রোজা মুসলমানদের ফরজ ইবাদত। অনেকে দীর্ঘ সময় অনাহারে থাকার কারণে শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ে। রমজানে সেহরি আমাদের সারাদিন শক্তি ও সুস্থতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। তাই সেহরিতে এমন খাবার বেছে নেওয়া উচিত যা শরীরে যথাযথ পুষ্টি ও শক্তি দিবে।
পাশাপাশি শরীরের প্রয়োজনীয় সব উপাদান সরবরাহ করবে।
চলুন জেনে নেই সেহরিতে কি কি খাবার খাওয়া যেতে পারে।
ওটস
ওটসে রয়েছে ফাইবার, প্রোটিন এবং ভিটামিন। এটি আপনার শরীরে দীর্ঘ সময় শক্তি প্রদান করে।
সেহরিতে এক বাটি ওটস খেলে আপনি সারাদিন সতেজ থাকতে পারবেন। ওটস মানবদেহের পাচনতন্ত্রের সঠিক কাজকর্ম বজায় রাখে।
পানি ও তরল খাবার
সেহরিতে পানি পান করা গুরুত্বপূর্ণ। সেহরির পর থেকে সারাদিন পানি পান করা সম্ভব নয়।
তাই সেহরির সময় পর্যাপ্ত পানি পান করা উচিত। এছাড়া, দুধ, ফলের জুস সেহরির মেন্যুতে রাখা যেতে পারে। তরল জাতীয় খাবার শরীরের পানির চাহিদা পূরণ করতে সাহায্য করে। দীর্ঘ সময়ের জন্য শরীরকে সতেজ রাখে।
ডিম ও প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার
ডিম প্রোটিনের অন্যতম উৎস।
এটি রোজায় শরীরের শক্তি বজায় রাখতে সাহায্য করে। ডিমের সঙ্গে কিছু শাকসবজি ও ফল যেমন; পালং শাক, অ্যাভোকাডো বা যেকোনো মৌসুমি ফল যোগ করতে পারেন যা অতিরিক্ত পুষ্টি ও শক্তি দেয়। এছাড়াও আপনি সেহরিতে মাংস ও মাছ রাখতে পারেন।
ফলমূল
তাজা ফল শরীরে ভিটামিন, খনিজ ও শর্করা সরবরাহ করে। যা শক্তি বজায় রাখতে সাহায্য করে। এসময় তরমুজ, আপেল, কলা, খেজুর, আমলকী এবং কমলা আপনাকে সুস্থ থাকতে সহায়তা করবে। তরমুজে প্রচুর পরিমাণে পানি থাকায় এটি রোজায় পানিশূন্যতা রোধ করে। কলা পটাশিয়ামের একটি ভালো উৎস।
বাদাম
বাদাম সেহরির জন্য দারুণ। এটি রোজার সময় শরীরে শক্তি বজায় রাখতে সহায়তা করে। এক মুঠো বাদাম সেহরিতে খেলে তা আপনাকে তাড়াতাড়ি ক্ষুধা অনুভব করতে দিবে না।
ইসবগুল
ইসবগুল প্রাকৃতিক ফাইবার উৎস। যা হজমের জন্য অনেক উপকারী। এটি পানির সাথে মিশিয়ে খেলে দীর্ঘসময় ধরে শরীরে পুষ্টি প্রদান করে। এছাড়া এটি গ্যাস কমাতে সাহায্য করে।