ঢাকাবৃহস্পতিবার , ২৫ মে ২০২৩
  • অন্যান্য

Arrest of drinking party 1

গোমস্তাপুর রহনপুরের ডাকবাংলায় মদের আড্ডা গ্রেফতার ১

Paris
  • শাহারিয়া শাহাদাৎ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ

    মে ২৫, ২০২৩, ৮:১০ অপরাহ্ণ
গোমস্তাপুর রহনপুরের ডাকবাংলায় মদের আড্ডা গ্রেফতার ১

চাঁপাইনবাবগঞ্জ গোমস্তাপুরের রহনপুর ডাকবাংলোর রুম বরাদ্দ নিয়ে বাংলা মদের আসর বসার প্রস্তুতি নিয়েছিল চাঁপাইনবাবগঞ্জের ব্যবসায়ী সুজাতুল আলম কল্লোল ও রহনপুরের সেরাজুল ইসলাম টাইগার নামের দুজন। সুজাতুল আলম কল্লোল গম্ভীরার জনপ্রিয় শিল্পী কুতুবুল আলমের ছেলে ও সেরাজুল ইসলাম টাইগার মৃত মোজাফফর আলীর ছেলে বলে জানা গেছে।

ডাকবাংলো তে পূর্ব থেকেই অবস্থানরত ডিজিএফআইয়ের সদস্যরা বিষয়টি জানতে পারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কে খবর দেয়া হলে তারা এসে তল্লাশি চালিয়ে ডাকবাংলোর কেয়ারটেকার বাবর আলীর কাছ থেকে ৫ বোতল দেশী মদসহ তাকে আটক করে। বাবর আলী প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানায় সে ডাকবাংলোর অতিথি কল্লোল, টাইগার ও তাদের সহযোগীদের জন্য মদ এনে দেয়। তবে কল্লোল বা তার সহযোগী টাইগার কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। এ বিষয়ে সিরাজুল ইসলাম টাইগার এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি কল্লোলের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলাম। সেই রাতের মাদক আড্ডার সঙ্গে আমার কোন সম্পৃক্ততা নেই। তিনি আরও বলেন আমি উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক, সাংস্কৃতিক মানুষ ও সামাজিক সংগঠক। আমি মাদকের বিরুদ্ধে সোচ্চার সে বলেন সেখানে কল্লোলের সঙ্গে দেখা করতে আরো দুইজন ব্যক্তিও গিয়েছিল। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সেই দুইজন ব্যক্তির সাথে যোগাযোগ করলে তারা বলেন আমরা আমের ব্যবসার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট দেশের বিভিন্ন জায়গায় অনলাইনে আম প্রেরণ করে থাকি । সেই লক্ষ্যে কুরিয়ার সার্ভিস নিয়ে আলোচনা করার জন্য কল্লোলের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলাম। রাতের আড্ডার বিষয়ে আমাদের কোন কিছু জানা ছিলনা। এমন ঘটনা জানলে যেতাম না। গ্রেপ্তারকৃত বাবর আলী কে মাদক মামলায় আটক দেখিয়ে বৃহস্পতিবার (২৫ মে) সকালে কোর্টে প্রেরণ করা হয়েছে।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপরিদর্শক বদিউজ্জামান বলেন, আটক ব্যক্তির নিকট মাদক পাওয়ার সুনির্দিষ্ট অভিযোগে তার বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে কোর্টে পাঠানো হয়েছে। গোমস্তাপুর থানার মামলা নং ২০ তাং ২৫ মে ২০০৩। দিন দিন মাদকের ব্যবহার বেড়েই চলেছে। বাংলা মদ, চুয়ানি, ফেনসিডিল, ইয়াবা সহ বিভিন্ন মাদকের নেশার কারনে পারিবারিক ও সামাজিক নিরাপত্তা নষ্ট হচ্ছে।

গোমস্তাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ এর কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন মাদকের বিষয়ে কোনো আপোষ হবে না। যারা এর সঙ্গে জড়িত থাকবে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এবিষয়ে কোন ছাড় নেই। উল্লেখ্য যে, রহনপুরে একটি লাইসেন্সধারী মদের দোকান রয়েছে সরকারি বিধি বিধান থাকলেও তারা সে বিধি-বিধানের তোয়াক্কা না করে ২৪ ঘন্টায় ব্যবসা করে থাকে।