারের সকল সদস্যরা নিরাপত্তাজনিত কারণে গ্রামে বসবাস করতে পারছে না। আমার ভোটের সমর্থকরা বিভিন্ন হুমকিতে গ্রামে স্বাভাবিক ভাবে মানুষের সাথে যোগাযোগ করতে পারছে না।

এ বিষয়ে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোতাওয়াক্কিল রহমান জানান, পত্রের প্রেক্ষিতে আগামী ৩১ মার্চ অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনকে ঘিরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। নির্বাচনের দিন দুটি ভোট কেন্দ্রে দুইজন ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ, র‍্যাব, গ্রাম পুলিশ সদস্যরা নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করবেন। সুষ্ঠু নির্বাচন সম্পন্ন করতে যাবতীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান তিনি।