অনলাইন ডেস্ক: রাজশাহীতে মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় ১৭ জন নিহতের ঘটনায় গ্রেপ্তার বাস চালক আবদুর রহিমকে (৩৫) আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। রোববার (২৮মার্চ) দুপুরে রাজশাহীর কাটাখালী থানা পুলিশ তাকে আদালতে তোলে। এ সময় আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
কাটাখালী থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মতিয়ার রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনার পর হানিফ পরিবহন নামের বাসের চালক আবদুর রহিম পালিয়েছিলেন। তার পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারেও পাঠানো হয়েছে। তবে আদালতে তার রিমান্ডের আবেদন জানানো হয়নি।
এদিকে এ সড়ক দুর্ঘটনায় মাইক্রোবাসের বেঁচে যাওয়া একমাত্র যাত্রী মো. পাভেলকে (১৭) ৪৮ ঘণ্টার পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) আছেন তিনি। রোববার বিকাল ৪টা পর্যন্ত তার জ্ঞান ফেরেনি।
আইসিইউ ইনচার্জ ডা. আবু হেনা মোস্তফা কামাল বলেন, পাভেলে আবস্থা এখনও জটিল। তাকে সাধারণ ওয়ার্ডে দিতে পারছি কিনা তা আগামী পোরশু বলতে পারব। এ পর্যন্ত তাকে আইসিইউতে পর্যবেক্ষণেই রাখা হবে। তিনি জানান, পাভেলের মাথায় আঘাত আছে। হাতও ভেঙ্গে গেছে। শরীরের কিছু অংশ পুড়ে গেছে। তবে পুড়ে যাওয়ার পরিমাণ কম। মাথা সিটি স্ক্যান করে দেখা হয়েছে। তাতে খুব বেশি সমস্যা দেখা যায়নি। তবে এখনও জ্ঞান ফেরেনি।
পাভেলের বাড়ি রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার দারিকাপাড়া গ্রামে। তিনি স্থানীয় একটি কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র। দুর্ঘটনায় তার বাবা মোখলেসুর রহমান (৪০) ও মা পারভীন বেগম (৩৫) মারা গেছেন। গত শুক্রবার রাজশাহীর কাপাশিয়া এলাকার এ দুর্ঘটনায় মোট ১৭ জন প্রাণ হারান। তারা সবাই একটি মাইক্রোবাসের যাত্রী ছিলেন। সবার বাড়ি পীরগঞ্জ। রাজশাহীতে তারা পিকনিকে আসছিলেন। হানিফ পরিবহনের একটি বাসের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষে মাইক্রোবাসে আগুন ধরে যায়। নিহতদের মধ্যে মাইক্রোবাসের ভেতর পুড়ে অঙ্গার হন ১১ জন। এ ঘটনায় বাসের চালককে একমাত্র আসামি করে মামলা করে পুলিশ।