ওজন কমানোর যাত্রা সহজ নয়। কী খাবো, কী খাবো না এই ভেবে আপনার দিন পার হবে। যেকোনো খাবার খাওয়ার আগেই মনে হবে, এটি খেলে কি ওজন বাড়ে নাকি কমে? তেমনই প্রশ্ন আসতে পারে মুড়ির ক্ষেত্রেও। অনেকের ভয় থাকে ভাত খেলে ওজন বেড়ে যাবে। তাই তারা ভাতের পরিবর্তে অনেক সময় মুড়ি খেয়ে থাকেন। এই মুড়ি কি সত্যিই ওজন কমাতে কাজ করে? আবার নিয়মিত মুড়ি খেলে তা শরীরের অন্য কোনো ক্ষতি করে কি?
মুড়ির পুষ্টিগুণ কম নয়। অ্যাসিডিটির সমস্যায় ভুগলে তা দূর করতে আপনাকে সাহায্য করতে পারে মুড়ি। পেট ঠান্ডা রাখার জন্য শসা-মুড়ি কিংবা পানি ও মুড়ি খাওয়া যেতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মুড়িতে থাকে আয়রন ও ক্যালসিয়াম। আমাদের হাড় শক্ত রাখতে এর ভূমিকা রয়েছে।
মুড়িতে ক্যালোরির পরিমাণও থাকে কম। তাই অল্প-স্বল্প ক্ষুধায় মুড়ি খেলে তা পেট ভরাতে কাজ করে। ক্যালোরি কম থাকার কারণে পেট ভরে মুড়ি খেলেও ওজন বৃদ্ধির ভয় থাকে না। পাশাপাশি যারা উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় ভুগছেন, তারাও নিয়মিত মুড়ি খেতে পারেন। কারণ এটি উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে পারে।
ওজন কমানোর জন্য আপনি যদি ভাত বাদ দিয়ে মুড়ি খান তাতে লাভ হবে কি? যেহেতু মুড়ি খেলে ওজন বৃদ্ধির ভয় নেই বললেই চলে তাই এটি আপনার খাবারের তালিকার অংশ করে নিন। আবার মুড়ি চাল দিয়ে তৈরি হলেও এটি গ্লুটেনমুক্ত। তাই ওজন নিয়ন্ত্রণ করা সহজ হয়।
আপনি যদি মুড়ি বেশি খাওয়ার অভ্যাস করেন তাহলে কিছু সমস্যাও হতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, সুগারের রোগীরা প্রতিদিন সর্বোচ্চ ৫০ গ্রাম মুড়ি খেতে পারবেন। এর থেকেও যদি বেশি খেতে চান তাহলে ২-৩ কাপ। মুড়ির সঙ্গে খেতে পারেন কলা, ছোলা এবং শসার মতো ফাইবার জাতীয় খাবার। অনেকে সখ করে মুড়ির সঙ্গে ভাজাপোড়া জাতীয় খাবার খান। এ ধরনের খাবার এড়িয়ে চলাই ভালো।
মুড়ি বেশি খেলে তা যে শুধু ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ায় তা-ই নয়, এটি শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণও বৃদ্ধি করতে পারে। তাই এ ধরনের সমস্যায় ভুগলে কিংবা আক্রান্ত হওয়ার ভয় থাকলে মুড়ি কম খাওয়াই ভালো। সবচেয়ে ভালো হয় একজন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে খেলে। তবে আপনার যদি এ জাতীয় কোনো শারীরিক সমস্যা না থাকে, তাহলে পাতে মুড়ি রাখতে অসুবিধা নেই।