ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে বরগুনায় সকাল থেকেই থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। সন্ধ্যার পরপরই বৃষ্টির সঙ্গে বইতে শুরু করেছে ঝড়ো হাওয়া। এদিকে ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে বিকেল থেকে আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় গ্রহণ করেছেন ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার মানুষজন। কিন্তু আশ্রয়কেন্দ্রে আলোর ব্যবস্থা না থাকায় বিপাকে পড়েছেন আশ্রয় নিতে আসা মানুষজন।
সরেজমিনে বরগুনা সদর উপজেলার পোটকাখালী প্রাথমিক বিদ্যালয় নামক একটি সাইক্লোন শেল্টার ঘুরে দেখা যায়, এই এলাকার প্রায় দুই শতাধিক নারী, পুরুষ ও শিশু আশ্রয় নিয়েছেন শেল্টারটিতে। এ ছাড়া অনেকেই তাদের গবাদিপশুকে নিরাপদে রাখতে নিয়ে এসেছেন এ আশ্রয়কেন্দ্রে। তবে আশ্রয় নিতে এসে আশ্রয়কেন্দ্রে আলো না থাকায় বিপাকে পড়েছেন সাধারণ মানুষজন।
সাইক্লোন শেল্টারে আশ্রয় নেওয়া পোটকাখালী এলাকার বাসিন্দা মোসা. শারমিন গণমাধ্যমকে বলেন, বাড়িতে পানি উঠেছে। নিরাপদে থাকতে ছেলে-মেয়ে নিয়ে আশ্রয়কেন্দ্রে এসেছি। রাত হয়েছে, কিন্তু আমাদের জন্য কোনো আলোর ব্যবস্থা নেই।
আশ্রয় নিতে আসা পারভিন গণমাধ্যমকে বলেন, আমরা সরকারি আশ্রয়ণে থাকি। ঘরে পানি উঠায় দুপুরের দিকে আশ্রয়কেন্দ্রে এসেছি। রাত হয়ে গেছে অথচ এখনো আমরা অন্ধকারেই আছি।
এ বিষয়ে বরগুনা সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. শামীম মিঞা গণমাধ্যমকে বলেন, যে সব আশ্রয়কেন্দ্রে আলো নেই আমরা দ্রুত সময়ের মধ্যে সেখানে মোমবাতি এবং চার্জার লাইটের ব্যবস্থা করে দেব। এ ছাড়া প্রতিটি আশ্রয়কেন্দ্রে দ্রুত শুকনো খাবার পৌঁছে দেওয়া হবে।