ঢাকাবৃহস্পতিবার , ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • অন্যান্য

Bridge at Kaukhali in Pirojpur

রডের পরিবর্তে সুপারি গাছ দিয়ে ব্রিজের স্লাব তৈরি

  • অনলাইন ডেস্ক

    সেপ্টেম্বর ৭, ২০২৩, ৯:৫৫ অপরাহ্ণ
স্লাব তৈরিতে সুপারি গাছের চেরার ব্যবহার। ছবি: সংগৃহীত ছবি

পিরোজপুরের কাউখালীতে ব্রিজ মেরামত কাজের স্লাব তৈরিতে রডের পরিবর্তে সুপারি গাছের চেরা ব্যবহার করা হয়েছে। কাউখালী উপজেলার সদর ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের (কাঠালিয়া) নূরুল ইসলামের বাড়ির সামনে ব্রিজ মেরামতের কাজে ওই স্লাব ব্যবহার করা হয়।

বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ব্রিজের ৩টি স্লাব ভেঙে গেছে। প্রতিটি স্লাবে রডের পরিবর্তে ৫টি করে সুপারি গাছের চেরা (স্থানীয় লোকজন যাকে সুপারির ডাব বলেন) দিয়ে স্লাব ঢালাই করা হয়েছে। ব্রিজের প্রায় সবগুলো স্লাবই ফেটে গেছে।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের অধীন এডিপির আওতায় কাউখালী ইউনিয়নে ৬টি উন্নয়ন কাজের একটি ওই ব্রিজ মেরামত কাজ। মেসার্স হালিমা এন্টারপ্রাইজ নামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এ ব্রিজ মেরামত করে। কার্যাদেশ মোতাবেক ২০২২ সালের ২০ জুন কাজ শেষ করা হয়।

এলাকার বাসিন্দা আব্দুল লতিফসহ উপস্থিত এলাকাবাসী জানান, ঠিকাদার তার নিজের এলাকায় বসে স্লাব তৈরি করে নিয়ে এসে ব্রিজে একদিনের মধ্যে স্থাপন করে চলে গেছেন। কাজ করে যাওয়ার পর থেকেই স্লাবগুলোতে ফাটল দেখা দেয়। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে খবর পেয়ে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউএনও সরেজমিনে পরিদর্শন করেন।

ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স হালিমা এন্টারপ্রাইজের মালিক লাভলু খান বলেন, এক দেড় বছর আগের ঘটনা তা এখন কি বলব। তিনি নিজে কাজ করেননি। ওই কাজ কাউখালীর এক ঠিকাদারের কাছে বিক্রি করে দিয়েছিলেন। তিনি প্রশ্ন রাখেন, স্লাব যখন ঢালাই দেয় তখন উপজেলা প্রকৌশলী বা তার প্রতিনিধিরা দেখেননি কেন। এখন সমস্যার কথা বললে হবে কীভাবে?

এ বিষয়ে কথা বলার জন্য উপজেলা প্রকৌশলী মো. সাখাওয়াত হোসেনের সঙ্গে কথা বলার জন্য তার মুঠোফোনে বারবার ফোন দিয়েও সংযোগ পাওয়া যায়নি।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার সজল মোল্লা বলেন, খবর পেয়েই উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মহোদেয় ও আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে অবস্থা দেখেছি। উপজেলা চেয়ারম্যান সাহেবের সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা করে দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

উপজেলা চেযারম্যান আবু সাইদ মনু মিয়া বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিষয়টি জানতে পেরে ইউএনওকে নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ব্রিজ দেখেছি। প্রকৌশলী আসতে পারেন নি। তাকে আগামী ৮ ঘণ্টার মধ্যে ব্যখ্যা দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। বিষয়টি এলাকার সংসদ সদস্য মহোদয়কে, এলজিইডির চীফ ইঞ্জিনিয়ার, নির্বাহী প্রকৌশলীকে জানানো হবে। এত বড় দুর্নীতি করতে দেওয়া যায় না।

সূত্র: জনকণ্ঠ