ঢাকাবুধবার , ৩১ মার্চ ২০২১
  • অন্যান্য
আজকের সর্বশেষ সবখবর

রাজশাহীতে তিনতলা বাড়ি দখলে নেয়ার অভিযোগ

Paris
  • মার্চ ৩১, ২০২১, ৬:৪৮ অপরাহ্ণ

অনলাইন ডেস্ক: রাজশাহীতে এক বিধবা নারীকে তার একমাত্র কন্যা সন্তানসহ নিজ বাড়ি থেকে উচ্ছেদের ঘটনা ঘটেছে। সেইসাথে বাড়ি ভাঙচুর ও দখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভুক্তভোগিদের অভিযোগ রাজশাহীর এক প্রভাবশালী আওয়ামী লীগ নেতার যোগসাজশে তাদের বাড়ি দখল করা হয়েছে। এ নিয়ে বুধবার বেলা ১১টায় নগরীর সাহবেবাজারে একটি রেঁস্তোরায় সংবাদ সম্মেলন করেন ভুক্তভোগি নারী মৃত আজিজুল আলমের স্ত্রী রাশেদা আলম মমতা। সে সময়ে সঙ্গে ছিলেন অনার্স পড়ুয়া একমাত্র মেয়ে ফারহানা আলম সিথি।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ফারহানা আলম সিথি। তিনি সংবাদ সম্মেলনে বলেন, আমার বাবার তিনটি বিয়ে করেছেন। এর মধ্যে আমার মা তৃতীয় স্ত্রী। আমি আমার মায়ের একমাত্র কন্যা সন্তান। বাবা মারা যাওয়ায় এতিম হয়ে পড়েছি। মা অনেক কষ্ট করে আমাকে লেখাপড়া করাচ্ছেন। বাবা জীবিত থাকাকালীন সময়ে মৌজা মেহেরচণ্ডী, জে.এল নং- ১৩৭, আর.এস দাগ নং- ২৮৩৮, আর.এস খতিয়ান নং-২০৭, জমির পরিমান .০৮০০ একর, রকম-ভিটা, প্রস্তাবিত খতিয়ান-৩২০৬ ও হোল্ডিং নং-৩২০০ তপশিলভূক্ত সম্পত্তি আমার মায়ের নামে ৪ শতক ও আমার নামে ৪ শতক মোট ৮শতক জমি রেজিস্ট্রি করে দেন।

এ সম্পত্তি আমাদের নামে নাম জারী করেছি এবং রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (আরডিএ) থেকে এনওসি নিয়ে প্ল্যান পাস করে তিনতলা ভবন নির্মাণ করেছি। আমাদের বাড়ির তিনতলা ছাদের উপরে গ্রামীণফোনের টাওয়ার রয়েছে। সেখান থেকে আমরা ভাড়া পাই। এ নিয়ে আমাদের সংসার চলে। কিন্তু আমার দ্বিতীয় মায়ের কন্যা মানে আমার বৈমাত্র বোন ফাহমিদা আলম তিথি ও তার কলেজপড়ুয়া মেয়ে সাদিয়া সালাম মিলে প্রভাবশালী আওয়ামীলীগ নেতাদের সাথে সখ্যতা গড়ে তুলে আমাদের বাড়ি দখল করে নিয়েছে।

শুধু তাই নয় আমাদের বাড়ি থেকে খালি হাতে বের করে দিয়েছে এবং প্রতিনিয়ত প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে আসছে। এছাড়াও তারা আমাদের বাড়ির গেট এবং ভিতরে ভেঙে ফেলেছে। এখন আমরা নানার বাড়ি পাবনাতে বসবাস করছি। এছাড়াও সোমবার (২৯ মার্চ) আমাদের বাড়ি মধ্যে থাকা সকল প্রকার ফার্নিচার বাড়ির বাইরে ফেলে দিয়েছে। আমার এই বোন ও ভাগ্নি অত্যন্ত হিংস্র প্রকৃতির নারী। তারা কাউকে পরোয়া করেনা। এমনকি নিজ স্বামীকেও পাগল বানিয়ে আটকিয়ে রেখেছে। বাড়িটি দখল করার সময়ে প্রভাবশালী আওয়ামীলীগের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। এবং তাদের উপস্থিতিতে বাসা থেকে ফার্নিচার ফেলে দেয়া হয়।

আমরা যখন বাড়ি করি তখল আমার এই বৈমাত্র বোন কোন বাধা দেননি। এছাড়াও বাড়িতে যখন গ্রামীণফোনের টাওয়ার স্থাপন করি তখন এই বোনের স্বামী মানে আমার দুলাভাই আব্দুস সালাম চুক্তিপত্রে স্বাক্ষী হিসেবে স্বাক্ষর করেন। এটাও তিনি মানছেননা। এ ঘটনায় থানায় সাধারণ ডায়েরী করতে গেলে থানা কর্তৃপক্ষ ওই প্রভাবশালী নেতার জন্য অভিযোগ গ্রহণ করেননি।
এখন আমরা গৃহহীন হয়ে অন্যের বাড়িতে বসবাস করছি। জীবনে নেমে এসেছে অনিশ্চয়তা। নিজের বাড়ি ঘর থাকতে গৃহহীন হয়ে পড়েছি। সরকার যেখানে সকলকে গৃহ দিচ্ছেন, সেখানে ওই নারী প্রভাবশালীদের দাপটে আমাদের গৃহহীন করেছে। আমরা এর সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে বিচার চাই।

এ বিষয়ে ফাহমিদা আলম তিথি বলেন, এটা তার বাবার বাড়ি। তিনি তার বাবার বাড়িতেই আছেন। বাবা তাকে এই জমি রেজিস্ট্রি করে দিয়ে গেছেন। কারও জমি দখল করেননি। এই নারী তার জীবন নষ্ট করেছে। সেইসাথে তার ৩৫ লক্ষ টাকা নিয়ে চলে গেছে বলে জানান তিনি। আরডিএ কর্তৃক বাড়ির নকশা এবং টাওয়ারের চুক্তি জাল বলে দাবি করেছেন তিনি।