অনলাইন ডেস্ক: সাধারণ মানুষের মাস্ক পরা নিশ্চিত করা, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাসহ বিভিন্ন বিষয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে অভিযান পরিচালনা করার জন্য মাঠে নামছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। বৃহস্পতিবার ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা (যুগ্ম সচিব) মোজাম্মেল হক স্বাক্ষরিত এক অফিস নোটিশে এই অভিযানের বিষয়ে জানানো হয়েছে। ডিএনসিসির আওতাভুক্ত এলাকায় জনস্বার্থে মাস্ক পরিধান, যত্রতত্র বর্জ্য নির্গমন, নির্মাণাধীন স্থাপনার কারণে সৃষ্ট বায়ুদূষণ, অবৈধ কার পার্কিং, এডিস মশা নির্মূল, ফুটপাতের অবৈধ দখল মুক্ত করা, অনুমোদন ব্যতীত বিলবোর্ড, খাদ্য নিরাপত্তা, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণসহ স্ব-স্ব অধিক্ষেত্রে নিয়মিত ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হবে বলে জানানো হয়েছে। এর জন্য নিয়োজিত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের চাহিদা অনুযায়ী আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তারা কার্যালয়ে প্রয়োজনীয় সংখ্যক পুলিশ প্রেরণে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ১০টি অঞ্চলেই এই অভিযান পরিচালনা করবেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা। অভিযানের নোটিশে ডিএনসিসির প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা মোজাম্মেল হক জানিয়েছেন, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা সংশ্লিষ্ট থানার সঙ্গে যোগাযোগ করে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করবেন। পরে দৈনিক প্রতিবেদন ডিএনসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা এবং জনসংযোগ কর্মকর্তার কাছে জানাতে হবে। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন সূত্রে জানা গেছে, ডিএনসিসি অঞ্চল-১ এলাকায় অভিযান পরিচালনা করবেন আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জুলকার নায়েক। অঞ্চল-২ এলাকায় অভিযান পরিচালনা করবেন আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এ এস এম সফিউল আজম। অঞ্চল-৩ এলাকায় অভিযান পরিচালনা করবেন আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল বাকি এবং প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা আব্দুল হামিদ মিয়া। অঞ্চল-৪ এলাকায় অভিযান পরিচালনা করবেন আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সালেহা বিনতে সিরাজ এবং নিরীক্ষা কর্মকর্তা নাসির উদ্দিন মাহমুদ। অঞ্চল-৫ এলাকায় অভিযান পরিচালনা করবেন আঞ্চলিক
নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদ হোসেন এবং মহাব্যবস্থাপক (পরিবহন) মিজানুর রহমান। এছাড়া অঞ্চল-৬ এলাকায় অভিযান পরিচালনা করবেন আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাজিয়া আফরীন। অঞ্চল-৭ এলাকায় অভিযান পরিচালনা করবেন আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোতাকাব্বীর আহমেদ। অঞ্চল-৮ এলাকায় অভিযান পরিচালনা করবেন আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবেদ আলী। অঞ্চল-৯ এলাকায় অভিযান পরিচালনা করবেন সম্পত্তি কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল মামুন। অঞ্চল-১০ এলাকায় অভিযান পরিচালনা করবেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পারসিয়া সুলতানা প্রিয়াংকা। এছাড়াও অঞ্চল-১ থেকে অঞ্চল-৫ আওতাধীন এলাকাজুড়ে অভিযান পরিচালনা করবেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাজওয়াব আকরাম সাকাপি ইবনে সাজ্জাদ। অপরদিকে অঞ্চল-৬ থেকে অঞ্চল-১০ আওতাধীন এলাকাজুড়ে অভিযান পরিচালনা করবেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রিফাত ফেরদৌস।
এদিকে করোনা সচেতনতা বাড়ানোর লক্ষ্যে শুক্রবার দুপুরে ধানমন্ডি ৩২ নম্বর রাসেল স্কয়ারের সামনে মাস্ক বিতরণ করেছে আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন স্বেচ্ছাসেবক লীগ। এ সময় নেতাকর্মীরা সাধারণ মানুষের মধ্যে এ মাস্ক বিতরণ করেন। সংগঠনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবু এ মাস্ক বিতরণ কর্মসূচির নেতৃত্ব দেন। কর্মসূচিতে আরও উপস্থিত ছিলেন, সংগঠনের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি কাজী মোয়াজ্জেম হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক নাফিউল করিম নাফা, আব্দুল্লাহ আল সায়েম, কৃষিবিদ মাহবুবুল হাসান, ইঞ্জিনিয়ার কোবাত হোসেন প্রমুখ। এ সময় নেতারা বলেন, করোনা মোকাবিলা করতে হলে সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতেনতা বাড়াতে হবে। প্রত্যেকে বাড়ির বাইরে গেলে মাস্ক পড়তে হবে। তারা সাধারণ মানুষের হাতে মাস্ক তুলে দিয়ে সর্বসাধারণকে মাস্ক পড়ার পরামর্শ দেন।