বৃহস্পতিবার, মার্চ ২৭, ২০২৫
Logo
Risk of stroke

দীর্ঘ সময় কাজ করলে কি স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ে, জেনে নিন

Bijoy Bangla

অনলাইন ডেস্ক :

প্রকাশের সময়: ১২ নভেম্বর, ২০২৪, ০২:১৩পিএম

দীর্ঘ সময় কাজ করলে কি স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ে, জেনে নিন
......সংগৃহীত ছবি

গত এক দশকে বেশ কয়েকটি গবেষণায় কার্ডিওভাসকুলার স্বাস্থ্যের ওপর দীর্ঘ কর্মঘণ্টার প্রভাব পরীক্ষা করা হয়েছে, ধারাবাহিক ফলাফলে যারা সপ্তাহে ৫৫ ঘণ্টার বেশি কাজ করে তাদের মধ্যে স্ট্রোকের ঝুঁকি বেশি দেখা গেছে। দ্য ল্যানসেটে প্রকাশিত ২০১৫ সালের একটি সমীক্ষা অনুসারে, সপ্তাহে ৫৫ ঘণ্টার বেশি কাজ করে তাদের স্ট্রোকের ঝুঁকি ৩৩% বেশি ছিল, যাদের কাজের সময় সাধারণ (সাপ্তাহিক ৩৫-৪০ ঘণ্টা) তাদের থেকে। 

২০২১ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) পর্যালোচনা এই ফলাফলগুলোকে শক্তিশালী করেছে, যেখানে সপ্তাহে ৫৫ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে কাজ করা ব্যক্তিদের স্ট্রোকের ঝুঁকি ৩৫% বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু কেন বেশি সময় কাজ করলে স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ে।

দীর্ঘ কাজের সময় যেভাবে শরীরকে প্রভাবিত করে

বর্ধিত কাজের সময় শারীরিক এবং মানসিক চাপ তৈরি করে যা রক্তচাপ, প্রদাহ এবং সামগ্রিক কার্ডিওভাসকুলার স্বাস্থ্যের পরিবর্তন ঘটাতে পারে- সমস্ত কারণ স্ট্রোকের ঝুঁকির সঙ্গে সম্পর্কিত। দীর্ঘ সময় কাজ করলে তা স্ট্রোকের ঝুঁকি কেন বাড়াতে পারে তার কারণ জেনে নিন-

১. রক্তচাপ বৃদ্ধি

ডেস্কে একটানা বসে থাকলে বা চাপযুক্ত কাজের পরিবেশ সহ্য করলে রক্তচাপ বাড়তে পারে। উচ্চ রক্তচাপ (হাইপারটেনশন) স্ট্রোকের জন্য প্রাথমিক ঝুঁকির কারণ, কারণ এটি সময়ের সাথে সাথে রক্তনালীর ক্ষতি করে।

২. স্ট্রেস হরমোন বৃদ্ধি

দীর্ঘক্ষণ কাজ করা, বিশেষ করে চাপের মধ্যে, কর্টিসল এবং অ্যাড্রেনালিনের মাত্রা বাড়ায়, যা রক্তনালীকে দুর্বল করে দিতে পারে এবং ধমনীতে প্লাক তৈরির জন্য একটি উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করে। এটি ক্লট বা ব্লকেজের কারণ হতে পারে যা অবশেষে স্ট্রোক ট্রিগার করতে পারে।

৩. অলস জীবনযাপন

ডেস্ক জবে দীর্ঘক্ষণ বসে থাকার প্রয়োজন হয়। এই বসে থাকা অলস জীবনযাপনে ভূমিকা রাখে, যা স্ট্রোকের আরেকটি ঝুঁকির কারণ। নড়াচড়ার অভাব রক্তসঞ্চালন, ওজন এবং বিপাকীয় স্বাস্থ্যকে প্রভাবিত করে, যার ফলে রক্ত জমাট বাঁধা সহজ হয়।

৪. ঘুমের অভাব

যারা দীর্ঘ সময় কাজ করে তাদের ক্ষেত্রে বেশিরভাগ সময়েই কম ঘুম হয়। দুর্বল ঘুম উচ্চ রক্তচাপ এবং প্রদাহের আরেকটি পরিচিত কারণ, যা স্ট্রোকের ঝুঁকি আরও বাড়িয়ে দেয়। তাই শারীরিক ও মানসিক সুস্থতার জন্য স্বাস্থ্যকর ঘুমের অভ্যাস করতে হবে।