প্রথমবারের মতো কলকাতার সিনেমায় অভিনয় করেই ‘ফিল্মফেয়ার’ পুরস্কার জিতেছেন অভিনেত্রী তাসনিয়া ফারিণ। এপার বাংলার পাশাপাশি ওপার বাংলাতেও সমান জনপ্রিয়তা পাচ্ছেন এই অভিনেত্রী।
এবার তেমনই এক চিত্রের দেখা মিলল ফারিণের ধারণ করা এক ভিডিওতে। গত শুক্রবার কলকাতায় সেরা নবাগতা অভিনেত্রী বিভাগে পুরস্কার জয়ের পর ঢাকায় ফেরেননি ফারিণ, ঘুরে দেখছেন কলকাতা শহর।
এরই মধ্যে সেখানকার শহরের একটি ট্যাক্সিচালকের কাণ্ডে মুগ্ধ হলেন এই অভিনেত্রী। যার নাম রাকিব। কলকাতা শহরে উবারচালক তিনি। সাড়ে আট বছর বয়সি এক কন্যাসন্তানের জনক। যার নাম আগে ছিল রাফিয়া সুলতানা। নিজের নামের সঙ্গে মিলিয়ে অনেক ভালোবেসে মেয়ের এই নাম রেখেছিলেন রাকিব। কিন্তু ভিন্ন এক ভালোলাগা আর ভালোবাসার টানে বদলে ফেলেছেন মেয়ের সেই নাম।
রাকিবের মেয়ে রাফিয়া সুলতানার বর্তমান নাম তাসনিয়া ফারিণ। বাংলাদেশি অভিনেত্রীর প্রতি ভালোবাসা থেকেই নিজের মেয়ের নাম রেখেছেন ফারিণের নামে।
গেল সোমবার রাকিবের ট্যাক্সির যাত্রী হয়েছিলেন ফারিণ। তাকে দেখেই চিনে ফেলেন রাকিব। জানান অভিনেত্রীর প্রতি তার ভালোলাগার কথা। সেসময়ই উঠে আসে মেয়ের নাম বদলেরও গল্প। পুরো ঘটনাটাই গোপনে মোবাইলে ধারণ করেন ফারিণ।
যেটি প্রকাশ করেন ফেসবুকে। এক মিনিট এক সেকেন্ডের সেই ভিডিওতে দেখা যায়, উবারচালক রাকিবের সঙ্গে কথা বলছেন ফারিণ। জানতে চাইছেন তার মেয়ের নাম কী? উবারচালক জানাচ্ছেন, ‘তাসনিয়া ফারিণ’।
তাদের আলাপ থেকে জানা যায়, উবারচালকের ক্লাস থ্রিতে পড়ুয়া মেয়েটির বয়স সাড়ে আট বছর। শুরুতে তার নাম রাখা হয় রাফিয়া সুলতানা। বাবার নাম রাকিবের সঙ্গে মিল রেখেই এই নাম রাখা হয়। এই নামেই বড় হতে থাকে মেয়ে।
কিন্তু পরে তাসনিয়া ফারিণের ভক্ত হয়ে যান বাবা রাকিব। তার অভিনীত সব নাটক দেখেন নিয়মিত। জানান, এ কারণে মেয়েটির নাম বদলে তাসনিয়া ফারিণ রাখেন তিনি। কথা প্রসঙ্গে উবারচালক রাকিব এও জানান, জিয়াউল ফারুক অপূর্বর সঙ্গে ফারিণের অভিনয় সবচেয়ে ভালো লাগে তার।
কলকাতা থেকে ফিল্মফেয়ার পুরস্কার জেতার পর সেখানকার এক ভক্তের কাছ থেকে এমন পুরস্কার পেয়ে আপ্লুত ফারিণ। ভিডিও পোস্ট করে লিখেছেন, ‘থ্যাংক ইউ ফর অলওয়েস লাভিং মি!’
এ প্রসঙ্গে ফারিণ গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ‘আমি কলকাতায় এসে যে হোটেলে উঠেছি সেখান থেকে বাইরে যাওয়ার সময় সোমবার তাকে পাই। ওনার গাড়িতে করেই সারা দিন ঘুরেছি। ওনার মেয়ের নাম বদলের ঘটনা শুনে ভালো লাগছে। এসব ঘটনা ভালো কাজের আগ্রহ বাড়িয়ে দেয়।’
বিবিএন/০২ এপ্রিল/এসড