ঢাকাশনিবার , ৩ এপ্রিল ২০২১
  • অন্যান্য
আজকের সর্বশেষ সবখবর

লকডাউনের শঙ্কায় ঢাকা ছাড়ছেন মানুষ

Paris
  • এপ্রিল ৩, ২০২১, ৬:০২ অপরাহ্ণ

অনলাইন ডেস্ক: দেশে করোনা সংক্রমণের হার লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়তে থাকায় কাল সোমবার থেকে এক সপ্তাহের জন্য সারা দেশ লকডাউন করতে যাচ্ছে সরকার। এই সংবাদ প্রচারিত হওয়ার পর শনিবার বিকাল থেকে রাজধানীর সদরঘাট ও বাস টার্মিনালগুলোতে মানুষের ভিড় বাড়ছে। লকডাউনে আটকা পড়তে পারেন, এই আশঙ্কায় তারা আগেভাগে রাজধানী ছাড়ছেন।

শনিবার (৩এপ্রিল) সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের তার সরকারি বাসভবনে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে জানান, করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় সোমবার থেকে দেশে লকডাউন ঘোষণা হতে পারে।

এদিন বিকাল চারটার দিকে রাজধানীর বিভিন্ন বাস টার্মিনাল ও সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে খবর নিয়ে জানা যায়, শনিবার ছুটির দিনে সাধারণত মানুষ ঢাকায় ফিরে আসে। কিন্তু ঘটেছে ব্যতিক্রম। ঢাকা থেকে বাইরের গন্তব্যে যাত্রীদের ভিড় লেগেছে। সমযের সঙ্গে সঙ্গে ভিড় বাড়ছে।

ঘরমুখো এসব মানুষের মধ্যে ছাত্র, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, দৈনিক রুজির শ্রমিক এমন নিম্নআয়ের মানুষই বেশি। আবার অনেকে নানা ঢাকায় এসেছেন, তারাও ফিরে যাচ্ছেন আগেভাগে। যাত্রী ভিড়ের কারণে অনেক পরিবহন স্বাস্থ্যবিধি ভাঙছেন বলে জানা গেছে।

রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে ঘরমুখো মানুষকে বাস, সিএনজি, রিকশায় বাস টার্মিনাল ও সদরঘাটের দিকে যেতে দেখা গেছে। কাঁঠালবাগানে থাকেন ঢাকা বিশবিদ্যালয়ের ছাত্র শাকিল জামান। বিশ্ববিদ্যলয় বন্ধ থাকলেও তিনি বিসিএস ও বিভিন্ন পরীক্ষা এবং টিউশনির জন্য ঢাকায় থাকছেন। কিন্তু লকডাউন আসছে বলে আপাতত বাড়ি যাচ্ছেন। কেননা গত লকডাউনে আটকা পড়ে তাকে অনেক বিড়ম্বনা পোহাতে হয়।

মহাখালী বাস টার্মিনালে একটি পরিবহনের কাউন্টার কর্মকর্তা জানান, করোনা সংক্রমণ রোধে কয়েক দিন ধরে বাসের অর্ধেক আসন ফাঁকা রেখে যাত্রী পরিবহন করছেন তারা। ফলে এমনিতেই যাত্রীর চাপ। এখন লকডাউন ঘোষণার পর প্রচুর যাত্রী আসছে টর্মিনালে। এই চাপ সামলাতে গিয়ে আসন খালি রাখা কঠিন হবে।

এদিকে সদরঘাটি লঞ্চ টার্নালেও একই চিত্র। এই ভিড়ের কারণে সেখানে কোনো ধরনের স্বাস্থ্যবিধি মানার বালাই নেই। অর্ধেক যাত্রী উঠানোর নির্দেশনা উপেতি হচ্ছে। লঞ্চের ডেকে যাত্রীরা ঘেঁষাঘেঁষি করে অবস্থান করছেন। লঞ্চের ভেতর মানুষের ছড়াছড়ি। সমযের সঙ্গে সঙ্গে এই ভিড় আরও বাড়বে বলে জানান যাত্রীরা।

লকডাউন ঘোষণার পর সোমবার থেকে লঞ্চ চলাচল করবে কি না এখনো এ বিষয়ে জানে না লঞ্চ কর্তৃপক্ষ ও যাত্রীরা। তাই অনেকে আজই রওনা হয়েছেন।