পল স্টার্লিং ও অ্যান্ড্রু বালবার্নির দারুণ ব্যাটিংয়ে জয়ের পথ তৈরি হয় আয়ারল্যান্ডের। তবে ডেথ ওভারে মোস্তাফিজুর রহমান উজাড় করে দিলেন নিজেকে। তাতে দারুণভাবে ম্যাচে ফিরল বাংলাদেশ। শেষদিকে অনিশ্চয়তার দোলাচল তৈরি হলেও ফিজের গড়ে করা ভিতের সৌজন্যে জয়ের আনন্দে মাতল তামিম ইকবালের দল। শেষ ওভারে জোড়া উইকেট নিয়ে যেখানে নায়কের ভূমিকায় থাকবেন হাসান মাহমুদও।
চেমসফোর্ডে রবিবার সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে বাংলাদেশ জিতেছে ৫ রানে। ফলে ২-০ তে সিরিজ জিতল তারা। প্রথম ওয়ানডে বৃষ্টিতে ভেসে যাওয়ার পর দ্বিতীয় ওয়ানডেতে তিন শর বেশি রান তাড়া করে দারুণ এক জয় তুলে নিয়েছিল বাংলাদেশ।
এদিন বাংলাদেশের দেওয়া ২৭৫ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ৯ উইকেটে ২৬৯ রানে থামে আয়ারল্যান্ড। শেষ ওভারে ১০ রান দরকার ছিল দলটির। হাসানের হাতে তখন বল তুলে দেন অধিনায়ক তামিম। ৪ রান খরচায় ২ উইকেট তুলে নিয়ে পুরো দেশকেই আনন্দে মাতিয়েছেন এই পেসার।
তবে এক পর্যায়ে ম্যাচটা আইরিশদের দিকেই হেলে পড়েছিল। ৪ উইকেটে ২২৬ রান করে ফেলেছিল দলটি। সেখান থেকে মোস্তাফিজ ম্যাচে ফেরান দলকে। একে একে তুলে নেন কার্টিস ক্যাম্ফার, জর্জ ডকরেল ও লরকান টাকারকে। ওপেনার স্টিফেন ডোহেনিকে ফিরিয়ে দলকে প্রথম সাফল্য তিনিই দিয়েছিলেন।
সব মিলিয়ে ১০ ওভারে ৪৪ রান খরচায় ৪ উইকেট নিয়েছেন কাটার ‘মাস্টার খ্যাত’ মোস্তাফিজ। আগের দুই ম্যাচে যিনি একাদশেই ছিলেন না।
হাসান ২ উইকেট নিয়েছেন। একটি করে উইকেট নিয়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজ ও নাজমুল হোসেন শান্ত।
আয়ারল্যান্ডের পক্ষে সর্বোচ্চ ৬০ রান করেছেন পল স্টার্লিং। অধিনায়ক অ্যান্ড্রু বালবার্নি ৭৮ বলে ৫৩, লরকান টাকার ৫৩ বলে ৫০, হ্যারি ট্যাক্টর ৪৮ বলে ৪৫ রান করেন।
এর আগে ৪৮.৫ ওভারে অলআউট হওয়ার আগে ২৭৪ রানের পুঁজি গড়ে বাংলাদেশ। তামিম ইকবালে সর্বোচ্চ ৮২ বলে ৬৯ ও মুশফিকুর রহিম ৫৪ বলে ৪৫ রান করেন। মেহেদী হাসান মিরাজ ৩৭, নাজমুল হোসেন শান্ত ও লিটন দাসের ব্যাট থেকে এসেছে ৩৫ রান করে।
আইরিশদের পক্ষে মার্ক অ্যাডায়ার সর্বাধিক ৪ উইকেট নিয়েছেন। ২টি উইকেট নিয়েছেন অ্যান্ডি ম্যাকব্রাইন ও জর্জ ডকরেল।
ম্যাচসেরা হয়েছেন মোস্তাফিজুর রহমান। সিরিজসেরা নাজমুল হোসেন শান্ত।
সূত্র: দেশ রুপান্তর