সোমবার, মার্চ ১৭, ২০২৫
Logo
Child dies after eating poisonous cracker fish

বিষাক্ত পটকা মাছ খেয়ে শিশুর মৃত্যু, একই পরিবারের ৪ জনকে হাসপাতালে ভর্তি

Bijoy Bangla

অনলাইন ডেস্ক :

প্রকাশের সময়: ১৩ মার্চ, ২০২৫, ০৫:৫৯পিএম

বিষাক্ত পটকা মাছ খেয়ে শিশুর মৃত্যু, একই পরিবারের ৪ জনকে হাসপাতালে ভর্তি
পিরোজপুরের কাউখালীতে বিষাক্ত পটকা মাছ খেয়ে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।......সংগৃহীত ছবি

পিরোজপুরের কাউখালীতে বিষাক্ত পটকা মাছ খেয়ে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আরও চারজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

বুধবার (১২ মার্চ) রাতে উপজেলার চিরাপাড়া পার সাতুরিয়া ইউনিয়নের পশ্চিম চিরাপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত শিশু ফাতেমা (৫) ওই এলাকার কামাল হোসেনের মেয়ে।

চিড়াপাড়া পারসাতুরিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান লাইকুজ্জামান মিন্টু বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার চিড়াপাড়া পারসাতুরিয়া ইউনিয়নের চিড়াপাড়া গ্রামের গোরাখাল এলাকার হানিফ সরদারের জামাই জেলে সোহাগ তার শিশু সন্তানকে নিয়ে প্রতিদিনের মতো বুধবার রাতে কচা নদীতে মাছ ধরতে যায়। এ সময় তাদের জালে অন্যান্য মাছের সাথে আধা কেজি ওজনের একটি বিষাক্ত পটকা মাছ ধরা পড়ে। এরপর জেলে সোহাগ তার শ্বশুর হানিফ সরদারের বাড়িতে মাছটি নিয়ে এলে বাড়ির লোকজন মাছটিকে কেটে রান্না করে রাতে খেয়ে ঘুমিয়ে পরে। রাত ২টার সময় বাড়ির অধিকাংশ লোক অসুস্থ হয়ে পরে। এদের মধ্যে পাঁচজনের বমি শুরু হলে তাদের তাৎক্ষণিকভাবে কাউখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এলে কামাল হোসেনের শিশুকন্যা ফাতেমার (৫) মৃত্যু হয়।

বাকি চারজন সোহাগের স্ত্রী শিখা বেগম (২০), কামাল হোসেনের স্ত্রী সাবিনা বেগম (২৫), হানিফ সরদারের স্ত্রী আকলিমার বেগম (৫৩) ও হানিফ সরদারের মেয়ে সুমনা আক্তার (১৩) অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসক তাদেরকে রাতেই উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।

এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ইশতিয়াক আহমেদ জানান, শিশুটি হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই মারা গেছে। বাকিদের উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

চিড়াপাড়া পারসাতুরিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান লাইকুজ্জামান মিন্টু জানান, রাতে বিষাক্ত পটকা মাছ খেয়ে একই পরিবারের পাঁচজন অসুস্থ হয়ে পরে। এর ভিতরে একটি শিশু মারা যায়। অপর চারজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।