আর্কাইভ কনভাটার ঢাকা, শনিবার, জুলাই ২৭, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
Logo

logo

জায়নামাজ বিছিয়ে রাখলে শয়তান নামাজ পড়ে ধারণাটা ভুল

It is compulsory to perform the prayer


অনলাইন ডেস্ক প্রকাশিত:  ২৭ জুলাই, ২০২৪, ০৮:৪১ এএম

জায়নামাজ বিছিয়ে রাখলে শয়তান নামাজ পড়ে ধারণাটা ভুল
জায়নামাজ বিছিয়ে রাখলে শয়তান নামাজ পড়ে ধারণাটা ভুল

নামাজের সময় মেঝেতে ব্যবহার করার বিশেষ বিছানা বা গালিচাকে জায়নামাজ বলা হয়। যার ওপর দাঁড়িয়ে নামাজ পড়া হয়। নামাজে জায়নামাজ বিছানো বাধ্যতামূলক কোনো কাজ নয়। নামাজের স্থানে ধুলোবালি বা ময়লা থেকে নিজেকে রক্ষার জন্য এর ব্যবহার রয়েছে। জায়নামাজে নামাজ পড়লে সওয়াব বেশি হবে- এমনটি নয়।

নামাজের স্থান পবিত্র থাকা নামাজের অন্যতম ফরজ। সে মোতাবেক জায়নামাজও পবিত্র থাকতে হয়। এটির আকার এমনভাবে তৈরি করা হয় যাতে মুসল্লিরা স্বচ্ছন্দে নামাজ আদায় করতে পারেন।

জায়নামাজ এক বা একাধিক ব্যক্তির উপযোগী করে তৈরি করা হয়। একাধিক ব্যক্তির ব্যবহার উপযোগী জায়নামাজ সাধারণত মসজিদ, ঈদগাহ কিংবা বড় আকারের জামাতে ব্যবহৃত হয়। অন্যদিকে এক ব্যক্তির ব্যবহার উপযোগী জায়নামাজ ব্যক্তিগতভাবে ব্যবহৃত হয়।

অলংকরণের জন্য জায়নামাজে অনেক রকম নকশা থাকে। এতে বিভিন্ন লতাপাতা, ফুল ইত্যাদি নকশা অাঁকা করা হয়। এ ছাড়া মসজিদের ছবিও নকশায় ব্যবহৃত হয়। অনেক সময় মেহরাবের ছবি জায়নামাজের অঙ্কিত হয়। সেক্ষেত্রে জায়নামাজ বিছানোর সময় মেহরাবের ওপরের দিক কেবলার দিকে করে রাখা হয়। জায়নামাজ ইসলামি সংস্কৃতির অন্যতম নিদর্শন।

নামাজের একাগ্রতা ও ধ্যানমগ্নতা জন্য প্রতিবন্ধক না হলে ছবিযুক্ত জায়নামাজে নামাজ পড়তে কোনো অসুবিধা নেই। কিন্তু মসজিদ কিংবা কাবার ছবি যদি কারও নামাজের ধ্যান ভেঙে দেয়- তবে তার জন্য উচিত হবে না এ ধরনের জায়নামাজে নামাজ পড়া।  

অনেকের ধারণা, নামাজ পড়ার পর জায়নামাজ বিছিয়ে রাখতে নেই। নামাজের পর জায়নামাজ বিছিয়ে রাখলে শয়তান এসে তাতে নামাজ পড়ে নেয়। এটি একটি ভুল ধারণা। তবে হ্যাঁ, নামাজ পড়া হয়ে গেলে জায়নামাজ বিছিয়ে না রাখাই ভালো। কারণ, জায়নামাজ পরিচ্ছন্ন ও পবিত্র রাখা জরুরি। বিছিয়ে রাখলে তার ওপর দিয়ে চলাফেরা হবে; ফলে তা ময়লা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। কিংবা তাতে নাপাক লাগতে পারে।

এটা ছোট বা ব্যক্তিগতভাবে ব্যবহারের জায়নামাজের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। কিন্তু বড় কিংবা মসজিদে বিছানো বড় জায়ানামাজের ক্ষেত্রে পুরো মসজিদকে হেফাজত করতে হবে। বারবার তো আর পুরো জায়নামাজ উঠানো যাবে না।

তবে কোনোভাবেই এমন ধারণা করা যাবে না যে, জায়নামাজ খালি বিছিয়ে রাখতে তাতে শয়তান এসে নামাজ আদায় করে নেয়। অনেকে কিতাব বা কোরআন শরিফের বিষয়েও এমন ধারণা পোষণ তরে থাকেন যে, তা খুলে রাখলে শয়তান এসে পড়ে নেয়। এমন ধারণা একেবারেই ভ্রান্ত ও ভুল। তবে কোরআন তেলাওয়াত বা গ্রন্থ পড়ার পর প্রয়োজন ছাড়া খুলে না রাখাই ভালো।  

বিবিএন/১৬ মার্চ/এসডি


google.com, pub-6631631227104834, DIRECT, f08c47fec0942fa0