প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকিতে বিএনপির মৌন সম্মতি আছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ওসেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
বুধবার (২৪ মে) রাজধানীর তেজগাঁওস্থ সড়ক ভবনে ‘বারইয়ারহাট-হেয়াকো-রামগড়’ সড়ক প্রশস্তকরণ কার্যক্রমের ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকিতে বিএনপির মৌন সম্মতি আছে। এটা স্লিপ অফ টাং নয়।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যা করে বিএনপি এক দফা বাস্তবায়ন করতে চায় কিনা প্রশ্ন করে তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকির প্রতিবাদে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাসও ভালোভাবে নেননি। কিন্তু বিএনপির কোনো দায়িত্বশীল নেতা এ পর্যন্ত ব্যবস্থা নেননি।’
তিনি বলেন, ‘বিএনপির একজন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেছেন, এটি মুখ ফসকে বলেছে। যিনি শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকি দিয়েছেন তিনি বিএনপির কোনো সাধারণ কর্মী নন। জেলার আহ্বায়ক ও কেন্দ্রীয় নেতা। তিনি যা বলেছেন সেটা বিএনপিরই কথা। ২৭ দফা, ১০ দফা নয়, এক দফায় এসেছে তারা। তাহলে কি ধরে নিবো, শেখ হাসিনাকে হত্যা করে তারা এক দফা বাস্তবায়ন করতে চায়। এ ব্যাপারে বিএনপি কী বলে সেটা শুনতে চাই।’
দলীয় নেতাকর্মীদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আগামী নির্বাচন পর্যন্ত সতর্ক থাকতে হবে। যারা নির্বাচন প্রতিরোধ করতে আসবে তাদের প্রতিরোধ করতে হবে।’
মঙ্গলবার ঢাকায় বিআরটিসির গাড়িতে আগুন ও পুলিশের উপর হামলা প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আন্দোলনের নামে বিএনপি নৈরাজ্য ও সন্ত্রাস করবে, এটা তাদের পুরনো স্বভাব। উদ্ভূত পরিস্থিতি বলে দেবে কোন পরিস্থিতিতে কীভাবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ব্যবস্থা নেবে। আর রাজনীতির একটা ভাষা আছে। রাজনৈতিকভাবে সেটা মোকাবিলা করবো। আমরা সহিংসতায় যাব না।’
এর আগে বাংলাদেশ ও ভারতের যৌথ উদ্যোগে ‘বারইয়ারহাট-হেয়াকো-রামগড়’ সড়কের প্রশস্তকরণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন করেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘ভারতের সঙ্গে রক্তের রাখি বন্ধনে বাংলাদেশ আবদ্ধ। ভারতের সঙ্গে মুখ দেখাদেখি বন্ধ করলে বাংলাদেশ সামনের দিকে এগোতে পারবে না। ব্যবসা-বাণিজ্য বন্ধ হয়ে যাবে। একাত্তরে রক্তের রাখি বন্ধন তৈরি হয়েছে ভারতের সঙ্গে। এই সম্পর্ক ৭৫-এর পরে ২১ বছরে শিথিল হয়েছে। এখনও কিছু সমস্যা বিদ্যমান থাকলেও ব্যবধান কমেছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘ভারত প্রতিবেশী দেশ, তারা হোস্টাইল করলে বাংলাদেশ আরও পিছিয়ে যেত। এখন দুই দেশই উপকৃত। বাংলাদেশের মাটি ব্যবহার করে ভারতের বিরুদ্ধে কোনো সন্ত্রাসী কার্যক্রম করতে দিচ্ছে না সরকার।’
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মো. ইসহাক। এ সময় ভারতের হাই কমিশনার প্রণয় ভার্মা উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া, সংসদ সদস্য সৈয়দ নাজিবুল বশর মাইজভান্ডারি, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এবিএম আমিন উল্লাহ নুরী, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদার, ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানী লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন ছিদ্দিক এবং ঢাকা বিআরটি কোম্পানি লিমিটেড ব্যবস্থাপনা পরিচালক সফিকুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।