•বদলগাছীতে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান গ্রেফতার।
চেক প্রত্যাখ্যান মামলার এক বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামী নওগাঁর বদলগাছি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সামছুল আলম খাঁন গ্রেফতার হয়েছেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বদলগাছী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতিয়ার রহমান।
আদালত ও থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সামছুল আলম খাঁনের কাছ থেকে সরদার মোঃ হাতেম আলী পাওনা টাকা পেতেন। সামছুল আলম রুপালী ব্যাংক বদলগাছি শাখার তাঁর হিসেব নম্বরের ৮ লাখ টাকার একটি চেক দিয়েছিলেন। সরদার মোঃ হাতেম আলী ২০১২ সালের ২৯ আগষ্ট ৮ লাখ টাকার চেকটি নগদায়নের জন্য রুপালী ব্যাংকের ওই শাখায় জমা দিয়েছিলেন। চেকটি প্রত্যাখ্যান হয়। এরপর সরদার মোঃ হাতেম আলী আদালতে সামছুল আলম খাঁনের বিরুদ্ধে চেক প্রত্যাখ্যান মামলা করেন। ২০১৪ সালের ১১ জুন নওগাঁর যুগ্ম দায়রা জজ আদালত সামছুল আলম খাঁনকে এক বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও ২৪ লাখ টাকা অর্থদণ্ডের আদেশ দেন। এ আদেশের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আপিল করেন। আদালত আপিল মঞ্জুর করে আসামীকে খালাস দিয়েছিলেন। ৩১৬০/২০১৭ নম্বর ক্রিমিনাল রিভিশন উচ্চ আদালত দাখিল করা হয়। উচ্চ আদালত ক্রিমিনাড় রিভিশন মঞ্জুর করে আপিলটি পুনঃবিচারের জন্য অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ তৃতীয় আদালতে পাঠায়। চলতি বছরের ১০ জানুয়ারি অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ তৃতীয় আদালতের বিচারক মোঃ মোখলেছুর রহমান শুনানী শেষে ফৌজদারি আপিল মামলাটি নামঞ্জুর করে ২০১৪ সালের ১১ জুন ঘোষিত যুগ্ম দায়রা জজ ১ আদালতের রায় বহাল রাখেন। পরে ৩০৮ নম্বর স্মারকে চলতি বছরের ৩০ এপ্রিল দণ্ডিত আসামীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। এরপর আদালত গত ২ মে নওগাঁ পুলিশ সুপার কার্যালয়ে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা পৌঁছানো হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত ৯ মে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা বদলগাছি থানায় পৌছার পরও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সামছুল আলম খাঁন বহাল তবিয়ে দাপ্তরিক কার্যক্রম পরিচালনা করেছেন। জুন মাসে তিনি উপজেলা পরিষদের তাঁর কার্যালয়ে উপস্থিত থেকে বিলে স্বাক্ষর করেছেন। এরপর গ্রেপ্তারি পরোয়ানার বিষয়টি জানাজানি হলে তিনি উপজেলা পরিষদের মাসিকসভায় উপস্থিত হননি। গত কয়েক দিন ধরে উপজেলা আওয়ামী লীগের একটি পক্ষের নেতারা সামছুল আলমকে গ্রেফতার করতে থানা পুলিশকে চাপ দেন। এরপর গতকাল সোমবার রাতে বদলগাছি থানা পুলিশ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সামছুল আলম খাঁনকে গ্রেফতার বিষয়টি বাহিরে জানায়।
এ ব্যপারে বদলগাছি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতিয়ার রহমান বলেন, থানায় গ্রেফতারি পরোয়ানার আসার পরপরই উপজেলা চেয়ারম্যান সামছুল আলম খাঁনকে গ্রেফতার চেষ্টা করছে পুলিশ। তবে গ্রেফতার এড়াতে আড়ালে থাকায় উপজেলা চেয়ারম্যানকে এতদিন গ্রেপ্তার করা যায়নি।