Cotton cultivation
অনলাইন ডেস্ক: প্রকাশিত: ০৩ অক্টোবর, ২০২৪, ০৬:৩১ এএম
জামালপুর জেলা শহরের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদ। নদের বুকে জেগে ওঠা অনাবাদি জমিতে তুলা চাষ করা শুরু করেছেন কৃষকেরা। লাভজনক হওয়ায় চাষিরা দিন দিন তুলা চাষে ঝুঁকছেন।
জামালপুর তুলা উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, জামালপুর জেলা শহরের পাথালিয়া, গুয়াবাড়িয়া, কম্পপুর ও রানাগাছা ইউনিয়নের নান্দিনা বানারেরপাড় এলাকাসহ বেশ কিছু এলাকায় তুলা চাষ করেছেন চাষিরা। এসব অঞ্চলের অনাবাদি জমিতে হাইব্রিড ও কার্পাস জাতের তুলা চাষ হয়। জেলায় এ বছরে ৩০০ হেক্টর জমিতে তুলা চাষ হয়েছে। তুলার বাম্পার ফলন হয়েছে। তুলার দামও বেশ ভালো।
কৃষকেরা জানান, খরা প্রবণ জমিতে সেচ ছাড়া বা কম সেচে তুলা চাষ হয়ে থাকে। অন্যান্য ফসলের তুলনায় এটি লাভজনক। তুলা বিক্রির জন্যও ক্রেতা খুঁজতে হয় না বরং ক্রেতাই আসে চাষিদের বাড়িতে। ফলে তুলা চাষের দিকে ঝুঁকছেন কৃষক। জনপ্রিয় হয়ে উঠছে তুলা চাষ। প্রতি বিঘা জমিতে তুলা চাষ করতে ১৫ হাজার থেকে ১৮ হাজার টাকা খরচ হয়। এতে ১৪ থেকে ১৫ মণ তুলা পাওয়া যায়। প্রতি মণ তুলা ৩ হাজার ৯০০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। প্রতি বিঘা জমিতে ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকার তুলা বিক্রি হয়ে থাকে।
জামালপুর শহরের পাথালিয়া এলাকার তুলা চাষি জাকির হোসেন জানান, তুলা উন্নয়ন বোর্ড থেকে সার, বীজসহ বিভিন্ন ধরনের ঋণ সহায়তা নিয়ে চার বিঘা জমিতে তুলা চাষ করেছেন। তুলা উন্নয়ন বোর্ড তারা আবার তুলা কিনে নেন। ইতোমধ্যে ৭০ হাজার টাকার তুলা বিক্রি করেছেন। লক্ষাধিক টাকার তুলা বিক্রি করা যাবে। তাই শুভ্র তুলা এখন সাদা সোনা।
তুলাচাষি হানিফ মিয়া বলেন, তুলা চাষে অনেক সুবিধা। তুলা বিক্রি করতে ক্রেতা খুঁজতে হয় না বরং ক্রেতাই এসে কিনে নিয়ে যান। তবে গাছ থেকে তুলা উত্তোলনে খরচ বেশি হয়। তুলা উত্তোলনে আধুনিক যন্ত্রপাতির প্রয়োজন।
চাষি মোহাম্মদ আলী বলেন, প্রতি মণ তুলা ৩ হাজার ৯০০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। তুলা ৯ মাসের ফসল। এই তুলা চাষ করলে অন্য কোনো ফসল চাষ করা যায় না। তাই সরকার যদি তুলার দাম বৃদ্ধি করে তাহলে কৃষকরা লাভবান হতেন।
জামালপুর জেলা তুলা উন্নয়ন বোর্ডের কর্টন অফিসার আব্দুল গণি বলেন, তুলা চাষ করে লাভবান হওয়ায় চাষ বেড়েছে। অনাবাদি জমিতে তুলা চাষ করা হয়েছে। চার শতাধিক কৃষক তুলা চাষ করেছেন। এখানে হাইব্রিড ও কার্পাস জাতের তুলা চাষ হয়।