শুক্রবার, জুন ১৩, ২০২৫
Logo
Musician Tasrif Khan
তাসরিফ খান

‘কেউ বাঁচান ভাই’ বলে চিৎকার, ঘটনার বর্ণনা দিলেন

Bijoy Bangla

অনলাইন ডেস্ক :

প্রকাশের সময়: ১৯ ডিসেম্বর, ২০২৪, ০৮:০৫পিএম

‘কেউ বাঁচান ভাই’ বলে চিৎকার, ঘটনার বর্ণনা দিলেন
সংগীতশিল্পী তাসরিফ খান।......সংগৃহীত ছবি

মধ্যরাতে ঢাকার রাস্তায় ছিনতাইকারীদের মুখোমুখি হয়েছেন কুঁড়েঘর ব্যান্ডের প্রতিষ্ঠাতা ও সংগীতশিল্পী তাসরিফ খান। বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) রাতে এক ব্যক্তিকে ছিনতাইকারীদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি করতে দেখেন।

‘কেউ বাঁচান ভাই’ বলে  চিৎকার করছিল লোকটি।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক দীর্ঘ স্ট্যাটাসে ঘটনার বিস্তারিত জানিয়েছেন তাসরিফ খান।  

ঘটনা শেয়ার করে ভক্ত-অনুরাগীদের সতর্কভাবে চলাফেরা করার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।  

বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) সকালে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে লেখেন, ১৮ তারিখ দিবাগত রাত ২টার ঘটনা। মিরপুর ২ নম্বরে একটি প্র্যাকটিস প্যাড থেকে জ্যামিং শেষ করে আমরা কুঁড়েঘর ব্যান্ডের প্রায় সবাই খাবার হোটেলের দিকে যাচ্ছিলাম। মিরপুর ২ নম্বর ওভারব্রিজের পাশে, পেট্রলপাম্পের ঠিক সামনে খেয়াল করলাম, পাঁচ-ছয়জন মিলে এক লোকের সঙ্গে ধস্তাধস্তি করছে। লোকটা খালি গায়ে কোনোরকম ছুটে যাওয়ার চেষ্টায় ‘কেউ বাঁচান ভাই’ বলে চিৎকার করছে। আমরা ব্যান্ডের তিনজন একসঙ্গে ছিলাম।

বাকিরা সামনে-পেছনে মিলিয়ে। আমি এগিয়ে গিয়ে গলা মোটা করে কী সমস্যা জিজ্ঞেস করে থামতে বলার সঙ্গে সঙ্গে খালি গায়ের লোকটা কোনোরকমে ছুটে দৌড় দেয়। আর ওই পাঁচ-ছয়জন আমাদের দিকে এগিয়ে আসতে থাকে। কোনো কিছু অনুমান করার আগেই ওরা আমাদের কাছে এসে বিচারের স্বরে বলে, ‘ভাই উনি মাদক ব্যবসায়ী।

তাসরিফ লেখেন, আমি এই কথায় কয়েক মুহূর্তের জন্য কনফিউজড হয়ে যাই। আসলেই পালানো লোকটা মাদক ব্যবসায়ী নাকি এদের নিজেদের কোনো ঝামেলা, নাকি এরা ছিনতাই করছিল- ভাবতে ভাবতে আরো কয়েক কদম এগিয়ে যাই। ওই খালি গায়ের লোকটা যেদিকে দৌড় দিয়েছে সেদিকে। খেয়াল করলাম, খালি গায়ের লোকটা আসলে পালায়নি। থানা একেবারে পাশে থাকায় লোকটি থানার সামনে দাঁড়িয়ে চিৎকার করে পুলিশকে জানানোর চেষ্টা করছে।

ঘটনা বুঝতে আর বাকি রইল না। পেছন ফিরে দেখি, ওরা তড়িৎ গতিতে গাড়িতে উঠে গাড়ি স্টার্ট দিয়েছে। সামনে যে বসা তার হাতে টিপ চাকু। মাথায় এলো, এরা যখন কাছে এসেছিল তখন তাদের কয়েকজনের এক হাত পেছনে লুকানো ছিল। তার মানে, এদের প্রায় সবার কাছেই ধারালো অস্ত্র কিংবা চাকু ছিল। গাড়িটা টান দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে একটা ছবি তুললাম যেন নাম্বার প্লেটটা পড়া যায়। গাড়ির ছবিটা লাইভ মুড হওয়ায় ছবিটা ঝাপসা হয়েছে, কিন্তু নাম্বার বোঝা যায়। ‘ঢাকা মেট্রো-গ-২৫৪৬৩৩’।

পরের ঘটনা তুলে ধরে এই গায়ক লেখেন, লোকটা দৌড়ে আমাদের দিকে এগিয়ে এসে কান্নার স্বরে বলল, ভাই আপনারা না এলে আমাকে মেরে ফেলত ওরা। তৎক্ষণাৎ থানায় গিয়ে ওয়্যারলেস অপারেটরকে এই গাড়ির নাম্বার জানালাম এবং ওসি তদন্ত যিনি ছিলেন, তাকেও গাড়ির নাম্বার দিলাম। ওনারা বললেন, ধরার চেষ্টা করবেন এবং দুইজন এসআইকেও দেখলাম সিভিল ড্রেসে একটু তৎপরতার সঙ্গে বলছিল এদের তারা ধরবে।

গায়ক আরও লেখেন, অদ্ভুত ব্যাপার হলো- খাবার খাওয়া শেষ করে যখন আমাদের ড্রামার শান্ত রিকশায় করে ওর বাসায় ফিরছিল, তখন ওই গাড়ি মিরপুর ১০ আল-হেলালের পাশের সিএনজি পাম্পে স্টার্ট করা অবস্থায় দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে আবার আমাকে কল দিয়ে জানায়। আমি কল দিয়ে থানার এসআইকে জানাই। এসআই আমাকে কিছুক্ষণ পর কল করে জানান, ওনারা লোক পাঠিয়েছিলেন; কিন্তু গাড়িটা হয়তো ততক্ষণে ওই জায়গা ত্যাগ করেছে।

এ ঘটনা শেয়ার করে ভক্ত অনুরাগীদের ও তাদের পরিবারকে একা চলাচল থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান তাসরিফ খান।