রমজান মাসকে ঘিরে প্রতি বছরই সব কিছুর দাম ঊর্ধ্বমুখী থাকলেও এবার ডালের বাজার স্থিতিশীল। গত ৩ মাসের মধ্যে বাজারে ডালের দামের তেমন উল্লেখযোগ্য কোনো পরিবর্তন হয়নি বলে জানা গেছে। তবে ছোলার ডাল আগামী সপ্তাহে কেজিতে ৫ টাকা বাড়তে পারে বলে আভাস পাওয়া গেছে।
রোববার (২ মার্চ) সকালে রাজধানীর মগবাজারের চারুলতা মার্কেটসহ কয়েকটি বাজার ঘুরে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।
বাজারে দেখা গেছে, আজ খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি মাসকলাইয়ের ডাল ২০০ টাকা, মুগ ডাল ১৭০ টাকা, দেশি মুসুরি ডাল ১৩৫ টাকা, খেসারির ডাল ১১৫ টাকা, ছোলার ডাল ১১৫ টাকা, ভারতীয় মুসুরি ডাল ১১০ টাকা, ছোলা ১১০ টাকা, ডাবলির ডাল ৭০ টাকা এবং অ্যাংকর ডাল ৭০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। আর বুটের ডালের বেসন ১৪০ টাকা ও এংকার ডালের বেসন ৯০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
বাজারের দোকানিরা দাবি করেছেন, গত ৩ মাসের মধ্যে ডালের দামে তেমন কোনো পরিবর্তন হয়নি।
ক্রেতারা বলছেন, ডালের দাম কেজিতে ৫/১০ টাকা কখন কম-বেশি রাখে সেটা বুঝতেই পারি না।
বাজারে খেসারি ডাল কিনতে এসেছেন রাফি আহমেদ। দোকানিকে ডালের দাম জিজ্ঞেস করতেই উত্তর পেলেন ১১৫ টাকা। রাফি বললেন, ডালের দাম আবার বাড়লো কবে?
দোকানি জানান, আগে ১২০ টাকা কেজি ছিল, এখন ৫ টাকা কমে ১১৫ টাকা হয়েছে।
জানতে চাইলে রাফি আহমেদ গণমাধ্যমকে বলেন, ডাল তো আর প্রতিদিন কেনা হয় না। ফলে দামটা মাথায় থাকে না। দোকানিরা কখন কেজি ৫/১০ টাকা কম বেশি রাখে, সেটা বুঝতেই পারি না।
তিনি বলেন, এবার ডালের বাজার স্বাভাবিক রয়েছে। তবে আগে থেকেই হয়ত দাম বাড়িয়ে এই পর্যায়ে আনা হয়েছে।
বাজারের মুদি দোকানি আল-আমিন গণমাধ্যমকে বলেন, গত ৩ মাসের মধ্যে ডালের দামে কোনো পরিবর্তন আসেনি। ফলে রমজানে ডালের বাজার স্থিতিশীল। যা কম-বেশি হওয়ার, তা আগেই হয়েছে। এসব বিষয়ে আমাদের কিছু বলার নেই। আমরা পাইকারি বাজার থেকে যে দামে কিনি, তা হিসাব করে খুচরা বাজারে বিক্রি করি।
তিনি বলেন, ছোলার দাম বেড়েছে বলে পাইকারি বাজার থেকে জানতে পেরেছি। আমার স্টকের ছোলাগুলো এখন বর্তমান দামেই বিক্রি হচ্ছে। আগামী সপ্তাহে হয়ত ৫ টাকা বাড়তে পারে।
বাজারের অন্যান্য দোকানগুলোতেও একই দামে ডাল বিক্রি করতে দেখা গেছে।
এদিকে ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের গতকাল ১ মার্চের তথ্য বলছে, বাজার প্রতি কেজি মসুর ডাল (বড় দানা) ১০৫-১১০ টাকা, মসুর ডাল (মাঝারি দানা) ১১০-১২০ টাকা, মসুর ডাল (ছোট দানা) ১৩০-১৪০ টাকা, মুগ ডাল ১৩০-১৮০ টাকা, এংকার ডাল ৬০-৮০ টাকা এবং ছোলা মানভেদে ১০৫-১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গত ফেব্রুয়ারি মাসেও বাজারে একই দাম ছিল বলে সংস্থাটি জানিয়েছে।
বিবিএন/ ২ মার্চ / অচ