শুক্রবার, মার্চ ২৮, ২০২৫
Logo
fruit juice

শরীর ঠাণ্ডা রাখতে ফলের জুস খান

Bijoy Bangla

অনলাইন ডেস্ক:

প্রকাশের সময়: ১৭ এপ্রিল, ২০২৪, ০৬:৫০এএম

শরীর ঠাণ্ডা রাখতে ফলের জুস খান
শরীর ঠাণ্ডা রাখতে ফলের জুস খান -সংগৃহীত ছবি।

দীর্ঘদিনের অবহেলায় শরীরে জমা হয় বিভিন্ন বিষাক্ত উপাদান যা খাদ্যাভাসে পরিবর্তন, ওজন বেড়ে যাওয়া, অতিরিক্ত খাওয়া, মাথা ব্যথা, মুডসুইং ইত্যাদির অন্যতম কারণ। এসব থেকে বাঁচতে প্রথম ধাপটিই হচ্ছে নিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন।

আর সুষম খাদ্য গ্রহণ হলো নিয়ন্ত্রিত জীবনযাপনের অন্যতম উপাদান।

আমাদের আধুনিক জীবনে খাদ্যাভ্যাসের ক্ষেত্রে আমরা সবসময় যে বিষয়টি মিস করি তা হলো পর্যাপ্ত পরিমাণে ফ্রুটস খাওয়া। অথচ স্বাস্থ্য ভালো রাখতে, ওজন কমাতে ফল যে অত্যন্ত উপকারী তা কে না জানে। যদিও এই ফলই অনেকেই খেতে চান না। কিন্তু ফল খেতে ইচ্ছা না করলে জুসেও ভরসা রাখতে পারেন।

বেশিরভাগ ফলেই রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণ স্বাস্থ্য উপকারিতা। স্বাভাবিকভাবেই উপকারী ফলের রস থেকেও উপকারিতা পাওয়া যায়। যারা নিয়মিত ফলের রস পান করেন তারা এনার্জি প্রতিরোধ, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো, ত্বক উজ্জ্বল করা ইত্যাদি ক্ষেত্রে বাড়তি সুবিধা পেয়ে থাকে। তাছাড়া কাজে ফোকাস করা অতিরিক্ত মেদ ঝরিয়ে নিজেকে ফিট রাখার ক্ষেত্রেও ফলের রসের উপকারিতা অপরিসীম।

আজকের দিনে সবদিক সামলে নিজের জন্য সময় খুঁজে পাওয়া একটি চ্যালেঞ্জ। স্বাস্থ্য সচেতন মানুষদের জন্য নিজেকে সময় দেওয়াটা অনেক গুরত্বপূর্ণ। এজন্যই এখন ব্যস্ত মানুষের জীবনধারায় যোগ হয়েছে প্রতিদিন ফলের রস খাওয়ার অভ্যাস।

ঢাকার একজন কর্মজীবী জুয়েল, তার সঙ্গে কথা হয় দৈনন্দিন খাদ্যভ্যাস নিয়ে। তিনি জানান এই সময়ে ঢাকার আবহাওয়া স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি উত্যপ্ত মনে হচ্ছে। তাই পানি খাওয়া হচ্ছে প্রচুর কিন্তু সমস্যা হচ্ছে বাচ্চাদের নিয়ে। তারা অকারণে পানি খেতে চায় না। তাই নানা পদের জুসেই ভরসা করতে হচ্ছে।

পুষ্টিবিদ শামসুন্নাহার নাহিদ মহুয়া বলেন, এই গরমে শরীরের ইলেক্ট্রোলাইট ব্যালেন্সের ক্ষেত্রে রসালো ফল এবং ফলের রস খুবই উপকারী। তাছাড়া এই মৌসুমে অতিরিক্ত ঘামের কারণে শরীরে যে খনিজের ঘটতি সম্ভাবনা থাকে তা কাটিয়ে উঠতেও ফলের রস খাওয়া যেতে পারে। তবে যাদের ডায়াবেটিস আছে অথবা অটিস্টিক শিশুদের ক্ষেত্রে ফলের জুস পানে একটু সতর্ক থাকতে হবে। প্রয়োজনে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া যেতে পারে।

তিনি বলেন, আজকাল সবাই এত ব্যস্ত যে বাড়িতে জুস বানানোর সময় পায় না। তাই তো স্বাস্থ্যসচেতন বেশিরভাগেরই এখন প্রথম পছন্দ রেডিমেড জুস। কিন্তু এসব ফ্রুট ড্রিংক কি আদৌ স্বাস্থ্যসম্মত? একাধিক গবেষণা বলছে, এসব ফ্রুট ড্রিংক অনেকগুলোই একেবারেই স্বাস্থ্যকর নয়।

একাধিক কেস স্টাডিতে দেখা গেছে, বাজারে বিক্রি হওয়া বেশিরভাগ প্যাকেটজাত ফ্রুট ড্রিংকেই অতিরিক্ত মাত্রায় চিনি থাকে। এতে দেহের ভেতরে ক্যালরির পরিমাণ বেড়ে গিয়ে ওজন বৃদ্ধিসহ নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাছাড়া একাধিক ফ্রুট ড্রিংকে পাওয়া গেছে নানাবিধ প্রিজারভেটিভ, যা হতে পারে স্বাস্থ্যঝুঁকির আরেকটি কারণ, বিশেষত বাচ্চাদের ক্ষেত্রে।

এদিক দিয়ে আসল ফলের রসের স্বাদে তৈরি আরাম ১শ শতাংশ ফলের রস সম্পূর্ণ প্রিজারভেটিভ, রং এবং চিনিমুক্ত। যা পাওয়া যাচ্ছে আম, কমলা ও আপেলের তিনটি ভিন্ন স্বাদে। তাই সুস্থ থাকতে ভেজালমুক্ত জুস হিসেবে বেছে নিতে পারেন আপনার পছন্দের স্বাদের আরাম ১শ শতাংশ ফলের রস।