ঢাকাশনিবার , ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
  • অন্যান্য

Tiger hunting by mixing poison in the meat

ছাগলের মাংসে বিষ মিশিয়ে বাঘ শিকার॥ ২০ বছরে ৭০টি বাঘ মেরেছে হাবিব

Paris
  • অনলাইন ডেস্ক

    ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০২৩, ২:৫২ অপরাহ্ণ

প্রতীকী ছবি।

সুন্দরবনকে রয়েল বেঙ্গল টাইগারের অভয়ারণ্য ঘোষণা করা হয়েছে। এই অভয়ারণ্যেই চোরা শিকারিদের আনাগোনা বাড়ছেই। ছাগলের মাংসে বিষ মিশিয়ে শিকার করা হচ্ছে বাঘ।

জানা গেছে, বাংলাদেশের সুন্দরবন এলাকায় কোথায় কোথায় বাঘের বিচরণ, সেই খবর এই চোরা শিকারিদের কাছে থাকে। সেই সমস্ত জায়গায় বিষ মেশানো ছাগলের মাংস রেখে আসা হয়। বিষাক্ত মাংস খেয়ে মৃত্যু হয় বাঘের। তারপরই মৃত বাঘের চামড়া ও অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ নিয়ে আসা হয়। পরে তা পাচার করা হয়। বহুদিন ধরেই সুন্দরবনে সক্রিয় এই পাচার চক্র। সম্প্রতি এদের মধ্যে দুইজনকে আটক করেছে ব়্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন- ব়্যাব।

দুই চোরা শিকারির নাম মো. হাফিজুর শেখ ও মো. ইসমাইল শেখ। তাদের বাড়ি সুন্দরবন সংলগ্ন সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর উপজেলার ধলপাড়া গ্রামে। গোপন সূত্রে ব়্যাব এই বাঘ শিকারের চক্রটির সম্পর্কে তথ্য পায়। পরে বাঘের চামড়া ও অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের ক্রেতা সেজে তাদেরকে আটক করা হয়। পরবর্তীতে তাদের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে একটি বাঘের চামড়া লবণ মাখা অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।

জানা গেছে, গেল ২৭ জানুয়ারি শ্যামনগর উপজেলা সংলগ্ন সুন্দরবন থেকে বাঘটি শিকার করেছিল। পরে এমন ক্রেতা খুঁজছিল যারা কোটি টাকার বিনিময়ে বাঘের চামড়া কিনবে। ব়্যাব জানায়, যারা এসব বাঘের চামড়া কেনে তারাও নজরদারিতে রয়েছে।

আটকের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে চোরা শিকারিরা জানায়, তারা মাছ ও গোলপাতা সংগ্রহের উদ্দেশ্যে সুন্দরবনে প্রবেশ করে বাঘ শিকার করত। সুযোগ বুঝে বনের অন্যান্য প্রাণীও শিকার করত। কীভাবে এই চক্রের সঙ্গে যুক্ত হল তা জানার চেষ্টা চলছে।

এর আগে হাবিব তালুকদার তথা বাঘ হাবিব নামে বন বিভাগের তালিকাভুক্ত আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। গত ২০ বছরে সে ৭০টি বাঘ মেরেছে। হাবিবের নামে ৯টি মামলা আছে।

সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন