আগে হাজার-১২০০ টাকা আয় করতাম। তখন ভালো চলতাম। জিনিসপত্রের দাম ছিল কম। পরিবার নিয়ে সুখেই ছিলাম। ঋণ ছিল না। কিন্তু এখন ১৮ হাজার টাকা মাসে আয় করেও চলতে পারি না। উল্টো ঋণে থাকতে হয়।
মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) দুপুরে কুমিল্লার আদর্শ সদর উপজেলার কমলাপুর এলাকায় সঙ্গে আলাপচারিতায় এভাবেই বলছিলেন মো. আলাউদ্দিন নামের এক বাঁশের কুটির শিল্প শ্রমিক।
তিনি বলেন, আমার এক ছেলে ও এক মেয়ে। মেয়েটা বড়। সে কলেজে পড়ে। ছেলেটা পড়ে অষ্টম শ্রেণিতে। ছেলেমেয়ে দুজনের পড়ালেখার খরচ, সংসার খরচ আর নিজের পকেট খরচ নিয়ে খুবই দুশ্চিন্তায় থাকতে হয়। জিনিসপত্রের দাম যে হারে বৃদ্ধি পেয়েছে, তাতে আমাদের চলা কষ্টের।
তিনি আরও বলেন, এটা শুধু আমার একার নয়। সকল দিনমজুরেরও কথা। ২০০ টাকা নিয়ে আমার বাবার সঙ্গে আগে হাটে যেতাম বেতের গামা নিয়ে। দুইটা ইলিশ কিনতাম। ৭০ টাকায় গামা ভরে সদাই নিতাম। আর এখন ইলিশ তো দূরে থাক, ভাত জুটানোই কষ্টের। এক কেজি পেঁয়াজের দাম অনেক বেশি। ছেলেমেয়ের পড়ালেখার খরচও বেশি। পানিটা ছাড়া সবকিছু কেনা।
এই নির্মাণ শ্রমিক আরও বলেন, আমি ১৮ হাজার টাকা মাসিক বেতনে কাজ করি। স্ত্রী, ছেলেমেয়েসহ ৪ সদস্যের সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হয়। জিনিসপত্রের দামের কারণে আয়ের চেয়ে ব্যয় বেশি। মাস শেষে ঋণে থাকতে হয়। প্রতি সপ্তাহে ১ হাজার টাকা কিস্তি দিতে হয়। আমি সরকারের কাছে জিনিসপত্রের দাম কমানোর জন্য দাবি জানাই।