পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে আবার বাংলাদেশে আমদানি করা হয়েছে ১০০ মেট্রিক টন আতপ চাল।
এর আগে গত ২৬ নভেম্বর (মঙ্গলবার) ভারত থেকে ১০০ মেট্রিক টন আতপ চাল আমদানি করা হয়েছে।
রোববার (৮ ডিসেম্বর) রাতে নতুন করে চাল আমদানির বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন বাংলাবান্ধা ল্যান্ডপোর্ট লিমিটেডের ম্যানেজার আবুল কালাম আজাদ। এর আগে একই দিন দুপুরে বন্দরটি দিয়ে আমদানি করা হয় চালগুলো।
জানা গেছে, বাংলাদেশ থেকে ভারত, নেপাল ও ভূটানের সঙ্গে সড়কপথে আমদানি-রপ্তানির একমাত্র স্থলবন্দর পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর। এ বন্দরটি দিয়ে সব থেকে বেশি আমদানি করা হয় পাথর।
বাংলাবান্ধা ল্যান্ডপোর্ট লিমিটেডের ম্যানেজার আবুল কালাম আজাদ গণমাধ্যমকে বলেন, সড়ক পথের এ বন্দরটি আমদানি-রপ্তানির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মাঝে মধ্যে বিভিন্ন পণ্য আমদানি-রপ্তানি হয়ে থাকে। তবে সব থেকে বেশি আমদানি হয়ে থাকে পাথর। এর মধ্যে আমদানিকারকদের আগ্রহ থাকলে সরকারি অনুমোদন সাপেক্ষে এ বন্দর দিয়ে বিভিন্ন সামগ্রী আমদানি হয়ে থাকে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে রোববার (৮ ডিসেম্বর) দুপুরে বন্দরটি দিয়ে ভারত থেকে চারটি ট্রাকে ১০০ মেট্রিক টন আতপ চাল আমদানি হয়। চালগুলো সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট প্রহর ইন্টারন্যাশনালের (জাহাঙ্গীর আলম) মাধ্যমে আমদানি করেছে চট্টগ্রামের প্রতিষ্ঠান সালমা ট্রেডিংয়ের আমদানিকারক ও মালিক সামসুল আলম।
এদিকে পঞ্চগড়ের পরিবহন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী কামরুল হাসান গণমাধ্যমকে বলেন, গাড়ি সল্পতা থাকায় আমদানি করা ১০০ মেট্রিক টন আতপ চালের মধ্যে রোববার ৭০ মেট্রিক টন চাল বন্দর এলাকা থেকে আমদানিকারকের প্রতিষ্ঠানে পাঠানো হয়েছে। সোমবার (৯ ডিসেম্বর) ৩০ মেট্রিক টন চালও আমদানিকারকের প্রতিষ্ঠানে পাঠানো হবে।
এর আগে গত মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) স্থলবন্দরটি দিয়ে ভারত থেকে চারটি ট্রাকে ১০০ মেট্রিক টন আতপ চাল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট প্রহর ইন্টারন্যাশনালের (জাহাঙ্গীর আলম) মাধ্যমে আমদানি করে আল আমিন এন্টারপ্রাইজ নামে একটি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান।