রবিবার, মার্চ ১৬, ২০২৫
Logo
logo

রমজান মাসে ব্যবহৃত তিনটি পণ্যের আমদানি শুল্ক কমানোর সুপারিশ বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের

Recommendations of Ministry of Commerce


অনলাইন ডেস্ক প্রকাশিত:  ১৫ মার্চ, ২০২৫, ০৮:৩৯ এএম

রমজান মাসে ব্যবহৃত তিনটি পণ্যের আমদানি শুল্ক কমানোর সুপারিশ বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের
ভোজ্যতেল, চিনি ও খেজুর

ব্যবসায়ীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে রোজা সামনে রেখে ভোজ্যতেল, চিনি ও খেজুরের আমদানি শুল্ক কমানোর সুপারিশ করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত চিঠি সোমবার জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে পাঠানো হয়েছে। এর আগের দিন রোববার অর্থমন্ত্রণালয়ে দ্রব্যমূল্য নিয়ে পাঁচ মন্ত্রণালয়ের যৌথ বৈঠক হয়।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আমদানি ও অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য অনুবিভাগের যুগ্মসচিব মো. আবদুছ সামাদ আল আজাদ মঙ্গলবার বলেন, “রোজা সামনে রেখে ভোজ্যতেল, চিনি ও খেজুরের শুল্ক কমাতে আমরা এনবিআরকে চিঠি দিয়েছি। তবে কোন পণ্যে কতটা কমাতে হবে বা কমানো হবে সেটা এনবিআর জানিয়ে দেবে।“

রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে এখন প্রতিকেজি চিনি বিক্রি হচ্ছে ন্যূনতম দেড়শ টাকায়, যা দুই বছর আগে ৬৫ টাকা থেকে ৭০ টাকায় কিনেছেন ভোক্তারা। সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে লিটার প্রতি ১৭০ টাকায়; যা দুই বছর আগে ১০০ টাকারও কম দামে কেনা যেত।

ছোলার দামও গতবছরের তুলনায় কেজিতে অন্তত ১০ টাকা বেড়েছে। রোজার মাস না আসতেই এক কেজি ছোলা বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকায়। আর রোজার মাসের খাদ্য তালিকার অন্যতম অনুসঙ্গ খেজুরের আমদানি শুল্ক বেড়ে যাওয়ায় দীর্ঘদিন ধরে আমদানি বন্ধ রয়েছে বলে ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করছেন।

এমন পরিস্থিতিতে বেশ কয়েক মাস ধরে শুল্ক কমানোর দাবি জানিয়ে আসছেন বিভিন্ন খাতের ব্যবসায়ীরা।

সিটি গ্রুপের পরিচালক বিশ্বজিৎ সাহা বলেন, “বর্তমানে ভোজ্যতেলে আমদানি পর্যায়ে ১৫ শতাংশ, উৎপাদন পর্যায়ে ১৫ শতাংশ এবং বিপণন পর্যায়ে ৫ শতাংশ শুল্ক রয়েছে। আমরা উৎপাদন ও বিপণন পর্যায়ে শুল্ক অব্যাহতি চেয়েছিলাম। অপরিশোধিত চিনির ক্ষেত্রে রেগুলেটরি ডিউটি ৩০ শতাংশ রয়েছে। এটাতে অব্যাহতি চেয়েছিলাম।”

একমাস আগে এফবিসিসিআই আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এ কোম্পানির উপদেষ্টা অমিতাভ চক্রবর্তী বলেছিলেন, “চিনিতে এখন কেজিতে ৪২ টাকার মতো শুল্ক দিতে হচ্ছে। এই জায়গাটা কমাতে হবে।”

ফল আমদানিকারক সমিতির সভাপতি সিরাজুল ইসলাম বলেন, “আগে খোলা খেজুরে কেজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা এবং বাক্সভর্তি খেজুরে কেজিতে ৩০ টাকা করে শুল্ক দিতে হত। নতুন নিয়মে খোলা খেজুরে কেজিপ্রতি ৭০ টাকা করে এবং প্যাকেটজাত খেজুরে কেজিতে ১৪৫ টাকা করে শুল্ক দিতে হবে। এত বেশি শুল্ক দিতে গিয়ে খেজুরের যে দাম হবে সেই দামে তা বিক্রি হবে কি না চিন্তায় আছি।’