গোবিন্দগঞ্জে চিউইং জাতের লাল আখ চাষ জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। প্রচন্ড গরম হওয়ায় এই জাতের আখ খেতে মানুষ পছন্দ করছেন। এবছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় কৃষকরা ব্যাপক ফলন পেয়েছেন। এই জাতের আখটি রসালো ও খেতে খুব মিষ্টি হওয়ায় বাজারে বেশ চাহিদা রয়েছে। অধিক ফলন ও চাহিদা থাকায় কৃষকরা ভাল দামে বিক্রি করে লাভবান হতে পারছেন।
জানা যায়, গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার কমারদহ ইউনিয়নের চাঁদপারা, ঘোড়ামারা, বকচর, চেরাগাড়ী, মাস্তা, বার্ণাআকুবসহ সকল গ্রামেই লাল জাতের কিউ সিক্সটিন, বিএসআরআই-৪১ ও ৪২ জাতের আখ চাষ করেছেন। আখগুলো দেখতে সুন্দর ও খেতে খুবই সুস্বাদু হয়। মানুষ এই নরম আখ চিবিয়ে ও শরবত করে খেয়ে থাকেন। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পাইকাররা এখানে আখ কিনতে আসেন। এখান থেকে আখ কিনে ট্রাক যোগে রাজধানী ঢাকা ছাড়াও বগুড়া, নওগাঁ, রাজশাহী, খুলনা, সাতক্ষীরা, নারায়নগঞ্জ, সিলেটসহ নানা জায়গায় করেন।
বকচর গ্রামের আখচাষি সুজা মিয়া বলেন, চৈত্র-বৈশাখ মাস হলো আখের ভরা মৌসুম। আমিসহ এখানকার অনেক কৃষক আখ চাষের সাথে যুক্ত। আগে আখ চাষে খরচ কম থাকলেও বিভিন্ন উপকরণের দাম বৃদ্ধিতে এখন খরচ বেড়েছে। আমাদের চাষকৃত আখ খুব মিষ্টি ও রসালো। বাজারে এর বেশ চাহিদা রয়েছে। আবহাওয়া ভাল থাকায় এবছর ফলন ভাল হয়েছে। আশা করছি জমির সকল আখ বিক্রি করে লাভবান হতে পারবো।
স্থানীয় আখের রস বিক্রেতা সোলায়মান আলী বলেন, গত বছরের তুলনায় এবছর গরম বেশি। মানুষ এই গরমে আখের রস বেশি খাচ্ছেন। এখানকার আখ খেতে খুব মিষ্টি হওয়ায় আগের তুলনায় চাহিদা বাড়ছে। আমি কৃষকের জমি থেকে প্রতিটি আখ ৯-১০ টাকা দরে কিনে নিয়ে আসছি। আর প্রতি গ্লাস শরবত ১০ টাকায় বিক্রি করছি। এতে আমার ভাল আয় হচ্ছে।
গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সৈয়দ রেজা-ই-মাহমুদ বলেন, আখ একটি অর্থকরী ফসল। মানুষ এর রস খেতে খুব পছন্দ করেন। আমরা কৃষকদের এই লাল জাতের চিউইং ভ্যারাইটির আখ চাষে প্রশিক্ষণ ও পরামর্শ দিচ্ছি।