অনলাইন ডেস্ক: চট্টগ্রামের হাটহাজারী ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতের তান্ডব, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুরো। শনিবার এক বিবৃতিতে তারা এ ক্ষোভ প্রকাশ করেছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, হেফাজতী নেতৃত্বের ষড়যন্ত্রমূলক নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে গিয়ে ৩ জন মাদ্রাসার ছাত্রসহ পাঁচজন প্রাণ হারিয়েছে এবং এতে রেল স্টেশনসহ রাষ্ট্রীয় সম্পত্তির ক্ষতিসাধন করা হয়েছে। এটা স্পষ্ট যে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিব শতবর্ষ উদযাপনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতেই তারা পরিকল্পিতভাবে ভাস্কর্য ভেঙে ফেলার হুমকিদান, শাল্লার হিন্দুগ্রামে সাম্প্রদায়িক হামলা এবং সবশেষে ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদীর ঐ অনুষ্ঠানমালায় যোগদানের বিরোধিতার নামে একেরপর এক এসব ঘটনা ঘটিয়ে চলেছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয় যে একই সময় একটি রাজনৈতিক মেরুকরণের প্রচেষ্টা গত কিছু সময় ধরে লক্ষ্যনীয়। এসব ইস্যুতে হেফাজতের সাথে কণ্ঠ মিলিয়ে একইভাবে বাম ও মধ্যপন্থার নামের বিভিন্ন সংগঠনও ঘটনা ঘটাতে একের পর এক কর্মসূচী দিচ্ছে ও আজও দিয়েছে। বিএনপির ২৬-২৭ এর সুবর্ণজয়ন্তীর কর্মসূচী প্রত্যাহার ও জামায়াতের নিস্তব্ধতাও এখানে লক্ষ্যণীয়। ওয়ার্কার্স পার্টি একথা বলে আসছে যে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের অর্জনসমূহকে ধ্বংস করতে দেশী-বিদেশী চক্রান্তকারীরা এখনও সমভাবে তৎপর।
গুগল নিউজে বিজয় বাংলা'র খবর পড়তে অন্যদিকে তথাকথিত স্থিতিশীলতার নামে হেফাজতকে পক্ষে রাখতে তাদের সাথে ক্ষমতাসীন সরকার ও দলের সমঝেতা ও এসব বিষয়ে একের পর এক ছাড় দেয়ার পরিণাম ফলই এটি। ওয়াজ মাহফিল ও ইউটিউবে হেফাজত ও তার অনুসারীরা একের পর এক ধর্মীয় বিদ্বেষ ছড়ালেও, ধর্মীয় উস্কানী প্রদান করে চললেও তার বিরুদ্ধে বহু অপপ্রয়োগের ব্যাপারে আলোচিত-সমালোচিত ডিজিটাল আইনও প্রয়োগের কোন প্রয়োজন বোধ করছে না সরকার।
ওয়ার্কার্স পার্টি বহু আগেই বলেছে যে সাপের মুখে চুমু খেলেও, সাপ ছোবল মারবেই। এই কৌশল যে কতটা ব্যর্থ বাংলাদেশের পরবর্তী রাজনৈতিক ঘটনাবলী তার প্রমাণ। ওয়ার্কার্স পার্টির বিবৃতিতে সাম্প্রদায়িকতা-মৌলবাদী এধরণের চক্রান্তকে রুখে দাঁড়াতে সকল বাম, গণতান্ত্রিক প্রগতিশীল শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে ও প্রতিরোধ গড়ে তুলতে বিবৃতিতে আহ্বান জানান হয়।
