Test procedure
অনলাইন ডেস্ক প্রকাশিত: ২৭ জুলাই, ২০২৪, ০৫:৪৭ এএম
নতুন কারিকুলামে চতুর্থ থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত পরীক্ষা হবে বছরে দুবার। লিখিত পরীক্ষা থাকলেও থাকছে না প্রচলিত প্রশ্ন ও উত্তর দেয়ার পদ্ধতি। প্রয়োজনীয় উপকরণ থাকবে পরীক্ষা কেন্দ্রে। মূল্যায়ন বিষয়ে বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের তাগিদ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
গত বছর ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে নতুন কারিকুলামের আলোকে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করা হলে তা নিয়ে নানা প্রতিক্রিয়া জানান অভিভাবকরা। এর পরিপ্রেক্ষিতে কারিকুলামের মূল্যায়ন বা পরীক্ষা পদ্ধতি সংস্কারে কমিটি গঠন করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। নানা পর্যালোচনা শেষে সম্প্রতি নতুন কারিকুলামের পরীক্ষা পদ্ধতি নিয়ে খসড়া প্রস্তুত করেছে কমিটি।
নতুন পদ্ধতিতে সারা বছরের শিখনকালীন মূল্যায়নের পাশাপাশি ছয় মাস পর একটি এবং ১২ মাস পর আরেকটি সামষ্টিক পরীক্ষা বা মূল্যায়ন হবে। ছয় ঘণ্টার কর্মদিবেসর মধ্যে এক ঘণ্টা বিরতি দিয়ে বাকি ৫ ঘণ্টায় একদিনে একটি বিষয়ের পরীক্ষা হবে। শিক্ষার্থীর কী কী পারদর্শিতা মূল্যায়ন করা হবে, তা পরীক্ষার শুরুতেই শিক্ষার্থীদের জানিয়ে দেয়া হবে। কাগজ, নকশা, গ্রাফ ইত্যাদি তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণের ব্যবস্থা থাকবে পরীক্ষার কেন্দ্রে। শিক্ষাবোর্ডই কেন্দ্র ঠিক করবে।
প্রকল্পভিত্তিক কাজ ও অ্যাসাইনমেন্টের পাশাপাশি একটি অংশের মূল্যায়ন হবে লিখিত পরীক্ষার মাধ্যমে। তবে থাকবে না প্রথাগত প্রশ্ন ও উত্তর দেয়ার পদ্ধতি। লিখিত পরীক্ষায় শিখনকালীন অজির্ত অভিজ্ঞতা বর্ণনা করতে হবে। নম্বরে নয়, পারদির্শতার সূচকে প্রকাশ করা হবে ফলাফল। থাকবে তিনটি ধাপ।
শিক্ষাবর্ষের তিন মাস অতিবাহিত হওয়ার পরও এখনো মূল্যায়ন পদ্ধতি চূড়ান্ত করতে না পারাকে প্রস্তুতির ঘাটতি বলছেন বিশেষজ্ঞরা। একইসঙ্গে শিক্ষকদের হাতে মূল্যায়নের সব ক্ষমতা দেয়ারও সমালোচনা করেন তারা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক মজিবুর রহমান বলেন, এমনভাবে আপনি শিক্ষকদের হাতে মূল্যায়ন দিয়ে দিচ্ছেন, এতে শিক্ষকদের ওপর নির্ভরশীলতা বাড়বে। কোচিং ব্যাবসা বাড়বে। সবাই মনে করবে স্যারের কাছে প্রাইভেট পড়লে নাম্বার বাড়বে।
শিক্ষার্থীর চাহিদা ও সক্ষমতা বিবেচনা করে পরীক্ষায় বিকল্প উপায়ও রাখা হবে বলে জানিয়েছে এনসিটিবি।