অনলাইন ডেস্ক: নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদীতে মালবাহী কার্গোর ধাক্কায় ডুবে যাওয়া লঞ্চটি ১৮ ঘণ্টা পর উদ্ধার করা হয়েছে। এ সময় উদ্ধার করা হয়েছে আরও ২১ জনের মৃতদেহ।
সোমবার (৫এপ্রিল) দুপুর ১২টা ২০ মিনিটের দিকে লঞ্চটি উদ্ধার করা হয়। এর আগে গত রাতে পাঁচজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। সব মিলিয়ে মোট ২৬ জনের মরদেহ উদ্ধার হলো।
নারায়ণগঞ্জে শীতলক্ষ্যা নদীতে ডুবে যাওয়া লঞ্চটিকে ১৮ ঘণ্টা পর পাড়ে টেনে নিয়ে আসা হয়েছে। সোমবার (৫ এপ্রিল) দুপুরে লঞ্চটি উদ্ধার করা হয়েছে। এ পর্যন্ত ২৬ জনের মরদেহ পাওয়া গেছে। এদিকে লাশ উদ্ধার করে পাড়ে আনার পর স্বজনদের কান্নাকাটি আহাজারি থামছেই না।
বিআইডব্লিউটিএ চেয়ারম্যান আরও বলেন, দূর্ঘটনা ঘটতে পারে তবে এর মূল কারণ ছিল অসতর্কতা। যে যানটি লঞ্চটিকে ধাক্কা দিয়েছে সেই যানটিকে গ্রেপ্তার করা যায়নি। গ্রেপ্তার করতে পুলিশ কাজ করছে। নোংরা পানি, ঝড় এবং লঞ্চটি সরু হওয়ায় উদ্ধারে সময় লেগেছে বলে জানান তিনি।
লঞ্চডুবির ঘটনায় জেলা প্রশাসন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট খাদিজা তাহেরীকে আহ্বায়ক করে সাত সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। তদন্ত কমিটিকে আগামী পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তদন্ত কমিটিতে বিআইডব্লিউটিএ, কোস্টগার্ড, ফায়ার সার্ভিস ও নৌ পুলিশের প্রতিনিধি এবং সদরের ইউএনওকে রাখা হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জ জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শামীম বেপারী বলছেন, লঞ্চটি ডুবে যাওয়ার পর একটি মরদেহ হাসপাতাল থেকে স্বজনের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। আর বাকি চারটি মরদেহ উদ্ধারের পর সেগুলো ঘটনাস্থল থেকেই স্বজনদের কাছে দিয়ে দেয়া হয়। এ পর্যন্ত ২০টি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
রবিবার বিকেলে শীতলক্ষ্যা নদীতে কয়লাঘাট এলাকায় একটি নির্মাণাধীন সেতুর কাছে লঞ্চটি ডুবে যায়। লঞ্চটি নারায়ণগঞ্জ থেকে মুন্সীগঞ্জের দিকে রওনা দেয়ার পর সৈয়দপুর কয়লাঘাট চায়না ব্রিজের কাছে পৌঁছালে এ দুর্ঘটনা ঘটে। লঞ্চটি একটি ট্যাংকারের সঙ্গে ধাক্কা লাগার পর সঙ্গে সঙ্গেই ডুবে যায়।