নিজস্ব সংবাদদাতা, পাবনা: সাঁথিয়া উপজেলার করমজা ইউনিয়নে ৮নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের কাউন্সিলে সাধারণ সম্পাদক পদে জেলেপাড়ার বড়গ্রামের বিমল হলদার প্রার্থী হওয়ার প্রচারে বিক্ষুব্ধ আওয়ামী লীগ নেতা মোহাম্মদ আলী মেম্বার ও তার ভাইয়ের নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা হিন্দুপাড়ায় ভাংচুর মারপিটসহ সন্ত্রাসী তাণ্ডব চালায়। তারা বিমল হলদারসহ কয়েক হিন্দু যুবককে মারপিট করে ও ক্ষান্ত হয়নি তারা সাম্প্রদায়িক গালাগালসহ নানা হুমকি দেয়। ২৫ মার্চ রাতের এ ঘটনার সাঁথিয়া থানা পুলিশ রবিবার (২৮মার্চ) বিকেলে সাংবাদিকদের চাপে মোহাম্মদ আলী মেম্বারকে প্রধান ও ২৭ জনকে আসামি করে মামলা গ্রহণ করে। এদিকে এ ঘটনায় উপজেলার হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ ও অসন্তোষের সৃষ্টি হয়েছে।
এলাকাবাসী জানিয়েছে, ৮নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের কাউন্সিলে এলাকার কয়েক যুবক জিতেন হলদারকে সাধারণ সম্পাদক পদে দাঁড়ানোর জন্য তাকে অনুরোধ করে। সে তাদের কথায় রাজি হলে আওয়ামী লীগ নেতা মোহাম্মদ মেম্বার ক্ষুব্ধ হন। এরপর ২৫ মার্চ রাত সাড়ে ১১টায় মোহাম্মদ আলী মেম্বার ও তার ভাইয়ের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী বড়গ্রামের জেলেপাড়ায় লাঠি, ফালা, হাঁসুয়া ও ছুরি নিয়ে হামলা চালায়। এ সময় আতঙ্কিত নারী ও শিশুরা চিৎকার করতে থাকে। আতঙ্কগ্রস্থ হিন্দু জেলেরা চেয়ারম্যানকে ফোনে জানালে রাত ১২টায় ঘটনাস্থলে ছুটে যান করমজা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা হোসেন আলী বাগচি।
চেয়ারম্যানের সামনেই মোহাম্মদ আলী মেম্বার ও তার দলবল বিমল হালদার, জিতেন হালদার রনজু হালদার আকাশ হালদারসহ হিন্দু যুবক প্রৌঢ় এমনকি বৃদ্ধ ব্যক্তিদের কিল ঘুষি লাথি দেয়াসহ অশ্লীল ভাষায় গালাগাল করে। ঘটনার খবর পেয়ে সাঁথিয়া থানা থেকে পুলিশ যায়। হামলাকারীরা মন্টু হালদারের ঘর ভাংচুরসহ কয়েকটি ঘরে দা কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে বিনষ্ট করে। যাওয়ার সময় বিমল হালদারসহ হিন্দুপাড়ার জেলেদের মোহাম্মদ আলী মেম্বার শাসিয়ে যায় থানায় অভিযোগ করলে দেশ ছাড়া করা হবে। এরপর থেকেই গ্রামবাসী হিন্দুরা আতঙ্কে আছে।
এ বিষয়ে শনিবার দুপুরে বিমল হালদার তার গ্রামবাসী সাঁথিয়া উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক সুশীল কুমার দাসকে সঙ্গে নিয়ে সাঁথিয়া থানায় যান।
মোহাম্মদ আলী মেম্বারকে প্রাধান আসামি মোট ২৭ জনের বিরুদ্ধে বিমল হালদার বাদী হয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।