বৃহস্পতিবার, ফেব্রুয়ারী ৬, ২০২৫
Logo
The government quarter wants to have the demand of the removed female vice-chairman

অপসারিত মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানের দাবি থাকতে চান সরকারি কোয়ার্টারে, চান মাসিক সম্মানিও

Bijoy Bangla

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশের সময়: ২১ আগস্ট, ২০২৪, ১০:১৮এএম

অপসারিত মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানের দাবি থাকতে চান সরকারি কোয়ার্টারে, চান মাসিক সম্মানিও
অপসারিত মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানের দাবি থাকতে চান সরকারি কোয়ার্টারে, চান মাসিক সম্মানিও

রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলা পরিষদের অপসারিত মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শেখ হাবিবা সন্তানের পড়াশোনার স্বার্থে এখনও সরকারি কোয়ার্টারে থাকতে চান। পাশাপাশি পরিবারের আর্থিক স্বচ্ছলতার জন্য মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানের সম্মানি ভাতা পেতে চান তিনি। এ দাবি নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার দৃষ্টি আকর্ষণ করে বুধবার দুপুরে তিনি সংবাদ সম্মেলন করেছেন।

নগরের কাদিরগঞ্জে রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়ন কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি। শেখ হাবিবা উপজেলা কৃষকলীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক। একবার তিনি ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত নারী আসনের সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। গত ২৯ মে অনুষ্ঠিত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তিনি বিপুল ভোটের ব্যবধানে প্রথমবার মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।

সংবাদ সম্মেলনে শেখ হাবিবা কান্নায় ভেঙে পড়েন। তিনি বলেন, রাজনৈতিক প্রতিহিংসার জেরে তিনি ২০১১ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত সাতটি মিথ্যা মামলার আসামি হয়েছেন। সাতবার জেলে গিয়েছেন। এখনও দুটি মামলা বিচারাধীন। তাঁর স্বামী একজন চায়ের দোকানি। ৫ টাকা দামের চা বিক্রির টাকায় তিনি রাজনীতি করেন। এবার নির্বাচনে দল-মত নির্বিশেষে সবাই তাঁকে ভোট দেন। সর্বোচ্চ ৪২ হাজার ৯৮৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। দায়িত্ব নেওয়ার অল্পদিনের মধ্যেই গত সোমবার (১৯ আগস্ট) দেশের সব উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানদের অপসারণ করে সরকার।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে তাঁর সমর্থন রয়েছে জানিয়ে শেখ হাবিবা বলেন, ‘মোহনপুর থানায় আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে। উপজেলা আওয়ামী লীগ অফিস পুড়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অফিস, ভূমি অফিস ভাঙচুর হয়েছে। কিন্তু আমার ওপর হামলা হয়নি। আমি পালাইনি। কারণ, সবাই আমাকে ভালবাসে। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নেওয়ার পর আমি উপজেলা সদরে সরকারি কোয়ার্টারে উঠেছি। আমার ছোট্ট মেয়েটাকে মডেল স্কুলে ভর্তি করেছি। এ জন্য আমি এখনও সরকারি কোয়ার্টারে থাকতে চাই। আমাকে এই সুযোগটা দেওয়ার জন্য আমি প্রধান উপদেষ্টার কাছে দাবি জানাই।’

পদ থেকে অপসারিত হলেও মাসিক সম্মানী ভাতা দেওয়ারও দাবি জানান শেখ হাবিবা। তিনি বলেন, ‘আমি এখনও পড়াশোনা করি। বেসরকারি বিশ^বিদ্যালয়ে আইন বিভাগে চতুর্থ বর্ষ চলছে। আমার স্বামী মাসুদ রানা একজন চা দোকানি। চা বিক্রি করে সংসার চালান। আমি সম্মানী ভাতার টাকাটা পেলে সংসারে আর্থিক স্বচ্ছলতা থাকত। আমার কিছুই নেই। আমি সরকারের কাছে এটা চাই।’

সংবাদ সম্মেলনে শেখ হাবিবার মা ঘাষিগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত নারী আসনের সাবেক মহিলা সদস্য মিনা বেগম উপস্থিত ছিলেন। দুই শিশুকন্যাকে সঙ্গে নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসেছিলেন শেখ হাবিবা।