রবিবার, মার্চ ১৬, ২০২৫
Logo
BNP leaders beat Jamaat leaders!

নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে জামায়াত নেতাদের মারধর করলেন বিএনপি নেতারা!

Bijoy Bangla

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশের সময়: ০৪ মার্চ, ২০২৫, ০২:২৭পিএম

নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে জামায়াত নেতাদের মারধর করলেন বিএনপি নেতারা!
.....সংগৃহীত ছবি

পাবনার সুজানগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয়ে জামায়াতে ইসলামীর চার নেতাকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে। অভিযোগ রয়েছে, অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধ করায় বিএনপি নেতারা ইউএনওকে মারধর করতে গেলে জামায়াত নেতারা এবং স্থানীয় সংবাদকর্মীরা বাধা দেন। এতে বিএনপি নেতারা ক্ষিপ্ত হয়ে জামায়াত নেতাদের ওপর হামলা চালান।

ঘটনাটি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে এবং আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ইউএনও মীর রাশেদুজ্জামান।

কী ঘটেছিল?

সোমবার (৩ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে জানা যায়, ওই সময় জামায়াতের চার নেতা ইউএনওর কার্যালয়ে আলোচনা করতে যান। এর মধ্যেই উপজেলা বিএনপির সাবেক যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক মজিবুর রহমানের নেতৃত্বে কয়েকজন বিএনপি নেতা ইউএনওর কাছে অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধের বিষয়ে জানতে আসেন। সেখানে জামায়াত নেতাদের উপস্থিতি দেখে ক্ষিপ্ত হয়ে তারা কার্যালয় থেকে বের হয়ে আরও লোকজন ডাকেন।

পরে মজিবুর রহমান, বাবু খা, মানিক খা, আব্দুল বাছেদ ও আরিফ শেখের নেতৃত্বে ৩০-৪০ জন বিএনপি কর্মী ইউএনওর কক্ষে প্রবেশ করেন এবং জামায়াত নেতাদের কিল-ঘুষি ও লাথি মারতে থাকেন। গুরুতর আহত অবস্থায় জামায়াত নেতাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়।

আহতদের পরিচয়

মারধরের শিকার জামায়াত নেতারা হলেন—উপজেলা জামায়াতের নায়েবে আমির ফারুক-ই-আজম, উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি টুটুল বিশ্বাস, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সাবেক সভাপতি ওয়ালিউল্লাহ বিশ্বাস, সাবেক কাউন্সিলর মোস্তাক আহমেদ।

প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়দের বক্তব্য

স্থানীয়দের ভাষ্য, অভিযুক্ত বিএনপি নেতারা এর আগেও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড, চাঁদাবাজি ও ডাকাতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তারা ইউএনওকেও হুমকি দিয়ে আসছিলেন।

এ বিষয়ে উপজেলা জামায়াতের আমির অধ্যাপক কেএম হেসাব উদ্দিন বলেন, "বিএনপির ক্যাডাররা ইউএনওকে মারধর করতে চেয়েছিল। আমরা বাধা দিলে আমাদের নেতাদের উপর হামলা চালানো হয়। সরকারি অফিসেও আমাদের নিরাপত্তা নেই। দ্রুত আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।"

তবে উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আজম বিশ্বাস, সদস্য সচিব শেখ আব্দুর রউফ ও যুবদলের আহ্বায়ক সিদ্দিকুর রহমান এ ঘটনায় দলের সম্পৃক্ততা অস্বীকার করে বলেন, "যারা এই ঘটনায় জড়িত, তারা আমাদের দলের হতে পারে না। আমরা অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছি।"

প্রশাসনের প্রতিক্রিয়া

সুজানগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মজিবুর রহমান বলেন, "এখনো কেউ মামলা করতে আসেননি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।"

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মীর রাশেদুজ্জামান বলেন, "আমার কার্যালয়ে এমন ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক। এটি সরকারি কাজে বাধা সৃষ্টি করেছে। আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।"