সোমবার, মার্চ ১৭, ২০২৫
Logo
Eating trumpet-tomato sauce is prohibited

যে দেশে শিঙাড়া-টমেটো সস খাওয়া নিষিদ্ধ

Bijoy Bangla

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশের সময়: ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ০৭:০০এএম

যে দেশে শিঙাড়া-টমেটো সস খাওয়া নিষিদ্ধ
যে দেশে শিঙাড়া-টমেটো সস খাওয়া নিষিদ্ধ....সংগৃহীত ছবি

সকালে নাস্তা হোক কিংবা বিকালের স্ন্যাকস, বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা বা ক্লাসের ফাঁকে ছোট ক্ষুধা মেটাতে চা-শিঙাড়া সবার প্রথম পছন্দ। টমেটো সস দিয়ে শিঙাড়া-সমুচা খেতে পছন্দ করেন না এমন বাঙালি কমই আছেন। শুধু দেশেই নয়, যে কোনো দেশে গিয়েও অনেক দাম দিয়ে এই স্ন্যাকস খাওয়ার লোভ সামলাতে পারেন না অনেকেই।

তবে জানেন কি? এই মজার খাবারটি একটি দেশে নিষিদ্ধ। হ্যাঁ, ঠিকই শুনেছেন। একেবারে আইন করে নিষিদ্ধ এই খাবার। বানানো, বিক্রি করা এববং খাওয়া সবই নিষিদ্ধ। যে দেশটি করা বলছি, সেটা হচ্ছে সোমালিয়ায। সেদেশে শিঙাড়া সামুচা নিষিদ্ধ। এই দেশে গেলে কখনো ভুলেও শিঙাড়ার কথা বলবেন না। বিপদে পড়তে পারেন।

মূলত চরমপন্থী গোষ্ঠী আল-শাবাব এখানে শিঙাড়া তৈরি, খাওয়া ও বিক্রি নিষিদ্ধ করেছে। তারা বিশ্বাস করে যে শিঙাড়া তিনটি বিন্দু খ্রিস্টানদের পবিত্র প্রতীক। সোমালিয়ায় যেমন শিঙাড়া খাওয়া যায় না, তেমনই কেচ-আপ বা টমেটো সস খাওয়া যায় না ফ্রান্সে। গোটা দেশেই নিষিদ্ধ কেচ-আপ।

এছাড়া পৃথিবী জুড়ে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে নানা বৈচিত্র্য। বিভিন্ন মানুষ বিভিন্ন রকম, পোশাক আলাদা আলাদা, ভাষার বৈচিত্র্যও চোখে পড়ার মতো। রয়েছে অদ্ভুত সব নিয়ম-কানুনও। এমন কিছু নিয়ম আছে, যা জানলে অবাক হতে হয়। আইনগুলো লঙ্ঘন করলে সমস্যায় পড়তে হতে পারে।

সিঙ্গাপুরে চুইংগাম নিষিদ্ধ। সেখানে ১৯৯২ সালে এক ব্যক্তি একটি গাড়িতে চুইংগাম আটকে দেওয়ায় কয়েক ঘণ্টা বিঘ্নিত হয়েছিল পরিবহন পরিষেবা। দুর্ভোগে পড়তে হয়েছিল জনগণকে। তারপর থেকে চুইংগাম নিষিদ্ধ এ দেশে।

মালয়েশিয়া সরকার সে দেশে হলুদ রঙ নিষিদ্ধ করেছে। ২০১৫ সালে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে লোকজন হলুদ টি-শার্ট পরেছিল। সেটা নিয়ন্ত্রণে আনতেই সরকার সরকারি জায়গায় হলুদ রঙের পোশাক নিষিদ্ধ করেছিল।

গ্রীসে ভিডিও গেম নিষিদ্ধ। শুধু ভিডিও গেম নয়, যে কোনো ধরনের কম্পিউটার গেম নিষিদ্ধ সেখানে। ২০০২-তে আইন তৈরি করে গেম নিষিদ্ধ করা হয়েছে গ্রীসে। এছাড়া নীল রঙের জিন্স পরা যায় না উত্তর কোরিয়ায়। সে দেশের শাসকের দাবি, নীল রং তাদের আমেরিকার কথা মনে করিয়ে দেয়, তাই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

স্যামন মাছে প্রচুর স্বাস্থ্য উপকারিতা পাওয়া যায় বলে মনে করা হয়। এই বিখ্যাত গোলাপী-কমলা মাছটি তার ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের পাশাপাশি সেলেনিয়াম এবং ভিটামিনের জন্য উল্লেখযোগ্য। এটি ইমিউন সিস্টেম বাড়াতে সাহায্য করে সেইসঙ্গে মস্তিষ্ক এবং হার্টের স্বাস্থ্যের উন্নতি করে। তবে এত বেশি স্বাস্থ্য উপকারিতা থাকলেও অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ডে এটি খাওয়া নিষিদ্ধ।